ETV Bharat / state

SFI Attcks RSS-BJP: যাদবপুরকাণ্ডে কেন্দ্রের তথ্যকে হাতিয়ার করেই আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে এসএফআই

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কেন্দ্রের অধীনস্থ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান বেশি ৷ বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস ৷ তিনি জানিয়েছেন, আরএসএস-বিজেপির 'মিথ্যাচারে'র বিরুদ্ধে এসএফআইয়ের অস্ত্রই হবে শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্য ৷

Etv Bharat
সাংবাদিক বৈঠকে এসএফআই
author img

By

Published : Aug 17, 2023, 10:42 PM IST

কলকাতা, 17 আগস্ট: কেন্দ্রের তথ্যকে অস্ত্র করেই যাদবপুর কাণ্ডে ময়দানে এসএফআই ৷ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে ৷ 2018-2023 , এই পাঁচ বছরে মোট 98 জন পড়য়া আত্মহত্যা করেছে, এমনই তথ্য সংসদে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ৷ এবার সেই তথ্যকে সামনে রেখেই যাদবপুরকে ইচ্ছাকৃত নিশানা করা হচ্ছে বলে দাবি করল এসএফআই ৷ বৃহস্পতিবার এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেছেন," যারা কথায় কথায় যাদবপুরকে তুলে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তাদের জন্যে সংসদে ওদেরই দেওয়া কিছু তথ্য আমরা উত্থাপন করেছি।"

পড়ুয়াদের আত্মহত্যার হার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, 2023 সালে এখনও পর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েছেন 20 জন পড়ুয়া। 2022 সালে সংখ্যাটা ছিল 24। এর আগে 2021 সালে আত্মহত্যা 7 পড়ুয়ার। 2020 সালেও আত্মঘাতী পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল 7। 2019 সালে আত্মহত্যা করেছিলেন 19 জন পড়ুয়া এবং 2018 সালে আত্মঘাতী পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল 21। এদিন এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, "সমাজের অনগ্রসর ও নিম্নবর্গের প্রতিনিধি দল থেকে উঠে আসা মেধাবী অথচ অভাবক্লিষ্ট পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো উচিত সরকারের, শিক্ষা খাতে অনুদান বৃদ্ধি, আর্থিক সাহায্যের দিশা দেখালে ভবিষ্যতে বহু অমূল্য প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। যারা ক্যাম্পাসে বিভাজন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নাহলে আমরাই এই বিভাজনের কাণ্ডারী ও তাঁর চামচাদের বুঝে নেব।"

এসএফআইয়ের মতে, শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, আত্মঘাতী 98 জন পড়ুয়াদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক আত্মহত্যা হয়েছে আইআইটি-র ক্যাম্পাসগুলিতে। দেশের বিভিন্ন আইআইটি-তে মোট 39 জন আত্মঘাতী হয়েছেন গত পাঁচ বছরে। তারপরেই তালিকায় আছে এনআইটি। সেখানে আত্মহত্যা করেছেন 25 জন পড়ুয়া। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও আত্মঘাতী হয়েছেন 25 জন। আইআইএম-এ আত্মহত্যা করেছেন 4, আইসার-এ 3, আইআইআইটি-র 2 পড়ুয়া।

এছাড়াও বিগত পাঁচ বছরে আইআইটি, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কেন্দ্রের অধীনস্থ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়েছেন 25 হাজারেরও বেশি পড়ুয়া। সংসদে পেশ করার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, 2019 এবং 2023 সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনও পর্যন্ত সংরক্ষিত বিভাগের 17,545 পড়ুয়া পড়াশোনা ছেড়ে দেন মাঝপথেই। এদিকে 8 হাজার 139 জন তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি পড়ুয়া আইআইটি থেকে পড়াশোনা ছেড়েছেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যুর পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে তরজা জারি

এসএফআই অভিযোগ, পড়ুয়াদের আত্মহত্যার কারণ বৈষম্যমূলক সমাজ, জাতপাতের মতো ঘটনা, অর্থনৈতিক -সামাজিক বিভাজন, গ্রাম-শহরের বৈষম্য, ইংরেজি ও অন্যান্য মাধ্যমের বিভাজন ইত্যাদি বাড়িয়েছে মানসিক চাপ, মানসিক নিগ্রহ। একাকিত্ব, পারিবারিক সমস্যার মতো একাধিক দিক তুলে ধরলেও, পড়ুয়াদের শিক্ষার পরিবেশ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো দিনই গুরুত্ব দেয়নি সরকার।

কলকাতা, 17 আগস্ট: কেন্দ্রের তথ্যকে অস্ত্র করেই যাদবপুর কাণ্ডে ময়দানে এসএফআই ৷ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে ৷ 2018-2023 , এই পাঁচ বছরে মোট 98 জন পড়য়া আত্মহত্যা করেছে, এমনই তথ্য সংসদে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ৷ এবার সেই তথ্যকে সামনে রেখেই যাদবপুরকে ইচ্ছাকৃত নিশানা করা হচ্ছে বলে দাবি করল এসএফআই ৷ বৃহস্পতিবার এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেছেন," যারা কথায় কথায় যাদবপুরকে তুলে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তাদের জন্যে সংসদে ওদেরই দেওয়া কিছু তথ্য আমরা উত্থাপন করেছি।"

পড়ুয়াদের আত্মহত্যার হার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, 2023 সালে এখনও পর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েছেন 20 জন পড়ুয়া। 2022 সালে সংখ্যাটা ছিল 24। এর আগে 2021 সালে আত্মহত্যা 7 পড়ুয়ার। 2020 সালেও আত্মঘাতী পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল 7। 2019 সালে আত্মহত্যা করেছিলেন 19 জন পড়ুয়া এবং 2018 সালে আত্মঘাতী পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল 21। এদিন এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, "সমাজের অনগ্রসর ও নিম্নবর্গের প্রতিনিধি দল থেকে উঠে আসা মেধাবী অথচ অভাবক্লিষ্ট পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো উচিত সরকারের, শিক্ষা খাতে অনুদান বৃদ্ধি, আর্থিক সাহায্যের দিশা দেখালে ভবিষ্যতে বহু অমূল্য প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। যারা ক্যাম্পাসে বিভাজন করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নাহলে আমরাই এই বিভাজনের কাণ্ডারী ও তাঁর চামচাদের বুঝে নেব।"

এসএফআইয়ের মতে, শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, আত্মঘাতী 98 জন পড়ুয়াদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক আত্মহত্যা হয়েছে আইআইটি-র ক্যাম্পাসগুলিতে। দেশের বিভিন্ন আইআইটি-তে মোট 39 জন আত্মঘাতী হয়েছেন গত পাঁচ বছরে। তারপরেই তালিকায় আছে এনআইটি। সেখানে আত্মহত্যা করেছেন 25 জন পড়ুয়া। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও আত্মঘাতী হয়েছেন 25 জন। আইআইএম-এ আত্মহত্যা করেছেন 4, আইসার-এ 3, আইআইআইটি-র 2 পড়ুয়া।

এছাড়াও বিগত পাঁচ বছরে আইআইটি, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কেন্দ্রের অধীনস্থ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়েছেন 25 হাজারেরও বেশি পড়ুয়া। সংসদে পেশ করার সরকারি তথ্য অনুযায়ী, 2019 এবং 2023 সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনও পর্যন্ত সংরক্ষিত বিভাগের 17,545 পড়ুয়া পড়াশোনা ছেড়ে দেন মাঝপথেই। এদিকে 8 হাজার 139 জন তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি পড়ুয়া আইআইটি থেকে পড়াশোনা ছেড়েছেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রমৃত্যুর পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে তরজা জারি

এসএফআই অভিযোগ, পড়ুয়াদের আত্মহত্যার কারণ বৈষম্যমূলক সমাজ, জাতপাতের মতো ঘটনা, অর্থনৈতিক -সামাজিক বিভাজন, গ্রাম-শহরের বৈষম্য, ইংরেজি ও অন্যান্য মাধ্যমের বিভাজন ইত্যাদি বাড়িয়েছে মানসিক চাপ, মানসিক নিগ্রহ। একাকিত্ব, পারিবারিক সমস্যার মতো একাধিক দিক তুলে ধরলেও, পড়ুয়াদের শিক্ষার পরিবেশ, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো দিনই গুরুত্ব দেয়নি সরকার।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.