কলকাতা, 21 নভেম্বর: বিশ্ব শিশু দিবসে এক স্কুলপড়ুয়াকে প্রধান শিক্ষকের আসনে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ আর সেখানে বসে পড়ুয়াদের শেখার আনন্দকে দ্বিগুণ করতে শ্রেণিকক্ষে আরও আধুনিক গ্যাজেট এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাল সেই ছাত্র ৷ এ ক্ষেত্রে তার পক্ষে সওয়াল করেছে তার সহপাঠীরাও ৷
বিশ্ব শিশু দিবস (20 নভেম্বর) উপলক্ষে গতকাল 'কিডস টেকওভার' কর্মসূচির আয়োজন করে ইউনিসেফ ৷ সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সৈকত দে-কে তাদের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদারের চেয়ারে প্রতীকী হিসেবে বসানো হয়েছিল ৷ তখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরির পক্ষে সওয়াল করে সে ।
সৈকত বলে, "একটি স্কুলের প্রতীকী প্রধান শিক্ষক হিসাবে আমি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিজ্ঞান, আধুনিক প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক গ্যাজেট ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করব ৷" সৈকত এ কথা বলার সময় তার প্রতি সমর্থন জানায় সহপাঠী রণদীপ গায়েন এবং সাত্তিক দাসেরা ৷
শিক্ষাদানের জন্য সৃজনশীল অডিয়ো-ভিজুয়াল উপায় ব্যবহারের কথা বলতে গিয়ে সৈকত বলে, "এই ধরনের পদ্ধতিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা উচিত ৷ কারণ এগুলি শিশুদের আরও ভালোভাবে কল্পনা করতে এবং বুঝতে সাহায্য করে ।"
পশ্চিমবঙ্গে ইউনিসেফের প্রধান অমিত মেহরোত্রা এ প্রসঙ্গে বলেন, "রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালিকাভুক্তির উচ্চ হারের সঙ্গে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণিকক্ষ এবং পরীক্ষাগারগুলির উন্নতিতে জোর দিতে হবে । আমি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়কে একটি স্মার্টক্লাসরুমের পরিকাঠামো তৈরিতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই, যাতে প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায় ।"
বেশিরভাগ কিশোর শিক্ষার্থীরাই মনে করে যে, আধুনিক শিক্ষা অবশ্যই লিঙ্গসাম্যের উপর জোর দেবে এবং কিশোর বয়স থেকেই ছেলেরা বুঝতে পারবে যে মেয়েরা তাদের সমান ।
উঁচু ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষণ্ণতার ক্রমবর্ধমান বিষয়টিও তুলে ধরে স্কুলপড়ুয়ারা ৷ প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে সৈকত দে বলে, "পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা বুঝিয়ে দিতে শিক্ষকদের এগিয়ে আসা উচিত ৷ প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নেওয়া উচিত । এটি অর্জনের জন্য স্কুলে বিভিন্ন সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া উচিত ।"
'কিডস টেকওভার' কর্মসূচির প্রশংসা করে প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, এই কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং তাদের নেতৃত্বের দক্ষতা শিখতে সাহায্য করবে ।
আরও পড়ুন: