ETV Bharat / state

Santunu attacks Sukanta: 'অভিষেক ও মমতা মধ্য গগনের সূর্য, বিজেপি নেতারা ঝলসে যাবেন', সুকান্তকে পালটা শান্তনুর - Nabanna Abhijan

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । অভিষেকের 'মাথায় গুলি করার' মতো কথা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান সুকান্ত ৷ তবে এদিন মামলা না করেই ফিরতে হয় তাঁকে । এরপরই অভিষেক ও মমতাকে মধ্য গগনের সূর্যের সঙ্গে তুলনা করেন তৃণমূলের শান্তনু সেন (Santunu Sen) ৷ বিজেপি নেতারা যত সেদিকে তাকাবে, ঝলসে যাবেন বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷

Santunu Sen criticises Sukanta Majumdar to register case over Nabanna Abhijan
Santunu Sen criticises Sukanta Majumdar to register case over Nabanna Abhijan
author img

By

Published : Sep 29, 2022, 1:28 PM IST

কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: ওরা সহনশীলতা দেখিয়েছে । আমি থাকলে এখানে (কপালে) গুলি করতাম । অভিষেকের (Abhishek Banerjee) এই বক্তব্যের পর 15 দিন অতিবাহিত। অবশেষে চতুর্থীর দিন এই নিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা করতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তবে প্রথমে সরকারি আইনজীবীর বিরোধিতা এবং তার পর আদালত কক্ষে তুমুল হট্টগোলের জেরে মামলা না করেই ফিরতে হয় সুকান্তকে ।

এদিন অভিষেকের মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিজেপির সদস্য হিসেবে তাঁরা যে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) করেছিলেন সেখানে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় পদ্ম শিবিরের কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করে । তাঁদের সঙ্গে গণ্ডগোল করে এবং পরবর্তী সময় পুলিশের আহত কর্মীকে দেখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'মাথায় গুলি করার' মতো মন্তব্য করেছেন ৷ এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । সে কারণেই এই মামলা দায়েরর বিষয়টি আসে ৷

প্রশ্ন উঠছে কেন 15 দিন বাদে এই মামলার বিষয়টি তাঁদের মাথায় এল । তারও জবাব দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব । বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যের পর 15 দিন সময় অতিবাহিত হলেও এই সময়কালে অভিষেকের ওই 'গুলি' মন্তব্যের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর করতে চেয়েছিলেন তাঁদের একাধিক নেতা । কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেনি । এবার তাই অভিষেকের বিরুদ্ধে আদালতের দুয়ারে খোদ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।

এদিন এর পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santunu Sen) । তিনি বলেন, "রাজনীতির লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে কখনওকোর্ট কাছারি কখনও সিবিআই-ইডি কখনও আবার ধর্মীয় উস্কানির সাহায্য নিচ্ছে বিজেপি নেতারা । 13 সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের সময় বহিরাগত গুন্ডারা কলকাতার রাজপথে সন্ত্রাস চালাল । 27 জন পুলিশ কর্মীকে নিগ্রহ করল । দেবজিৎ বাবুর মতো এসিপি পদমর্যাদার পুলিশকে বাঁশ দিয়ে, লোহার রড দিয়ে লাঠি দিয়ে, মেরে হাত পা ভেঙে দিয়ে খুনের চেষ্টা করল । পুলিশের গাড়ি জ্বালাল । সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করল ৷ শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক উস্কানি বা কমিউনাল টেনশন তৈরির চেষ্টা হল ৷ তারপরেও বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ বা অন্যান্য রাজ্যের মত পুলিশ এনকাউনটার না করে ধৈর্যের পরিচয় বা সহনশীলতার পরিচয় দিল । সেটারই তুলনা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলেছিলেন ।"

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলা করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরলেন সুকান্ত

তিনি আরও বলেন, "বিজেপি নিম্নমানের রাজনীতি করতে গিয়ে কোর্টকাচারি করছে । তারা তাই করুক । তারা এসব যত করবে ততই তৃণমূলের ভোট বাড়বে । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই মুহূর্তে বাংলার আকাশের মধ্য গগনের সূর্য । এক্ষেত্রে সুকান্ত বাবুরা যতই এই সূর্যের দিকে তাকাবেন তাদের চোখ ঝলসে যাবে । তাদের কিছুই হবে না । বাংলার মানুষ এই মুহূর্তে দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে । এই মামলা নিয়ে কারও কিছু যায় আসবে না।"

কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: ওরা সহনশীলতা দেখিয়েছে । আমি থাকলে এখানে (কপালে) গুলি করতাম । অভিষেকের (Abhishek Banerjee) এই বক্তব্যের পর 15 দিন অতিবাহিত। অবশেষে চতুর্থীর দিন এই নিয়ে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা করতে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তবে প্রথমে সরকারি আইনজীবীর বিরোধিতা এবং তার পর আদালত কক্ষে তুমুল হট্টগোলের জেরে মামলা না করেই ফিরতে হয় সুকান্তকে ।

এদিন অভিষেকের মন্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিজেপির সদস্য হিসেবে তাঁরা যে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) করেছিলেন সেখানে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় পদ্ম শিবিরের কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করে । তাঁদের সঙ্গে গণ্ডগোল করে এবং পরবর্তী সময় পুলিশের আহত কর্মীকে দেখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'মাথায় গুলি করার' মতো মন্তব্য করেছেন ৷ এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । সে কারণেই এই মামলা দায়েরর বিষয়টি আসে ৷

প্রশ্ন উঠছে কেন 15 দিন বাদে এই মামলার বিষয়টি তাঁদের মাথায় এল । তারও জবাব দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব । বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যের পর 15 দিন সময় অতিবাহিত হলেও এই সময়কালে অভিষেকের ওই 'গুলি' মন্তব্যের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে এফআইআর করতে চেয়েছিলেন তাঁদের একাধিক নেতা । কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করেনি । এবার তাই অভিষেকের বিরুদ্ধে আদালতের দুয়ারে খোদ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।

এদিন এর পালটা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santunu Sen) । তিনি বলেন, "রাজনীতির লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পেরে কখনওকোর্ট কাছারি কখনও সিবিআই-ইডি কখনও আবার ধর্মীয় উস্কানির সাহায্য নিচ্ছে বিজেপি নেতারা । 13 সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের সময় বহিরাগত গুন্ডারা কলকাতার রাজপথে সন্ত্রাস চালাল । 27 জন পুলিশ কর্মীকে নিগ্রহ করল । দেবজিৎ বাবুর মতো এসিপি পদমর্যাদার পুলিশকে বাঁশ দিয়ে, লোহার রড দিয়ে লাঠি দিয়ে, মেরে হাত পা ভেঙে দিয়ে খুনের চেষ্টা করল । পুলিশের গাড়ি জ্বালাল । সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করল ৷ শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক উস্কানি বা কমিউনাল টেনশন তৈরির চেষ্টা হল ৷ তারপরেও বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ বা অন্যান্য রাজ্যের মত পুলিশ এনকাউনটার না করে ধৈর্যের পরিচয় বা সহনশীলতার পরিচয় দিল । সেটারই তুলনা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলেছিলেন ।"

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলা করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরলেন সুকান্ত

তিনি আরও বলেন, "বিজেপি নিম্নমানের রাজনীতি করতে গিয়ে কোর্টকাচারি করছে । তারা তাই করুক । তারা এসব যত করবে ততই তৃণমূলের ভোট বাড়বে । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই মুহূর্তে বাংলার আকাশের মধ্য গগনের সূর্য । এক্ষেত্রে সুকান্ত বাবুরা যতই এই সূর্যের দিকে তাকাবেন তাদের চোখ ঝলসে যাবে । তাদের কিছুই হবে না । বাংলার মানুষ এই মুহূর্তে দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে । এই মামলা নিয়ে কারও কিছু যায় আসবে না।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.