কলকাতা, 10 মার্চ: বিধানসভা অভিযানে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের শতাধিক কমরেডদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সামিল হয় যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। একদিকে যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রাজপথ অবরুধ করে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআই পড়ুয়ারা বিক্ষোভ (SFI Agitators) সমাবেশের ডাক দেয় ৷ অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় আজ বিধানসভা অভিযানে এসএফআই (SFI) কর্মী-সমর্থকদের উপর পুলিশি হামলা এবং শতাধিক কমরেডদের গ্রেফতার করার প্রতিবাদে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট রাজপথে বিক্ষোভ দেখায় এবং কুশপুতুল দাহ করে।
এদিন এসএফআই কর্মীরা শিয়ালদা এবং হাওড়া থেকে মিছিল করে বিধানসভার দিকে এগোতে শুরু করে আজ সকালে। পুলিশ তাঁদের দেখা মাত্রই আটক করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় লালবাজারে। আজ তাঁরা যে মূল দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে অভিযানের ডাক দিয়েছিল সেগুলি মূলত হল ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি বাতিল করতে হবে, সমস্ত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও স্কুল ছুটদের শিক্ষায় ফেরাতে হবে, আনিশ খান-সহ যেসমস্ত বাম কর্মী-সমর্থকদের মৃত্যু হয়েছে তাতে দোষীদের যথাযথ শাস্তি দিতে হবে, জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে রাজ্যজুড়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই ইউনিটের সদস্য আসিফ ইকবাল বলেন, "স্কুলের নামে কোথাও একটা ইট পাতা হয়েছে আবার কোথাও কিছুই নেই। না-আছে শিক্ষক-শিক্ষিকা, না-আছে ছাত্রছাত্রী। তাহলে এর দায় কার? এর দায় তো সরকারেরই। আজকের বিধানসভা অভিযানের অনুমতি লালবাজার থেকে না-পাওয়া সত্ত্বেও শান্তিপূর্ণভাবে আমরা বিধানসভা অভিযান চালাব বলেই ভেবেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের শিয়ালদা এবং হাওড়ার কাছে আটকে বেধড়ক মারধর করেছে। আমাদের শতাধিক কমরেডদের আটক করা হয়েছে। তবুও আংশিকভাবে আজ আমাদের এই অভিযান সফল হয়েছে। কারণ এক দল বিধানসভার গেট পর্যন্ত যেতে পেরেছিল।"
আরও পড়ুন: 'ইনিবিনি টাপাটিনি, ডিএ চোর দিদিমণি' স্লোগানে সরগরম আসানসোল
তিনি আরও বলেন, "এখন যেসব পরীক্ষাগুলি রাজ্যে চলছে তাতে আমরা আগেই জানিয়েছিলাম যে, সকল পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা সহযোগিতা করব। 2008 সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যখন বাংলা বন্ধ ডাকা হয়েছিল তখন তো কেউ কিছু বলেনি। অথচ আমরা বলেছিলাম যে আমরা সব রকম সহযোগিতা করব। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিধানসভায় যাব এবং আমাদের দাবিদাওয়াগুলি জানাব। সেখানে শিয়ালদা এবং হাওড়াতে আমাদের কমরেডদের আটকানো হয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এবং তারপর আমাদের অনেককেই আটক করা হয়েছে। আজ দেড়শো-র উপর কমরেডদের আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে 35 থেকে 40 জন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমরেডরাও রয়েছে। তাই তাঁদের না-ছাড়া পর্যন্ত আমরা আমাদের এই বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চালিয়ে যাব।"