কলকাতা, 4 মে : নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতের পর এবার হাইকোর্টেও প্রশ্নের মুখে সিবিআই। তদন্তের নামে সিবিআই বার বার সময় চাওয়ায় আলিপুর আদালতের বিচারকের কাছে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছিল সিবিআই-এর আইনজীবীকে ৷ বৃহস্পতিবার ফের হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে সিবিআই।
মূলত, বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের জামিনের মামলা ওঠে ৷ অভিযুক্তের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, তদন্তের নামে আব্দুল খালেককে সিবিআই 76 দিন ধরে গ্রেফতার করে রেখেছে ৷ অথচ এফআইয়ার বা চার্জশিটে তাঁর নাম নেই ৷ এই পরিপ্রেক্ষীতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী অরুণ মাইতিকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ৷
আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশে বেঞ্চ বদলের পর নিয়োগের 2 মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ উভয় পক্ষের
এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনেক অভিযুক্তের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের মধ্যে কারা গ্রেফতার হয়েছেন ৷ নাম না করে দুর্নীতি মামলায় পরেশ অধিকারী ও অঙ্কিতা অধিকারী গ্রেফতার হয়েছেন কি না, তাও জানতে চান ৷ কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে বিচারককে দিতে পারেনি সিবিআইয়ের আইনজীবী অরুণ মাইতি ৷ এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন, সিবিআই এতদিন ধরে তদন্ত করছে, তাহলে মূল সুবিধাভোগীদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ধৃত অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের থেকে কী কী তথ্য ও নথি পাওয়া গিয়েছে? তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কতদিন সময় লাগবে এই তদন্ত শেষ করতে? নানাবিধ প্রশ্নবাণে জর্জরিত হন সিবিআইয়ের আইনজীবী ৷ কোনও উত্তর না-থাকায় কার্যত নীরব থেকে গিয়েছেন তিনি ৷
এরপরেই অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্য়ায় বিচারকের কাছে জানান, আব্দুল খালেক একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মূল ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। চার্জশিটেও নাম নেই ধৃতের। তারপর তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধু সাপ্লিমেন্টারি চার্জসিটে নাম দেবে বলে কি এই ভাবে সিবিআই আটকে রাখার আবেদন করতে পারে? বিচারক তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, এই মামলায় যেহেতু জালিয়াতির ধারা যুক্ত হয়েছে, তাই মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ।