কলকাতা, 28 মার্চ : কোরোনার সংক্রমণ আটকাতে দেশজুড়ে লকডাউন ৷ এর মাঝে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নেমে পড়ছে কালোবাজারিতে ৷ এমনই এক ব্যবসায়ী ও তার সাগরেদকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ৷ তার কাছে উদ্ধার হয়েছে সাড়ে 27 লাখ টাকার রেশনের চাল ৷ কোথা থেকে ওই বিপুল পরিমাণ রেশনের চাল এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 21 দিনের লকডাউন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । প্রশাসনের একটা অংশ বলছে, লকডাউন তখনই সফল করা যাবে যখন মানুষের কাছে সহজেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া যায় । কারণ, মানুষ সহজে যদি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না পান তবে, সরকারি নির্দেশিকা ভেঙেই রাস্তায় বের হতে চাইবেন । একটা লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য একেবারে শেষ হয়ে যাবে । সেই কারণেই এই মুহূর্তে প্রশাসন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে সুলভে সরবরাহের দিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ।
কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে চাল-আটা এবং অন্যান্য জিনিসপত্র । রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশনে জিনিসপত্র দিচ্ছে । কিন্তু তারপরও কালোবাজারি থেমে নেই । চলছে বেআইনি মজুতদারী । তেমনই একজন সন্তোষ আগরওয়াল । বাড়ি কালিদাস লাহিড়ী লেনে । কাশিপুর রোডে তার একটি গোডাউন রয়েছে । সেখানে সন্তোষ তার সাগরেদ আমির আনসারি ওরফে ইসরাইলকে নিয়ে মজুত করছিল প্রচুর চাল । আমিরের বাড়ি গোপি মণ্ডল লেনে ৷
গোপন সূত্রে এই চাল মজুতের খবর পায় কাশিপুর থানা এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ । আজ সেখানে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের একটি দল । সঙ্গে ছিল কাশিপুর থানার পুলিশ । সেখানে 27 লাখ 44 হাজার টাকার রেশনের চাল উদ্ধার করে পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসরাইল এবং সন্তোষকে । ওই বিপুল পরিমাণ পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের চাল কী করে তাদের কাছে এল তা জানার চেষ্টা চলছে । ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে । সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ।
পুলিশের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, এই ধরনের কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে । না হলে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই কালোবাজারিরাই প্রশাসনকে পিছিয়ে দেবে ।