কলকাতা, 13 মার্চ: আপাতত স্বস্তি ৷ রাজ্যের যে সরকারি স্কুলগুলির পড়ুয়া সংখ্য়া 30 বা তার থেকেও কম, এখনই সেগুলি বন্ধ করা হবে না ৷ সোমবার বিকেলে এসএফআই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে (SFI Delegation meets Assembly Speaker and Education Minister) এই আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Biman Banerjee) ৷ উল্লেখ্য, 30 বা তারও কম সংখ্যক পড়ুয়া রয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে এমন স্কুলের সংখ্যা 8 হাজার 207 ৷ এসএফআই-সহ বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের অভিযোগ ছিল, এই স্কুলগুলি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে ৷ যার প্রতিবাদে সম্প্রতি ছাত্র ধর্মঘট পালন করে ডিএসও ৷ এদিন এই বিষয়টি নিয়ে এসএফআই প্রতিনিধিদের সরকারের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে তাঁদের জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গেলেই রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদের ভোট সেরে ফেলা হবে ৷
এদিন বিধানসভায় এসএফআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্রাত্য ও বিমান ৷ সেই বৈঠকের পর বিধানসভার বাইরে এসে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো ভালো কথা বলেছেন ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও স্কুল বন্ধ হবে না ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ছাত্র ভোট করানো হবে ৷ কিন্তু সবক'টি ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ তাই আমরা আপাতত আশ্বস্ত হলেও সংশয় থেকেই যাচ্ছে ৷ কারণ, 'ল্যাম্পপোস্ট'রা কী বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না ৷ সবটাই নির্ভর করছে 'পোস্টের উপর' ! তবে, এদিনের প্রতিশ্রুতি মতো কাজ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব ৷"
আরও পড়ুন: ছাত্র ধর্মঘট ঘিরে ধুন্ধুমার, অশান্ত শিলিগুড়ি মহিলা কলেজ
প্রসঙ্গত, এদিন এসএফআইয়ের তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় ৷ অধ্যক্ষ সেই স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন ৷ তাতে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ৷ করোনা পরবর্তী সময় সরকারি স্কুলগুলিতে স্কুলছুটের সংখ্য়া বেড়েছে ৷ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্য়ালয়েই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি ৷ এমনকী, রাজ্যে আরএসএসের নিজস্ব 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান' বাড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এসএফআইয়ের তরফে ৷ প্রত্য়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ও অধ্যক্ষ ৷