ETV Bharat / state

আন্দোলনের পাশাপাশি চলুক প্যারালাল আউটডোর, পরামর্শ মেডিকেল প্রফেসরের - doctor

রেজ়াউল করিম গতকাল এসেছিলেন নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে। তবে এই প্রথমবার আন্দোলনের তাঁবুর তলায় দাঁড়িয়ে কেউ পরামর্শ দিলেন, “ আন্দোলন চলুক, পাশাপাশি চলুক প্যারালাল আউটডোর। যাতে সাধারণ মানুষ ডাক্তারদের ভুল না বোঝে ।"

প্রফেসর ডা: রেজ়াউল করিম
author img

By

Published : Jun 16, 2019, 2:35 AM IST

Updated : Jun 16, 2019, 9:31 AM IST

কলকাতা, 16 জুন : চিকিৎসক হিসেবে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে । রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন উচ্চপদে। পাশাপাশি যোগ্য ছাত্র তৈরিতেও তাঁর ছিল সমান আগ্রহ। এহেন প্রফেসর ডা: রেজ়াউল করিমকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর ছাত্ররা। বৈশিষ্ট্য, নিজের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উজাড় করে ছাত্রদের সামনে বলা। রেজ়াউল গতকাল এসেছিলেন নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে। তবে এই প্রথমবার আন্দোলনের তাঁবুর তলায় দাঁড়িয়ে কেউ পরামর্শ দিলেন, “ আন্দোলন চলুক, পাশাপাশি চলুক প্যারালাল আউট ডোর। যাতে সাধারণ মানুষ ডাক্তারদের ভুল না বোঝে ।"

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান তাঁবুতে এসেছেন অনেকেই। বলা ভালো প্রতিদিনই আসছেন বহু মানুষ। নানা পেশার। গতকাল যেমন এলেন বেশকিছু আইনজীবী। শুক্রবার এসেছিলেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনের মতো বুদ্ধিজীবীরা। প্রত্যেকেই সমর্থন জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। অন্য জগতের মানুষের পাশাপাশি সেখানে আছেন বহু সিনিয়র চিকিৎসক। গতকাল অনেকের মতোই এসেছিলেন রেজ়াউল। আন্দোলনের সমর্থনে রাখেন বক্তব্য। বলেন, “ প্রশাসনিক প্রধানকে প্রধানের মতোই কাজ করতে হবে। রাজনীতিতো সবসময়ই করা যায়। আমরা কেউ নিরপেক্ষ বললে ভুল হবে। প্রত্যেকেই কোনও না কোনও দলের সমর্থক। কিন্তু যখন আমরা হাসপাতালে ঢুকি, রোগী দেখি, তখন আমাদের অন্য কোনও মত নেই । তখন আমরা সবাই চেষ্টা করি রোগীকে বাঁচাতে । আর উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বললেন, আমরা পদবি দেখে চিকিৎসা করি। এর থেকে নিম্নমানের রাজনৈতিক বক্তব্য আমি আর শুনিনি। এই ধরনের বিভেদ যেটা উনি করেন, সেটা যে আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে, সেটা আমি ভাবতে পারিনি।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

রেজ়াউল লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের তরফে লড়েছেন বীরভূম কেন্দ্র থেকে। তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের মধ্যে দড়ি টানাটানিও হয়। পরে বামফ্রন্টের তরফেই তিনি ভোটে লড়াই করেন। আজ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, “ 5 জনকে ধরা হয়েছে বলা হচ্ছে, আমার তো কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ! যে নামগুলো আছে তার সঙ্গে রাজনৈতিক এবং অন্যান্য পরিচয় আছে বলে শুনছি ।"

এই সংক্রান্ত খবর : NRS-এর ঘটনায় রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

আন্দোলনকারী ছাত্রদের উদ্দেশে রেজ়াউল বলেন, "যে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ শুক্রবারের মিছিলে হেঁটেছেন তাদের কাছে তোমরা কিন্তু জিতে গেছো । সেটাকে তোমাদের ধরে রাখতে হবে। সেটা খুব কঠিন কাজ। তোমরা যদি চাও আলোচনা করতে পারো, কথা বলে দেখো। আর যদি সেটা না হয় তবে দীর্ঘকালীন আন্দোলন চালাতে গেলে একটা পথ বের করতে হবে। তোমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রোগী দেখার একটা প্যারালাল ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সাধারণ মানুষ যেন কোনও ভাবে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। এর আগে চিকিৎসকদের আন্দোলনে প্যারালাল আউটডোরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেটা তোমরা ভেবে দেখতে পারো। একটা এগজ়িট রুট বের করতে হবে। "

এই সংক্রান্ত খবর : চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তার আশ্বাস দিন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের

কলকাতা, 16 জুন : চিকিৎসক হিসেবে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে । রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন উচ্চপদে। পাশাপাশি যোগ্য ছাত্র তৈরিতেও তাঁর ছিল সমান আগ্রহ। এহেন প্রফেসর ডা: রেজ়াউল করিমকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর ছাত্ররা। বৈশিষ্ট্য, নিজের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উজাড় করে ছাত্রদের সামনে বলা। রেজ়াউল গতকাল এসেছিলেন নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে। তবে এই প্রথমবার আন্দোলনের তাঁবুর তলায় দাঁড়িয়ে কেউ পরামর্শ দিলেন, “ আন্দোলন চলুক, পাশাপাশি চলুক প্যারালাল আউট ডোর। যাতে সাধারণ মানুষ ডাক্তারদের ভুল না বোঝে ।"

আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান তাঁবুতে এসেছেন অনেকেই। বলা ভালো প্রতিদিনই আসছেন বহু মানুষ। নানা পেশার। গতকাল যেমন এলেন বেশকিছু আইনজীবী। শুক্রবার এসেছিলেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনের মতো বুদ্ধিজীবীরা। প্রত্যেকেই সমর্থন জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। অন্য জগতের মানুষের পাশাপাশি সেখানে আছেন বহু সিনিয়র চিকিৎসক। গতকাল অনেকের মতোই এসেছিলেন রেজ়াউল। আন্দোলনের সমর্থনে রাখেন বক্তব্য। বলেন, “ প্রশাসনিক প্রধানকে প্রধানের মতোই কাজ করতে হবে। রাজনীতিতো সবসময়ই করা যায়। আমরা কেউ নিরপেক্ষ বললে ভুল হবে। প্রত্যেকেই কোনও না কোনও দলের সমর্থক। কিন্তু যখন আমরা হাসপাতালে ঢুকি, রোগী দেখি, তখন আমাদের অন্য কোনও মত নেই । তখন আমরা সবাই চেষ্টা করি রোগীকে বাঁচাতে । আর উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বললেন, আমরা পদবি দেখে চিকিৎসা করি। এর থেকে নিম্নমানের রাজনৈতিক বক্তব্য আমি আর শুনিনি। এই ধরনের বিভেদ যেটা উনি করেন, সেটা যে আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে, সেটা আমি ভাবতে পারিনি।"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

রেজ়াউল লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের তরফে লড়েছেন বীরভূম কেন্দ্র থেকে। তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের মধ্যে দড়ি টানাটানিও হয়। পরে বামফ্রন্টের তরফেই তিনি ভোটে লড়াই করেন। আজ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, “ 5 জনকে ধরা হয়েছে বলা হচ্ছে, আমার তো কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না ! যে নামগুলো আছে তার সঙ্গে রাজনৈতিক এবং অন্যান্য পরিচয় আছে বলে শুনছি ।"

এই সংক্রান্ত খবর : NRS-এর ঘটনায় রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

আন্দোলনকারী ছাত্রদের উদ্দেশে রেজ়াউল বলেন, "যে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ শুক্রবারের মিছিলে হেঁটেছেন তাদের কাছে তোমরা কিন্তু জিতে গেছো । সেটাকে তোমাদের ধরে রাখতে হবে। সেটা খুব কঠিন কাজ। তোমরা যদি চাও আলোচনা করতে পারো, কথা বলে দেখো। আর যদি সেটা না হয় তবে দীর্ঘকালীন আন্দোলন চালাতে গেলে একটা পথ বের করতে হবে। তোমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রোগী দেখার একটা প্যারালাল ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সাধারণ মানুষ যেন কোনও ভাবে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। এর আগে চিকিৎসকদের আন্দোলনে প্যারালাল আউটডোরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেটা তোমরা ভেবে দেখতে পারো। একটা এগজ়িট রুট বের করতে হবে। "

এই সংক্রান্ত খবর : চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তার আশ্বাস দিন, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের

Intro:কলকাতা, ১৬ জুন: চিকিৎসক হিসেবে তার খ্যাতি আছে ষোল আনা। রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন উচ্চপদে। পাশাপাশি যোগ্য ছাত্র তৈরিতেও তাঁর ছিল সমান আগ্রহ। এহেন প্রফেসর ডা: রেজাউল করিমকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর ছাত্ররা। বৈশিষ্ট্য, নিজের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা উজাড় করে ছাত্রদের সামনে বলা। রেজাউল গতকাল এসেছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে। তবে এই প্রথমবার আন্দোলনের তাঁবুর তলায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার কেউ পরামর্শ দিলেন, “ আন্দোলন চলুক, পাশাপাশি চলুক প্যারালাল আউট ডোর। যাতে সাধারণ মানুষ আপনাদের না ভুল বোঝে।"Body:অবস্থান তাঁবুতে এসেছেন অনেকেই। বলা ভালো প্রতিদিনই আসছেন বহু মানুষ। নানা পেশার। আজ যেমন এলেন বেশকিছু আইনজীবী। গতকাল এসেছিলেন অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনের মতো বুদ্ধিজীবীরা। প্রত্যেকেই সমর্থন জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। অন্য জগতের মানুষের পাশাপাশি সেখানে আছেন বহু সিনিয়ার চিকিৎসক। আজ অনেকের মতোই এসেছিলেন রেজাউল। আন্দোলনের সমর্থনে রাখেন বক্তব্য। বলেন, “ প্রশাসনিক প্রধানকে প্রধানের মতোই কাজ করতে হবে। রাজনীতিতো সবসময়ই করা যায়। আমরা কেউ নিরপেক্ষ বললে ভুল হবে। প্রত্যেকেই কোন না কোন দলের সমর্থক। যখন আমরা হাসপাতালে ঢুকি, রোগী দেখি, তখন আমাদের অন্য কোনও মত নেই। তখন আমরা সবাই দেখি রোগীকে বাঁচাতে হবে। আর উনি বললেন আমরা পদবি দেখে চিকিৎসা করি। এর থেকে নিম্নমানের রাজনৈতিক বক্তব্য আমি আর শুনিনি। এই ধরনের বিভেদ যেটা উনি করেন, সেটা আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে সেটা আমি ভাবতে পারিনি।"Conclusion:রেজাউল লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের তরফে লড়েছেন বীরভূম কেন্দ্র থেকে। তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের মধ্যে দড়ি টানাটানিও হয়। পরে বামফ্রন্টের তরফেই তিনি প্রতিযোগিতা করেন। আজ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের আন্দোলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, “ 5 জনকে ধরা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে, আমার তো কেমন যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। যে নাম গুলো আছে তার সঙ্গে রাজনৈতিক এবং অন্যান্য পরিচয় আছে বলে শুনছি। যে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ শুক্রবারের মিছিলে হেঁটেছেন তাদের কাছে তোমরা কিন্তু জিতে গেছো। সেটাকে তোমাদের ধরে রাখতে হবে। সেটা খুব কঠিন কাজ। তোমরা যদি চাও আলোচনা করতে পারো, কথা বলে দেখো। আর যদি সেটা না হয় তবে দীর্ঘকালীন আন্দোলন চালাতে গেলে একটা পথ বের করতে হবে। তোমাদের একটা রোগী দেখার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ সাধারণ মানুষ কোনও ভাবে যাতে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। এর আগে চিকিৎসক আন্দোলনে প্যারালাল আউটডোরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেটা তোমরা ভেবে দেখতে পারো। অনন্ত কাল এটা চালিও না। একটা এক্সিট রুট বের করতে হবে। আলোচনা চালিয়ে যাও।"
Last Updated : Jun 16, 2019, 9:31 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.