কলকাতা, 14 ডিসেম্বর : 16 মার্চ থেকে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অনলাইনে পঠন-পাঠন, পরীক্ষা হলেও পড়ুয়াদের জন্য খোলেনি ক্যাম্পাস। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিসেম্বরেও বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাসের দরজা। তবে, আর অপেক্ষা করতে রাজি নয় বাম ছাত্র সংগঠন SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটি। জানুয়ারি মাস থেকে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস চালু করতে হবে। এমনই দাবি জানানো হয়েছে SFI-র ওই কমিটির তরফে ৷
ক্যাম্পাস খোলার পাশাপাশি ভরতি, ফলাফল প্রকাশ, ফি কাঠামো সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মোট ছয় দফা দাবি তোলা হয়েছে ছাত্র সংগঠনের তরফে। পাশাপাশি, দুইদিনের মধ্যে চূড়ান্ত বর্ষের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফলের হার্ডকপি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা।
অবিলম্বে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে নতুন যাঁরা ভরতি হয়েছেন বা হচ্ছেন, তাঁদের সকলের ফিজ়িকাল ভেরিফিকেশনের দিন ঘোষণা করতে হবে। মাস কমিউনিকেশনে এমএ কোর্সে ভরতির ফি আর্টস ফ্যাকাল্টির বাকি বিভাগগুলোর মতো একই রাখতে হবে। স্নাতকের আসন ফাঁকা রেখে অনলাইন ক্লাস শুরু করা যাবে না। বিএ, বিএসসি সহ স্নাতক কোর্সগুলোতে ভরতি প্রক্রিয়া শেষ করার মেয়াদ 31 ডিসেম্বর অব্দি বাড়াতেই হবে এবং দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে যাতে সকলে স্কলারশিপের সুযোগ পায়। মাস কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে শুধু স্নাতকে প্রাপ্ত নম্বর নয়, সরাসরি ইন্টারভিউ বা গ্রুপ ডিসকাশনেল মাধ্যমে ছাত্র ভরতি করতে হবে।
আরও পড়ুন : ফের ছাত্র আন্দোলন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ঘেরাও উপাচার্য
এই দাবিগুলো আদায়ে আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অরবিন্দ ভবন যাওয়ার ডাক দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটি। দুপুর একটা 40 মিনিটে চার নম্বর গেটের সামনে জমায়েত করবেন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা ৷ সেখান থেকে অরবিন্দ ভবন । SFI-এর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটির দেবরাজ দেবনাথ জানান, সোমবার গিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে আন্দোলনের গতিপথ কী হবে।