কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: নূন্যতম মাসিক 50 হাজার টাকা আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে ৷ এমনই এগারো দফা দাবিতে এবার দিল্লির সংসদ ভবন ঘেরাও করার ডাক রেশন ডিলারদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন’-এর ৷ উল্লেখ্য, দু’সপ্তাহ আগে এই সংগঠনের তরফে 72 ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল ৷ যার জেরে কয়েক কোটি উপভোক্তা রেশন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন ৷ এবার প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের দাবি-সহ সংসদ ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়ে চিঠি পাঠাল সংগঠনের রাজ্য শাখা (Ration Dealers Sent Letter to PM Narendra Modi) ৷ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে সেই স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন’-এর রাজ্য সংগঠন ৷
এদিন রাজ্যপালের হাতে সেই স্মারকলিপি তুলে দেন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন’-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু ৷ এই স্মারকলিপিতে মাসিক 50 হাজার টাকা রোজগারের নিশ্চয়তা এবং বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা চালু-সহ 11 দফা দাবি জানানো হয়েছে ৷ এই দাবি পূরণে গত 7, 8 ও 9 ফেব্রুয়ারি তিনদিনের রেশন ধর্মঘট ডেকেছিল ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন’ ৷ প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেই স্মারকলিপিতে দাবি না-মানলে আগামী 22 মার্চ সংসদ ভবন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ৷
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘ফেডারেশনের তরফে মোট 11 দফা দাবি রাখা হয়েছে ৷ আমাদের দাবি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলতে থাকবে ৷’’ তাদের 11 দফা দাবিগুলি হল,
1. গরীব মানুষের স্বার্থে এনএফএসএ কার্ডধারীদের প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার অতিরিক্ত 5 কিলো খাদ্যশস্যের সরবরাহ পুনর্বহাল করতে হবে ৷
2. রেশন ডিলারদের নূন্যতম মাসিক আয় 50 হাজার টাকা সুনিশ্চিত করতে হবে ৷
3. কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিযুক্ত ‘বিশ্ব খাদ্য নীতি’-এর সুপারিশ মেনে ন্যূনতম কুইন্টাল পিছু 764 টাকা কমিশন লাগু করতে হবে ৷
4. কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর বিবৃতিকে মান্যতা দিতে হবে ৷ যেখানে গ্রাহকদের দুর্ভোগ ও হয়রানি কমাতে জরুরি পরিস্থিতিতে ই-পিওএস মেশিনে আধার নম্বর দিয়ে রেশন বিলি করার অনুমতি দিতে হবে ৷
আরও পড়ুন: টানা তিন দিন দেশজুড়ে রেশন ধর্মঘট, বিপাকে পড়তে চলেছেন গ্রাহকরা
5. চাল, গম ও চিনিতে কুইন্টাল পিছু 1 কেজি করে হ্যান্ডলিং লস দিতে হবে ৷
6. মূল্যবৃদ্ধি রুখতে এবং একই সঙ্গে কৃষকদের উৎপাদনে উৎসাহ দিতে রেশন দোকান থেকে ভোজ্যতেল, ডাল এবং চিনি সরবরাহ করতে হবে ৷
7. খাদ্যশস্যের গুণমান বজায় রাখতে শুধুমাত্র চটের বস্তায় খাদ্যশস্য সরবরাহ করতে হবে ৷
8. গ্রামীণ এলাকায় রেশন দোকানগুলিকে চাল ও গমের ‘ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট এজেন্ট’ হিসাবে নিয়োগ করতে হবে ৷
9. ‘সকলের জন্য খাদ্য’ ও ‘পশ্চিমবঙ্গ রেশন মডেল’ অনুসরণ করে দেশজুড়ে প্রত্যেক নাগরিককে রেশন সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে ৷
10. রাজস্থানের ন্যায় দেশে করোনায় মৃত্যু হওয়া ডিলারদের পরিবারকে 50 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করতে হবে ৷
11. সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রেশন ডিলারদের পাওনা কমিশন অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে ৷