কলকাতা, 18 জানুয়ারি: একবালপুর, খিদিরপুর-সহ বন্দর এলাকা ও বডিগার্ড লাইন্স অল্প বৃষ্টিতেই কোমর সমান জলের তলায় চলে যায়। এবার সেই এলাকার বৃষ্টির জমা জল দ্রুত নামাতে 82 কোটি টাকা খরচে নবাব আলি পার্কে নতুন নিকাশি পাম্পিং স্টেশন বানাচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশন। ব্রিটিশ যুগ (The British Era) থেকে এখনও শহরের কোনও পাম্পিং স্টেশনে এত বড় সাম্প নেই বলেই খরব পৌরনিগম সূত্রে।
এই সাম্পের গভীরতা 60 ফুট। কর্তৃপক্ষের দাবি, শহরের নিকাশির জলধারণের সর্ববৃহৎ জলাধার হতে চলেছে এটাই। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে এই পাম্পিং স্টেশন চালু হতে পারে খবর পৌরনিগম সূত্রে। গত বিধানসভা নির্বাচনে মিটিং বাতিল করতে হয়েছিল এলাকা জলের তলায় থাকার কারণে। কলকাতার নিকাশি বিভাগের সমস্ত পাম্প ইন চালিয়ে জল বের করেও বৈঠক করা যায়নি। রাতভর জেগে তদারকি করেছিলেন মেয়র। সেই ঘটনায় ব্যাপক বিরম্বনায় পড়েছিল কলকাতা কর্পোরেশন।
এর পর সিদ্ধান্ত হয় এই সমস্যার সমাধানে তৈরি হবে নিকাশি পাম্পিং স্টেশন। মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভবানীপুর বিধানসভার 77 এবং 78 ওয়ার্ডের জমা জলের সমস্যা দূর করতে এই পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। একবালপুর রোড, মোমিনপুর, ডায়মন্ড হারবার রোডের কিছুটা, ডেন্ট মিশন রোড, সুধীর বোস রোড একাধিক রাস্তায় জমা জলের সমস্যা সমাধান হবে। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, নবাব আলি পার্ক পাম্পিং স্টেশনে প্রায় 17 মিটার গভীর এবং 14 মিটার ব্যাসের সাম্প তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অর্থবর্ষের শেষেও খরচের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলল না কলকাতা পৌরনিগম
1 লক্ষ 40 হাজার লিটার কিউব জল ধরে রাখতে সক্ষম হবে এই জলাধার। ঘণ্টায় 15 হাজার মিটার কিউব জল নামাতে সক্ষম হবে। এখানে বড় পাঁচটি ও ছোট চারটি সাবমারসিবল পাম্প বসবে। সাম্পের ভিতরেই থাকবে চেম্বার। সেখানে পাম্পগুলি টানেলের মধ্যে দিয়ে বসানো হবে। স্থান সংকুলানের জন্য কুয়োর ভিতরেই থাকবে চেম্বার। বর্ষার আগে গোটা পাম্পিং স্টেশন চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই পাম্পিং স্টেশনের নিকাশি নালা পাতার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতত এই প্রকল্পের জন্য 20 কোটি টাকা চেয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে চিঠি পাঠাতে চলেছে পৌরনিগম।