কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের কাছে একটা বিষয় শিক্ষণীয় হল ধারাবাহিকতা । তৃণমূল যায়, ইস্তেহার প্রকাশ করে, প্রতিশ্রুতি দেয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণও করে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই জামানতের জামানত বাজেয়াপ্ত করে ফিরে আসে । নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফর নিয়ে বুধবার এভাবেই কটাক্ষ করলেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। এই বিষয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "তৃণমূল কী বক্তব্য রাখল তা যেমন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনই ত্রিপুরার মানুষের কাছেও নয় ।"
আজ বিধানসভায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বক্তব্য রাখার সময় কাগজ ছিঁড়ে ওয়াক আউট করেন বিরোধীদলের বিধায়করা । এই বিষয় শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "রাজ্যপাল রাজ্যের যা অভিমুখ সেটাই ভাষণ দেবেন । কিন্তু আজ আমরা বিরোধী দল হিসেবে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেছি । তার কারণ হল পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তিত পরিস্থিতি অস্বাভাবিক । যেখানে মানুষের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়ে চলেছে । তাই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দলের মনে হয়েছে যে আজকে রাজ্যপালের এই ভাষণ রাজ্যের মানুষ এবং রাজ্যের ভবিষ্যতের পক্ষে সুখকর নয় । আর স্বাভাবিকভাবে বিরোধী দলের অবস্থান থেকে বিজেপির পক্ষেও নয় ।"
তিনি আরও বলেন, "আগে যে রাজ্যপাল ছিলেন তাঁর সঙ্গে বিরোধ রাজ্য সরকারই টেনে নিয়ে এসেছিলেন । বিভিন্ন সময় তাঁকে কদর্যভাবে আক্রমণ করা হয়েছে । কিছু জিনিস জানতে চাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করারও দাবি তুলেছে তৃণমূল । সেই পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল । তখনকার পশ্চিমবঙ্গ আর এখনকার পশ্চিমবঙ্গ ভিন্ন । এখন সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসেছে নিজের অধিকার বুঝে নিতে । তাঁরা মুখ খুলেছেন । নিজেদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা বলছেন । তখন এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তাঁর এই ভূমিকায় আমরা কেন কেউই সন্তুষ্ট হতে পারে না ।"
তাঁর কথায়, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে না ৷ তাঁরা ত্রিপুরায় গিয়ে তা দেবে বলছে । তৃণমূল কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে । কংগ্রেসের কোনও কোনও বিধায়ক লখনৌতে যোগাযোগ রেখেছেন । তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কোন বিধায়ক লখনৌতে গিয়েছেন ? এবার উত্তরবঙ্গে একটি আসনেও তৃণমূল জিতবে না । সবকটি আসনে বিজেপি প্রার্থী জিতবে না ।"
আরও পড়ুন : ফের কি বিধায়কদের দলবদল ? রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্যে অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে