কলকাতা, 11 এপ্রিল: বেলগাছিয়া বস্তির (Belgachia model slum) যে দিক থেকেই ঢোকা যায়, সেদিকেই বড় বড় লাইট লাগানো গেটে লেখা 'মডেল বস্তি'। তবে ভিতরে ঢুকলে মানুষজনের কথায় স্পষ্ট, মডেল বস্তির আসল চেহারাটা ঠিক কী রকম । বস্তির বেশির ভাগ রাস্তাই ভাঙাচোরা । এ দিক ও দিক পড়ে থাকছে আবর্জনা । আবার কোথাও জঞ্জালের স্তুপ । বেহাল নিকাশির ব্যবস্থা (KMC sanitation work)৷ বর্ষার সময় জমা জলের দুর্ভোগে ক্ষুব্ধ মানুষজন । তবে বর্ষার আগে জোরকদমে নিকাশি ও রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে ৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানালেন, বর্ষা হলে হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কয়েকদিন (KMC road repairing)। বড় বড় পাম্প লাগিয়ে জল বের করার চেষ্টা করা হয় । তাও সময় লাগে ভালই । নিকাশির অবস্থা খুবই খারাপ ।
সামনে ফের বর্ষা আসছে । সেই দুর্ভোগ কী আবার ফিরবে ? এই প্রশ্নই ঘুরছে বস্তিবাসীর মনে । যদিও এমন পরিস্থিতিতে খানিক স্বস্তি দিচ্ছে স্থানীয় কাউন্সিলর দেবিকা চক্রবর্তীর তৎপরতা । বর্ষায় যাতে আর এলাকাবাসীকে নাজেহাল হতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই এখন থেকে বস্তির নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে । বেশ কিছু গলিতে চলছে নতুন পাইপ পাতার কাজ । আবার কিছু জায়গায় হচ্ছে নর্দমা তৈরির কাজ । পাশাপাশি হাঁটার মতো যোগ্য করে তোলা হচ্ছে রাস্তাগুলি ।
আরও পড়ুন: Drainage Problem : বেহাল নিকাশি, বর্ষার কথা ভেবেই আতঙ্কে প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটের বাসিন্দারা
স্থানীয় কাউন্সিলরের সেই উদ্যোগ দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকার মানুষজন । তবে বর্ষায় ঠিক কী হবে ? জল আর জমবে কি না, সে সব নিয়ে খানিক সংশয় আছে বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে । বস্তির অভ্যন্তরে মাদ্রাসি গলি, এসকে টেলার্স এবং জেকে ঘোষ রোড-সহ একাধিক জায়গায় চলছে সংস্কারের কাজ । অলিগলি মূলত কংক্রিট রাস্তায় প্যাচওয়ার্ক চলছে । জেকে ঘোষ রোডের নিকাশি নালা থেকে পলি তোলা হচ্ছে । এর জন্য প্রায় 25-30 লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে ।
বেলগাছিয়া বস্তির যে নিকাশি ও রাস্তার বিস্তর সমস্যা রয়েছে সেই কথা মেনে নিয়েছেন 3 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবিকা চক্রবর্তী । তাঁর দাবি, "এত দিন সে ভাবে কাজ না হওয়ার ফলেই মডেল বস্তির এই চেহারা । বিস্তর অভিযোগ পেয়েছি । তাই আমার লক্ষ্য, আগামী বর্ষার আগেই বস্তির রাস্তা, নিকাশির হল ফেরানোর । যাতে আর বস্তিবাসীদের নাজেহাল হতে না হয় ।"
আরও পড়ুন : কামারহাটির নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী পৌরসভা, কেএমডিএ