ETV Bharat / state

Terror Network in Assam: জঙ্গি নেটওয়ার্কের শিকড় অসমেই, নির্মূল করতে বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা - এনআইএ

পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের (Terrorist Organisation) স্লিপার সেলগুলির শিকড় অসমেই (Assam) ৷ তদন্তে এমনই তথ্য সামনে এসেছে ৷ গোয়েন্দাদের মতে, দ্রুত জঙ্গি সংগঠনগুলিকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলতে হবে ৷

security-forces-plan-to-uproot-militant-network-that-has-its-origin-in-assam
Terror Network in Assam: জঙ্গি নেটওয়ার্কের শিকড় অসমেই, নির্মূল করতে বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা
author img

By

Published : Nov 30, 2022, 7:31 PM IST

কলকাতা, 30 নভেম্বর: গত কয়েকমাসে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক জঙ্গি বা জঙ্গি সংগঠনের (Terrorist Organisation) স্লিপার সেলের সদস্যরা ধরা পড়েছে ৷ যা এই রাজ্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেজনক বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ৷ তাই পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশের এসটিএফের (STF) দু’টি বাহিনীই চাইছে দ্রুত এই স্লিপার সেলগুলিকে নিকেশ করতে ৷ কিন্তু সেই কাজ করতে গেলে তাঁদের অসম পুলিশের (Assam Police) সাহায্যের প্রয়োজন হবে ৷ কারণ, অসমেই (Assam) রয়েছে এই স্লিপার সেলগুলির শিকড় ৷ সেখান থেকেই পরিচালনা করা হয় এই সেলগুলিকে ৷

গোয়েন্দাদের সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আল কায়েদার (Al Qaeda) উপমহাদেশীয় শাখা আকিশ (AQIS) ও আনসারুল বাংলা টিম বা এবিটির (ABT) মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি অসম থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্লিপার সেলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ মূলত, অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি থেকেই এই কাজ করে তারা ৷ সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে এনআইএ (NIA), অসম পুলিশ এবং কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দু’টি এসটিএফ ৷ তাই তারা যৌথভাবে ওই মাদ্রাসাগুলিতে অভিযান চালাতে চায় ৷

ইতিমধ্যে অসম পুলিশের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ জঙ্গিযোগ থাকায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ভেঙেও ফেলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ পদক্ষেপও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের ডিজি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত ৷

তিনি জানিয়েছেন, একাধিক জঙ্গি সংগঠন ইতিমধ্যেই অসমের বুকে নিজেদের বোর্ড খুলে বসেছে । তার একাধিক তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে পুলিশের । দু’মাস আগে মাদ্রাসার যে চারটি ভাগ রয়েছে, সেই চার ভাগের প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয় ৷ সেখানে জানতে চাওয়া হয় যে মাদ্রাসার আড়ালে যেভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা বন্ধ করার জন্য কী কী করা উচিত ।

তিনি বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই আমরা একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করি । এই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অল আসাম ট্রানজিস মাদারিস কমিয়া, অল আসাম তাড়িমি তারক্কি-সহ পাঁচটি সংগঠন । প্রত্যেকটি মাদ্রাসাকে গাইডলাইনে আনার ব্যবস্থা চলছে । সেখানে জানাতে হবে যে কবে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তাদের অর্থনৈতিক আয়-ব্যয়ের সব হিসেব প্রশাসনকে জানাতে হবে ।’’

তাঁর মতে, ‘‘বিভিন্ন লোকজনকে নিয়ে যে কেউ একটা মাদ্রাসা তৈরি করে ফেলছে । এটা তো হওয়া উচিত নয় । 1 ডিসেম্বর থেকে এই মাদ্রাসাগুলির খুঁটিনাটি তথ্য সরকারকে জানাতে হবে । পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিতে যে সব শিক্ষকরা রয়েছেন, তাঁদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক । এই কাজে কোনও মাদ্রাসা যদি ব্যর্থ হয় বা তথ্য সরকারকে না জানায়, তাহলে যে বোর্ড গঠন হয়েছে, সেই বোর্ডকে তার জবাবদিহি করতে হবে । এবং আমরা সমস্ত আইনত ব্যবস্থাও নেব ।’’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের 21 অগস্ট সন্দেহভাজন জঙ্গি সন্দেহে দুই যুবককে অসম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃত দুজনের মধ্যে একজন বাংলায় জঙ্গি মডিউল তৈরির দায়িত্বে ছিল বলে তদন্তকারীরা জানান । এনআইএ সূত্রে খবর, অসমের গোয়ালপাড়া এলাকায় বিভিন্ন সন্দেহজনক ব্যক্তির আনাগোনা তাদের কানে এসে পৌঁছেছে । গত 28 জুলাই অসমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট মোট 11 জনকে জিহাদি সংগঠন আকিশ এবং এবিটি অর্থাৎ আনসারুল বাংলা টিমের সদস্য হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

আগামিদিনেও এই ধরনের অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাশাপাশি বাংলাতেও এই ধরনের অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ ৷ কিন্তু তার জন্য প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় ৷ গোয়েন্দাদের ধারণা, সেই সমন্বয়ই বাংলা ও অসম থেকে জঙ্গি নির্মূল করতে সাহায্য করবে ৷

আরও পড়ুন: আলকায়দা যোগে ধৃত ডায়মন্ড হারবারের দুই যুবক

কলকাতা, 30 নভেম্বর: গত কয়েকমাসে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক জঙ্গি বা জঙ্গি সংগঠনের (Terrorist Organisation) স্লিপার সেলের সদস্যরা ধরা পড়েছে ৷ যা এই রাজ্যের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেজনক বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ৷ তাই পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশের এসটিএফের (STF) দু’টি বাহিনীই চাইছে দ্রুত এই স্লিপার সেলগুলিকে নিকেশ করতে ৷ কিন্তু সেই কাজ করতে গেলে তাঁদের অসম পুলিশের (Assam Police) সাহায্যের প্রয়োজন হবে ৷ কারণ, অসমেই (Assam) রয়েছে এই স্লিপার সেলগুলির শিকড় ৷ সেখান থেকেই পরিচালনা করা হয় এই সেলগুলিকে ৷

গোয়েন্দাদের সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আল কায়েদার (Al Qaeda) উপমহাদেশীয় শাখা আকিশ (AQIS) ও আনসারুল বাংলা টিম বা এবিটির (ABT) মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি অসম থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্লিপার সেলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ মূলত, অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি থেকেই এই কাজ করে তারা ৷ সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে এনআইএ (NIA), অসম পুলিশ এবং কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দু’টি এসটিএফ ৷ তাই তারা যৌথভাবে ওই মাদ্রাসাগুলিতে অভিযান চালাতে চায় ৷

ইতিমধ্যে অসম পুলিশের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ জঙ্গিযোগ থাকায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ভেঙেও ফেলা হয়েছে ৷ পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ পদক্ষেপও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের ডিজি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত ৷

তিনি জানিয়েছেন, একাধিক জঙ্গি সংগঠন ইতিমধ্যেই অসমের বুকে নিজেদের বোর্ড খুলে বসেছে । তার একাধিক তথ্য ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে পুলিশের । দু’মাস আগে মাদ্রাসার যে চারটি ভাগ রয়েছে, সেই চার ভাগের প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয় ৷ সেখানে জানতে চাওয়া হয় যে মাদ্রাসার আড়ালে যেভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা বন্ধ করার জন্য কী কী করা উচিত ।

তিনি বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই আমরা একটি বিশেষ বোর্ড গঠন করি । এই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অল আসাম ট্রানজিস মাদারিস কমিয়া, অল আসাম তাড়িমি তারক্কি-সহ পাঁচটি সংগঠন । প্রত্যেকটি মাদ্রাসাকে গাইডলাইনে আনার ব্যবস্থা চলছে । সেখানে জানাতে হবে যে কবে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তাদের অর্থনৈতিক আয়-ব্যয়ের সব হিসেব প্রশাসনকে জানাতে হবে ।’’

তাঁর মতে, ‘‘বিভিন্ন লোকজনকে নিয়ে যে কেউ একটা মাদ্রাসা তৈরি করে ফেলছে । এটা তো হওয়া উচিত নয় । 1 ডিসেম্বর থেকে এই মাদ্রাসাগুলির খুঁটিনাটি তথ্য সরকারকে জানাতে হবে । পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিতে যে সব শিক্ষকরা রয়েছেন, তাঁদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক । এই কাজে কোনও মাদ্রাসা যদি ব্যর্থ হয় বা তথ্য সরকারকে না জানায়, তাহলে যে বোর্ড গঠন হয়েছে, সেই বোর্ডকে তার জবাবদিহি করতে হবে । এবং আমরা সমস্ত আইনত ব্যবস্থাও নেব ।’’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের 21 অগস্ট সন্দেহভাজন জঙ্গি সন্দেহে দুই যুবককে অসম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃত দুজনের মধ্যে একজন বাংলায় জঙ্গি মডিউল তৈরির দায়িত্বে ছিল বলে তদন্তকারীরা জানান । এনআইএ সূত্রে খবর, অসমের গোয়ালপাড়া এলাকায় বিভিন্ন সন্দেহজনক ব্যক্তির আনাগোনা তাদের কানে এসে পৌঁছেছে । গত 28 জুলাই অসমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট মোট 11 জনকে জিহাদি সংগঠন আকিশ এবং এবিটি অর্থাৎ আনসারুল বাংলা টিমের সদস্য হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

আগামিদিনেও এই ধরনের অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাশাপাশি বাংলাতেও এই ধরনের অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দাদের একাংশ ৷ কিন্তু তার জন্য প্রতিবেশী দুই রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় ৷ গোয়েন্দাদের ধারণা, সেই সমন্বয়ই বাংলা ও অসম থেকে জঙ্গি নির্মূল করতে সাহায্য করবে ৷

আরও পড়ুন: আলকায়দা যোগে ধৃত ডায়মন্ড হারবারের দুই যুবক

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.