ETV Bharat / state

HIV Positive Teacher: এইচআইভি আক্রান্ত শিক্ষককে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান স্কুল কর্তৃপক্ষের - HIV Positive Teacher asked to take leave

ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, এই সাফাই দিয়ে এইচআইভি আক্রান্ত শিক্ষক সৌমিত্র গায়েনকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করল সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ (HIV positive teacher in controversy) ৷

ETV Bharat
এইচআইভি আক্রান্ত শিক্ষকের সঙ্গে সরকারি কর্তাদের বৈঠক
author img

By

Published : Feb 21, 2023, 7:55 PM IST

বিতর্ক এড়িয়ে এইচআইভি আক্রান্ত শিক্ষকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান কর্তৃপক্ষের

কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: সাত পাকে বাঁধা পড়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুশ্চিন্তা নেমে এসেছিল এইচআইভি পজিটিভ সৌমিত্র গায়েনের মনে । কারণ, যে স্কুলে তিনি কর্মরত সেই স্কুল থেকে তাঁকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল । পরিস্থিতির চাপে পড়ে সৌমিত্র গায়েনকে মঙ্গলবার স্কুলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু, তিনি কাজে যোগ দেবেন কি না, তা ভাবনা চিন্তা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সৌমিত্র গায়েন ।

উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দা সৌমিত্র গায়েন ও মেদিনীপুরের বাসিন্দা সুনীতা যাদবের চারহাত এক হয় গত 12 ফেব্রুয়ারি । ছুটি কাটিয়ে 17 ফেব্রুয়ারি কাজে যোগ দিতে গিয়েই বিপাকে পড়েন স্কুলের স্পেশাল এডুকেটর সৌমিত্র গায়েন। চার বছর ধরে যে স্কুলে তিনি কাজ করছেন সেই স্কুল কর্তৃপক্ষই তাঁকে 90 দিনের জন্য ছুটিতে যেতে নির্দেশ দেয় (HIV Positive Teacher asked to take leave)। কারণ, ওই স্কুলে কাজে যোগ দেওয়ার আগে সৌমিত্র গায়েন যে এইচআইভি পজিটিভ তা তিনি জানাননি বলেই অভিযোগ । শুধু তাই নয়, সৌমিত্রর স্ত্রী সুনীতা যাদবও এইচআইভি-তে আক্রান্ত ৷

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যম তো বটেই, প্রশাসনিক স্তরেও সমালোচনার ঢেউ ওঠে । রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জেনারেল বিপ্লব রায়ও সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার খবর পান । দু'পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । মঙ্গলবার দু'পক্ষকেই নব মহাকরণে ডাকা হয় । সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে গোটা ঘটনা তুলে ধরা হয় ।

সংশ্লিষ্ট স্কুলের কর্ণধার ডক্টর রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, "ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে । আমরা সৌমিত্র গায়েনকে স্কুল থেকে বাদ দিইনি। আমাদের স্কুলের পড়ুয়ারা বিশেষভাবে সক্ষম । তাঁরা যেকোনও সময় যে কাউকে কামড়ে, আঁচড়ে দেয় । তাই, অভিভাবকদের চাপে পড়ে আমরা সৌমিত্রবাবুকে ছুটিতে যেতে বলেছিলাম । কিন্তু, সৌমিত্র চাইলে আজকেই স্কুলে যোগ দিতে পারেন । তাঁর সঙ্গে আমার বাবা-ছেলের সম্পর্ক ।"

আরও পড়ুন: সার্ধশতবর্ষ পূর্তির দোরগোড়ায় কলকাতার ট্রাম, লক্ষ্মণরেখায় বন্দি পথেই শহরে চলমান ইতিহাস

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এইচআইভি নিয়ে ভুল বার্তা প্রচলিত আছে । যার জন্য লাগাতার সচেতনাতামূলক প্রচারের প্রয়োজন ।" অন্যদিকে, রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জেনারেল বিপ্লব রায় বলেন, "ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল ৷ স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করব এইচআইভি নিয়ে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হোক । সৌমিত্র ও সুনীতা দু'জনই খুব ভালো থাকুন । অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের কোনও সসম্যা হলে আমরা সকলেই তাঁদের পাশে আছি ।" তবে এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় এই মুহূর্তে ওই স্কুলে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র গায়েন । তিনি বলেন, "স্কুলে যোগ দেব কি না, ভেবে দেখব । গত কয়েক দিন ধরে যা চলছে তা কাটিয়ে উঠি আগে ।"

বিতর্ক এড়িয়ে এইচআইভি আক্রান্ত শিক্ষকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান কর্তৃপক্ষের

কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: সাত পাকে বাঁধা পড়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দুশ্চিন্তা নেমে এসেছিল এইচআইভি পজিটিভ সৌমিত্র গায়েনের মনে । কারণ, যে স্কুলে তিনি কর্মরত সেই স্কুল থেকে তাঁকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল । পরিস্থিতির চাপে পড়ে সৌমিত্র গায়েনকে মঙ্গলবার স্কুলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । কিন্তু, তিনি কাজে যোগ দেবেন কি না, তা ভাবনা চিন্তা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সৌমিত্র গায়েন ।

উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দা সৌমিত্র গায়েন ও মেদিনীপুরের বাসিন্দা সুনীতা যাদবের চারহাত এক হয় গত 12 ফেব্রুয়ারি । ছুটি কাটিয়ে 17 ফেব্রুয়ারি কাজে যোগ দিতে গিয়েই বিপাকে পড়েন স্কুলের স্পেশাল এডুকেটর সৌমিত্র গায়েন। চার বছর ধরে যে স্কুলে তিনি কাজ করছেন সেই স্কুল কর্তৃপক্ষই তাঁকে 90 দিনের জন্য ছুটিতে যেতে নির্দেশ দেয় (HIV Positive Teacher asked to take leave)। কারণ, ওই স্কুলে কাজে যোগ দেওয়ার আগে সৌমিত্র গায়েন যে এইচআইভি পজিটিভ তা তিনি জানাননি বলেই অভিযোগ । শুধু তাই নয়, সৌমিত্রর স্ত্রী সুনীতা যাদবও এইচআইভি-তে আক্রান্ত ৷

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যম তো বটেই, প্রশাসনিক স্তরেও সমালোচনার ঢেউ ওঠে । রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জেনারেল বিপ্লব রায়ও সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার খবর পান । দু'পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি । মঙ্গলবার দু'পক্ষকেই নব মহাকরণে ডাকা হয় । সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে গোটা ঘটনা তুলে ধরা হয় ।

সংশ্লিষ্ট স্কুলের কর্ণধার ডক্টর রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, "ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে । আমরা সৌমিত্র গায়েনকে স্কুল থেকে বাদ দিইনি। আমাদের স্কুলের পড়ুয়ারা বিশেষভাবে সক্ষম । তাঁরা যেকোনও সময় যে কাউকে কামড়ে, আঁচড়ে দেয় । তাই, অভিভাবকদের চাপে পড়ে আমরা সৌমিত্রবাবুকে ছুটিতে যেতে বলেছিলাম । কিন্তু, সৌমিত্র চাইলে আজকেই স্কুলে যোগ দিতে পারেন । তাঁর সঙ্গে আমার বাবা-ছেলের সম্পর্ক ।"

আরও পড়ুন: সার্ধশতবর্ষ পূর্তির দোরগোড়ায় কলকাতার ট্রাম, লক্ষ্মণরেখায় বন্দি পথেই শহরে চলমান ইতিহাস

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এইচআইভি নিয়ে ভুল বার্তা প্রচলিত আছে । যার জন্য লাগাতার সচেতনাতামূলক প্রচারের প্রয়োজন ।" অন্যদিকে, রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ জেনারেল বিপ্লব রায় বলেন, "ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল ৷ স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করব এইচআইভি নিয়ে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হোক । সৌমিত্র ও সুনীতা দু'জনই খুব ভালো থাকুন । অদূর ভবিষ্যতে তাঁদের কোনও সসম্যা হলে আমরা সকলেই তাঁদের পাশে আছি ।" তবে এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় এই মুহূর্তে ওই স্কুলে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র গায়েন । তিনি বলেন, "স্কুলে যোগ দেব কি না, ভেবে দেখব । গত কয়েক দিন ধরে যা চলছে তা কাটিয়ে উঠি আগে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.