ETV Bharat / state

SC over Kailash: কৈলাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে পুনর্বিবেচনার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বিজেপির শীর্ষ নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক মহিলা ৷ প্রথম পুলিশ তাঁর অভিযোগ নিতে চায়নি ৷ পরে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতও তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার সেই মামলাটি আবারও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত ৷

Kailash Vijayvargiya
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
author img

By

Published : May 5, 2023, 11:09 AM IST

নয়াদিল্লি, 5 মে: ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় । তাঁর সঙ্গে প্রদীপ জোশী থেকে শুরু করে জিষ্ণু বসুর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে ৷ 2018 সালের নভেম্বর মাসে এই বিজেপি নেতা-সহ বাকিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক মহিলা ৷ সে সময় কৈলাশ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।

সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি ৷ আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতও নির্যাতিতার আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ এরপর কলকাতা হাইকোর্টে তিনি আবেদন জানালে আদালত বিষয়টি ফের আলিপুরের কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেয় ৷ আরও পরে কৈলাশ এবং অন্যরা কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ৷ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আলিপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এই ধর্ষণের অভিযোগ ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল ৷

এদিন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানায়, কলকাতা হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলাটি ফিরিয়ে দেয় ৷ ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তা খারিজ করে দিয়েছে বেঞ্চ ৷ বেঞ্চের নির্দেশ, ম্যাজিস্ট্রেট ফের এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখুক এবং তারপর ভারতীয় দণ্ডবিধির 156(3) ধারা কার্যকর করা যায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ৷

এই ধর্ষণের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ যদিও সর্বোচ্চ আদালত সেই নির্দেশও খারিজ করে দিয়েছে ৷ তবে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চায়নি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ৷ তাতে বিচারব্যবস্থা প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছেন দুই বিচারপতি ৷ সুপ্রিম কোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে এই ঘটনায় অভিযুক্তের সব তথ্য এবং ইমেল হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগকারী অনেক দেরিতে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ এ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, আদালত জানে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যে কোনও মহিলার পক্ষে অভিযোগ দায়ের করা যথেষ্ট সমস্যাপূর্ণ ৷

নির্যাতিতার দাবি, বিজয়বর্গীয় এবং অন্য দু'জন তাঁকে 2018 সালের নভেম্বর মাসে ধর্ষণ করেন ৷ এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় ৷ নির্যাতিতার দাবি, পুলিশ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও এফআইআর করতে চায়নি ৷ এরপর তিনি আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফআইআর করার আর্জি জানিয়ে আবেদন জানান ৷

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর আবেদন খারিজ করে দেন ৷ অভিযোগকারী তাঁর আবেদনে ভারতীয় দণ্ডবিধির 156(3) ধারার আওতায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিককে এফআইআর দায়ের করা এবং তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিলেন ৷ এরপর অভিযোগকারী পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান কলকাতা হাইকোর্টে ৷ এরপর 2021 সালের 1 অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট এই আবেদন গ্রহণ করে ৷ আলিপুর আদালত 2020 সালের 12 নভেম্বর যে রায় দিয়েছিল তা খারিজ করে দেয় ৷ এরপর মামলা যায় সর্বোচ্চ আদালতে ।

আরও পড়ুন: কৈলাস-সহ 3 বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার শুনানি শুক্রবার

নয়াদিল্লি, 5 মে: ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় । তাঁর সঙ্গে প্রদীপ জোশী থেকে শুরু করে জিষ্ণু বসুর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে ৷ 2018 সালের নভেম্বর মাসে এই বিজেপি নেতা-সহ বাকিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন এক মহিলা ৷ সে সময় কৈলাশ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।

সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি ৷ আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতও নির্যাতিতার আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ এরপর কলকাতা হাইকোর্টে তিনি আবেদন জানালে আদালত বিষয়টি ফের আলিপুরের কাছে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে দেয় ৷ আরও পরে কৈলাশ এবং অন্যরা কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ৷ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আলিপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এই ধর্ষণের অভিযোগ ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল ৷

এদিন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানায়, কলকাতা হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলাটি ফিরিয়ে দেয় ৷ ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ তা খারিজ করে দিয়েছে বেঞ্চ ৷ বেঞ্চের নির্দেশ, ম্যাজিস্ট্রেট ফের এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখুক এবং তারপর ভারতীয় দণ্ডবিধির 156(3) ধারা কার্যকর করা যায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ৷

এই ধর্ষণের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ যদিও সর্বোচ্চ আদালত সেই নির্দেশও খারিজ করে দিয়েছে ৷ তবে ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চায়নি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ৷ তাতে বিচারব্যবস্থা প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছেন দুই বিচারপতি ৷ সুপ্রিম কোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে এই ঘটনায় অভিযুক্তের সব তথ্য এবং ইমেল হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগকারী অনেক দেরিতে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ এ নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, আদালত জানে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যে কোনও মহিলার পক্ষে অভিযোগ দায়ের করা যথেষ্ট সমস্যাপূর্ণ ৷

নির্যাতিতার দাবি, বিজয়বর্গীয় এবং অন্য দু'জন তাঁকে 2018 সালের নভেম্বর মাসে ধর্ষণ করেন ৷ এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় ৷ নির্যাতিতার দাবি, পুলিশ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও এফআইআর করতে চায়নি ৷ এরপর তিনি আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফআইআর করার আর্জি জানিয়ে আবেদন জানান ৷

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর আবেদন খারিজ করে দেন ৷ অভিযোগকারী তাঁর আবেদনে ভারতীয় দণ্ডবিধির 156(3) ধারার আওতায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিককে এফআইআর দায়ের করা এবং তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিলেন ৷ এরপর অভিযোগকারী পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান কলকাতা হাইকোর্টে ৷ এরপর 2021 সালের 1 অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট এই আবেদন গ্রহণ করে ৷ আলিপুর আদালত 2020 সালের 12 নভেম্বর যে রায় দিয়েছিল তা খারিজ করে দেয় ৷ এরপর মামলা যায় সর্বোচ্চ আদালতে ।

আরও পড়ুন: কৈলাস-সহ 3 বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার শুনানি শুক্রবার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.