ETV Bharat / state

Protest Against NEP: জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে শুক্রবার পথে নামবে শিক্ষক সংগঠন

আগামী শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) সামনে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির নির্দেশিকা পুড়িয়ে এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন শিক্ষক সংগঠন ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Mar 22, 2023, 6:22 PM IST

কলকাতা, 22 মার্চ: রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি (National New Education Policy) প্রণয়ন করার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল শিক্ষক মহলের একাংশ । সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার কলকাতা বিশ্বিদ্যালয়ের সামনে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির নির্দেশিকা পুড়িয়ে এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা ৷ স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষিকা এই প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করবেন। শুধুমাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই নয়, ওই দিন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে ৷

সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, গত 17 মার্চ রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি 2020-র অন্তর্গত কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী চার বছরের স্নাতক কোর্সের কথা ঘোষণা করেছে। বিকল্প শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না-করে, জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সম্পর্কে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী তা জনসমক্ষে না-প্রকাশ করে রাজ্য সরকার উক্ত জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করল। চার বছরের ডিগ্রি কোর্স, কোর্স অ্যান্ড ক্রেডিট সিস্টেম, মাল্টিপল এন্ট্রি ও এক্সিট, একাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট প্রভৃতি চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক সদস্য বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "একজন পড়ুয়া একটি কলেজে কিছুদিন পড়ে ক্রেডিট সংগ্রহ করে সেই কলেজ ছেড়ে আরও এক কলেজে ভরতি হতে পারবে। সেখানে কিছুদিন পড়ে ক্রেডিট সংগ্রহ করে আর এক কলেজে ভরতি হতে পারবে। এমনকী সেই পড়ুয়া ইচ্ছে হলে বিষয় বা স্ট্রিমও পরিবর্তন করতে পারবে। নেপ (National New Education Policy) দাবি করছে যে এতে নাকি সেই পড়ুয়ার স্কিল বাড়বে। পড়ুয়াদের এমন স্বাধীনতা দেওয়ার নামে তাঁদের কেরিয়ারে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। ছাত্রছাত্রীরা আসলে কিছুই শিখবেন না। ফলে তাঁদের যতটুকু শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ ছিল তাও ধ্বংস হয়ে যাবে। ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়বে। পড়ুয়াকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চালুর কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে আসলে। এই দাবিটি পাশাপাশি রাজ্যের 8 হাজার 207টি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ও বিরোধিতা জানাই।"

আরও পড়ুন: 'শিক্ষা চোর, চাকরি চোর, ডিএ চোর সরকার, আর নেই দরকার', ডিএ আন্দোলনের রেশ হাইকোর্টেও

তিনি আরও জানান যে, স্নাতক স্তরের কলেজ ও অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশ থেকে কপি করা একটা শিক্ষা নীতি স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না-করে কেন্দ্র সরকার চালু করছে এবং রাজ্য সরকার একই পথে হাঁটল। তাই আগামীতে এর বিরুদ্ধে আগামী 24 মার্চ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গেটে বিক্ষোভ হবে, রাজ্য সরকারি অর্ডারের কপি পোড়ানো হবে। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে।

কলকাতা, 22 মার্চ: রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি (National New Education Policy) প্রণয়ন করার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল শিক্ষক মহলের একাংশ । সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামী শুক্রবার কলকাতা বিশ্বিদ্যালয়ের সামনে ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির নির্দেশিকা পুড়িয়ে এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন তাঁরা ৷ স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষিকা এই প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করবেন। শুধুমাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই নয়, ওই দিন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে ৷

সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, গত 17 মার্চ রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি 2020-র অন্তর্গত কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী চার বছরের স্নাতক কোর্সের কথা ঘোষণা করেছে। বিকল্প শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না-করে, জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 সম্পর্কে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী তা জনসমক্ষে না-প্রকাশ করে রাজ্য সরকার উক্ত জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করল। চার বছরের ডিগ্রি কোর্স, কোর্স অ্যান্ড ক্রেডিট সিস্টেম, মাল্টিপল এন্ট্রি ও এক্সিট, একাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিট প্রভৃতি চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক সদস্য বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "একজন পড়ুয়া একটি কলেজে কিছুদিন পড়ে ক্রেডিট সংগ্রহ করে সেই কলেজ ছেড়ে আরও এক কলেজে ভরতি হতে পারবে। সেখানে কিছুদিন পড়ে ক্রেডিট সংগ্রহ করে আর এক কলেজে ভরতি হতে পারবে। এমনকী সেই পড়ুয়া ইচ্ছে হলে বিষয় বা স্ট্রিমও পরিবর্তন করতে পারবে। নেপ (National New Education Policy) দাবি করছে যে এতে নাকি সেই পড়ুয়ার স্কিল বাড়বে। পড়ুয়াদের এমন স্বাধীনতা দেওয়ার নামে তাঁদের কেরিয়ারে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। ছাত্রছাত্রীরা আসলে কিছুই শিখবেন না। ফলে তাঁদের যতটুকু শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ ছিল তাও ধ্বংস হয়ে যাবে। ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়বে। পড়ুয়াকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চালুর কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে আসলে। এই দাবিটি পাশাপাশি রাজ্যের 8 হাজার 207টি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ও বিরোধিতা জানাই।"

আরও পড়ুন: 'শিক্ষা চোর, চাকরি চোর, ডিএ চোর সরকার, আর নেই দরকার', ডিএ আন্দোলনের রেশ হাইকোর্টেও

তিনি আরও জানান যে, স্নাতক স্তরের কলেজ ও অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশ থেকে কপি করা একটা শিক্ষা নীতি স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না-করে কেন্দ্র সরকার চালু করছে এবং রাজ্য সরকার একই পথে হাঁটল। তাই আগামীতে এর বিরুদ্ধে আগামী 24 মার্চ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গেটে বিক্ষোভ হবে, রাজ্য সরকারি অর্ডারের কপি পোড়ানো হবে। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.