কলকাতা, 21 এপ্রিল: দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্ত চেয়ে আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার বাবা (Ranaghat Rape Case)। এরপর বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী । বিচারপতি আগামিকাল জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলা শুনবেন বলে জানিয়েছেন । গত 6 মার্চ নদিয়ার গাংনাপুরে বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে । অভিযোগ করা হয় ধর্ষণের পরে কীটনাশক খাইয়ে গৃহবধূকে হত্যার চেষ্টা করা হয় । 14 মার্চ কল্যাণীর সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর ।
আরও পড়ুন : Allegation of Gang Rape in Hooghly : কোন্নগরে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার 4
পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার পর তাঁরা বারবার পুলিশের কাছে গিয়েছেন । কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করেনি । থানায় সুরাহা না পেয়ে তারা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন । অভিযোগ, সেখান থেকেও তাঁরা কোনওরকম সাহায্য পায়নি । 6 মার্চের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও রকম এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ । সেই কারণেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার ।
প্রসঙ্গত, গত 6 মার্চ রাতে ছ'জন ব্যক্তি গণধর্ষণ করে ওই মহিলাকে । 7 তারিখ প্রথমে তাঁকে বনগাঁ হাসপাতাল ও পরে রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ 14 তারিখ অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে পাঠানো হয় । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । কল্যাণীর এক হাসপাতালে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করে দেয় দেহের ময়নাতদন্ত না করলে মৃত্যুর কারণ বোঝা সম্ভব নয় । পুলিশ দায়সারা করে দ্রুত ময়নাতদন্ত করে । কিন্তু তার রিপোর্ট নির্যাতিতার বাবাকে দেওয়া হয়নি । এ নিয়ে মৃতের বাবা গাংনাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগও নেয়নি ৷