কলকাতা, 19 জুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন শান্তনু ঠাকুর ৷ মতুয়া ঠাকুরবাড়ির ভক্তদের উপর হামলা এবং তাঁদের অপমান-সহ একাধিক অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেছেন তিনি ৷ সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের নিয়ে মতুয়া ঠাকুরবাড়ি জবরদখল করার চেষ্টা করেছিলেন ৷ আদালতে তিনি দাবি করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত 11 জুন ঠাকুরনগরে গিয়ে যে কথাগুলি বলেছিলেন, তাতে ঠাকুরবাড়ি ও মতুয়া সমাজের লোকজন নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন ৷ আগামিকাল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে ৷
গত 11 জুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শান্তনু ঠাকুর ৷ আদালতে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ নির্দোষ মতুয়া ভক্তদের গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে ৷ যেখানে মতুয়ারাই তৃণমূলের গুণ্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে ৷ তাঁদের রক্তাক্ত করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করেছেন শান্তনু ৷ কিন্তু, পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে মতুয়া ভক্ত ও সেবাইতদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ৷ মামলাটি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে দায়ের হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সংঘর্ষ নিয়ে পুলিশকর্তাদের 'হুমকি' শুভেন্দুর
উল্লেখ্য, গত 11 জুন রবিবার ঠাকুরনগরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে মতুয়া মহাসংঘের ঠাকুরমন্দিরে যান অভিষেক ৷ সেখানে তাঁর ঠাকুরমন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু, অভিষেক পৌঁছানোর আগেই শান্তনু ঠাকুর এবং মমতাবালা ঠাকুরের লোকজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায় ৷ অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুর ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে দেবেন না বলে ৷ এমনকি তার জেরে সেদিন মূল মন্দিরে অভিষেক পুজো দিতে পারেননি ৷
আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়ির সংঘর্ষের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি শান্তনুর
কিন্তু, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তনু ঠাকুর এবং মমতাবালা ঠাকুরের শিবিরের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয় বলে অভিযোগ ৷ সেখানে দু’পক্ষের একাধিক লোকজন আহত হন ৷ পরবর্তীতে সেই উত্তেজনার রেশ গিয়ে পড়ে হাসপাতালে ৷ সেখানেও চিকিৎসার জন্য যাওয়া দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয় ৷ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ৷ যা নিয়ে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ এ দিন অভিষেকের ভাষণের বক্তব্য নিয়েও আদালতে মামলা করেছেন শান্তনু ৷ সেখানে অভিষেকের প্রতি তিনমাস অন্তর ঠাকুরবাড়ি গিয়ে শুদ্ধিকরণ মন্তব্যকে, মতুয়া সমাজের অপমান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি ৷