কলকাতা, 19 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের ছবি প্রযোজনার ব্যবসা রয়েছে (Santanu Aide Ayan was Associated with Tollywood Production House)। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সল্টলেকে অয়নের বাড়ি এবং অফিসে রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক নথিপত্র এবং ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন পেশায় প্রোমোটার সল্টলেকের বাসিন্দা অয়ন শীল রীতিমতো টলিউডের নিজের পসার জমিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, টলিউডের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই অয়ন শীল। গোয়েন্দাদের অনুমান যে, অয়নশীল মারফত নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি কালো টাকা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে টলিউডের খাটানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে টলিউডের পাঁচ থেকে ছ'জন অভিনেতা ও অভিনেত্রী রয়েছেন। এছাড়াও একাধিক প্রভাবশালীও ইডির স্ক্যানারে রয়েছে বলে দাবি, কর্তৃপক্ষের। হুগলির অপর বহিষ্কৃত ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। যদিও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের দু'বারের জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে বনি সেনগুপ্ত সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। কিন্তু গোয়েন্দাদের অনুমান এখনও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এমন রয়েছেন যারা টলিউডে সরাসরি বিনিয়োগ করতে কুন্তল এবং শান্তনুকে ঢাল করেছিল ৷ যাদের মধ্যে অন্যতম সল্টলেকের প্রোমোটার অয়ন শীল।
আরও পড়ুন: শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের ভাড়া বাড়িতে ইডি অভিযান, ফের প্রকাশ্যে টলিউড যোগ
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের আরও খবর, শুধু প্রযোজনা সংস্থা নয় বরং একাধিক মিসিং লিংক রয়েছে এই অয়ন শীলের নামে। ইতিমধ্যেই তাঁর সল্টলেকের অফিস এবং বাড়ি থেকে মিলেছে প্রায় 400টি ওএমআর শিট-সহ এসএসসির একাধিক চাকরিপ্রার্থীর নাম, রোল নম্বর এবং খাতা।গোয়েন্দারা অনুমান করছেন, উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিট এবং খাতাগুলি সেই সকল চাকরিপ্রার্থীদের যারা টাকার বিনিময়ে চাকরি হাসিল করেছিলেন। তদন্ত করে এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নিয়োগ দুর্নীতি তো প্রকাশ্যে এসেছেই। কিন্তু এই নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই শুধুমাত্র শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের সুপারিশে বেশ কয়েকজনের চাকরি আলাদাভাবে হয়েছিল। আর সেই টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন হুগলির বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা বর্তমানে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।