কলকাতা, 19 জুলাই : বাজ পড়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল সাতজনের ৷ আহত 11 জন ৷ ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একজন করে ৷ বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত মাসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শালতলা গ্রামে দুই মহিলা বজ্রাঘাতে প্রাণ হারান ৷ মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দৌলতনগর এলাকায় জমিতে ধান রোপন করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল দুই মহিলার। মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত এড়োয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জটারপুর মাঠে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় একজনের ৷ আহত হয় দুজন ৷ আহতদের পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে ৷
রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর থানার সংড়ো গ্রামে বাজ পড়ে মহিলার মৃত্যু হয়। মৃতার নাম রুবি নায়েক(35) । তাঁর বাড়ি সংড়ো গ্রামেই । আবার গোপীবল্লভপুরের পায়রাকুলি গ্রামে বাজ পড়েছে । দু’টি গ্রামে বাজ পড়ার ফলে মোট ছ’জন গুরুতর আহত হয়েছেন । স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েতের সংড়ো ও পায়রাকুলি গ্রামে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বাজও পড়ে । ওই সময় জমিতে চাষের কাজ করছিলেন মহিলারা । আচমকা বাজ পড়ার ফলে মোট সাতজন মহিলা আহত হন । সাতজনের মধ্যে সংড়ো গ্রামের একজন গুরুতর জখম হন । সাতজনকে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে রুবি নায়েক নামে ওই মহিলাকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
অপর দিকে মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের গড়মাল অঞ্চলের মুগারডির মাঠে বজ্রপাতে গুরুতর আহত 6 জন ৷ তার মধ্যে মৃত একজন ৷ মৃতের নাম জবা কিস্কু (52) ৷ উল্লেখ্য মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাত হয় ৷ এদের মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ এর আগে ঝাড়গ্রামে বাজ পড়ে মাঠে মারা যায় 21 টি ছাগল ৷
আজ দুপুরে মুর্শিদাবাদেও খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত এড়োয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জটারপুর মাঠে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর মৃতের নাম উন্নত কেবি (41) । আজ দুপুরে জমিতে চাষের কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে আহত হন উন্নত কেবি, জমির শেখ ও সাফাজ শেখ ৷ ওই তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে খড়গ্রাম ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ উন্নত কেবিকে মৃত বলে ঘোষণা করে খড়গ্রাম ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ।
ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয় খড়গ্রাম ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে ৷ পরে খড়গ্রাম থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় ।
প্রতিদিনের মতো দিনমজুর হিসেবে রামপুরহাট থানার অন্তর্গত মাসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শালতলা গ্রামের দুই মহিলা জমিতে ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন। বিকেলে ধান রোপণ করে ফিরে আসার সময় বজ্রপাত হয়। মাঠে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িতে খবর দিলে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখান থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে তাঁদের আনা হলে মৃত বলে জানানো হয়। এই দুই মহিলার স্বামীই পাথর ভাঙার কাজ করেন ।
এদিকে, আজ দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দৌলতনগর এলাকার গোবরা গ্রামের একটি জমিতে ৬-৭ জন মহিলা ধান রোপণের কাজ করতে যান। সেই সময় হঠাৎ সেখানে বজ্রপাত হয়। বজ্রাঘাতে আহত হন তিনজন মহিলা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভালুকা বাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিসকরা দুই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।