ETV Bharat / state

Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্র না রাজ্য পুলিশ, ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন নির্বাচন কমিশনার - প্রায় 69 হাজার বুথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কীভাবে

পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের প্রায় 69 হাজার বুথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কীভাবে সাজাতে চাইছে কমিশন তা নিয়ে কার্যত বৃহস্পতিবারও ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা ৷

Etv Bharat
রাজ্যে গ্রাম বাংলার ভোট
author img

By

Published : Jun 8, 2023, 6:31 PM IST

Updated : Jun 8, 2023, 7:36 PM IST

ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন নির্বাচন কমিশনার

কলকাতা, 8 জুন: গ্রামবাংলার ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ পঞ্চায়েত ভোট যে দু'মাসের মধ্যেই হবে তা নিয়ে ধন্ধে ছিল না শাসক-বিরোধী কোনও শিবিরই ৷ তবে প্রশ্ন ছিল একটাই ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী হবে ? না, সেই উত্তর আজ অর্থাৎ, নির্বাচনী দিনঘোষণার দিনেও মিলল না ৷ পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের প্রায় 69 হাজার বুথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কীভাবে সাজাতে চাইছে কমিশন তা নিয়ে কার্যত বৃহস্পতিবারও ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা ৷ তবে ঠারেঠোরে তিনি রাজ্য পুলিশের উপরই যে বেশি ভরসা করছেন তা এদিন একরকম স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজীবা সিনহা ৷

পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মতে, রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন যৌথভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্ঘণ্টের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ৷ কমিশনারের দাবি, যেহেতু সরকার ভোটের ক্ষেত্রে কমিশনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে, সুতরাং এটা মনে করে নেওয়াই সমীচীন হবে যে, সরকারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনী মজুত রয়েছে ৷ তবে প্রশ্ন থাকছেই, এক দফার ভোটে রাজ্যের প্রায় 69 হাজার বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে আদৌ যথেষ্ট পরিমাণ পুলিশ কর্মী আছে কি ? তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশ দিয়েই কি পঞ্চায়েত ভোট করাতে চাইছে কমিশন? রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার জবাব, "রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হচ্ছে তা আমি বলিনি ৷"

আরও পড়ুন: ৮ জুলাই এক দফাতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, মনোনয়ন পেশ শুক্রবার থেকেই

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রাজীবা সিনহা ৷ যার জেরে এদিন থেকেই রাজ্যে নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে গেল ৷ কিন্তু গ্রাম বাংলের ভোটের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে সন্তুষ্ট যে নয় বিরোধীরা, তা তাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট ৷ নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ কীভাবে এত কেন্দ্রে মাত্র ছ'দিনে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ তবে কমিশনের উপরে আগেই চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরা ৷ সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল না করলেও, বিরোধীদের তরফে বারবার দাবি করা করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের উপর তাদের আস্থা নেই ৷ তবে রাজ্যের বাহিনীতে আস্থা রাখেননি খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ৷ এমন নজিরও রয়েছে রাজ্যে ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে এবং সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়ের দু'জনের সঙ্গেই কার্যত ভোটের নিরাপত্তার প্রশ্নে সংঘাত বেঁধেছিল রাজ্য সরকারের ৷ বিষয়টি গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত ৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল ৷

আরও পড়ুন: পৌরনিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে আইনজীবীদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

এবার অবশ্য সে সম্ভবনা থাকছে না ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এদিন নিরাপত্তার বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনও মন্তব্য করতে না-চাইলেও ইঙ্গিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কমিশনের ৷ আর তারপরই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন ৷ একই সঙ্গে, নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন যে বক্তব্য জানিয়েছে কমিশনকে, তাতে কমিশন আশ্বস্ত ৷ একই সঙ্গে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেয়নি কমিশন ৷ এদিন রাজীবা সিনহা বলেন, "রাজ্যের আধিকারিকরা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে সুতরাং নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কমিশনের গাইডলাইন মেনেই চলবে তারা ৷ নিরাপত্তার বিষয়ে এবং পুলিশের ক্ষেত্রে রাজ্যের থেকে আশ্বস্ত হয়েছি ৷ রাজ্য সরকার চোখ বন্ধ করে তো দিন নির্ধারণ করেনি ৷ নিশ্চয়ই পুলিশি ব্যবস্থা আছে তাই রাজ্য এই দিনটি নির্ধারণ করেছে ৷ রাজ্য পুলিশের উপরে ভরসা রাখা উচিত ৷" এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার বলেন, "বাহিনী দিয়ে ভোট হবে করা কি না, তা পরে দেখা যাবে ৷ নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে এরপরেও কথা বলব ৷"

ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন নির্বাচন কমিশনার

কলকাতা, 8 জুন: গ্রামবাংলার ভোটের দামামা বাজিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ পঞ্চায়েত ভোট যে দু'মাসের মধ্যেই হবে তা নিয়ে ধন্ধে ছিল না শাসক-বিরোধী কোনও শিবিরই ৷ তবে প্রশ্ন ছিল একটাই ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী হবে ? না, সেই উত্তর আজ অর্থাৎ, নির্বাচনী দিনঘোষণার দিনেও মিলল না ৷ পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের প্রায় 69 হাজার বুথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা কীভাবে সাজাতে চাইছে কমিশন তা নিয়ে কার্যত বৃহস্পতিবারও ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা ৷ তবে ঠারেঠোরে তিনি রাজ্য পুলিশের উপরই যে বেশি ভরসা করছেন তা এদিন একরকম স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজীবা সিনহা ৷

পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মতে, রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন যৌথভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্ঘণ্টের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ৷ কমিশনারের দাবি, যেহেতু সরকার ভোটের ক্ষেত্রে কমিশনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে, সুতরাং এটা মনে করে নেওয়াই সমীচীন হবে যে, সরকারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনী মজুত রয়েছে ৷ তবে প্রশ্ন থাকছেই, এক দফার ভোটে রাজ্যের প্রায় 69 হাজার বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে আদৌ যথেষ্ট পরিমাণ পুলিশ কর্মী আছে কি ? তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশ দিয়েই কি পঞ্চায়েত ভোট করাতে চাইছে কমিশন? রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহার জবাব, "রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হচ্ছে তা আমি বলিনি ৷"

আরও পড়ুন: ৮ জুলাই এক দফাতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, মনোনয়ন পেশ শুক্রবার থেকেই

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রাজীবা সিনহা ৷ যার জেরে এদিন থেকেই রাজ্যে নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে গেল ৷ কিন্তু গ্রাম বাংলের ভোটের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে সন্তুষ্ট যে নয় বিরোধীরা, তা তাদের বক্তব্যেই স্পষ্ট ৷ নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ কীভাবে এত কেন্দ্রে মাত্র ছ'দিনে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ তবে কমিশনের উপরে আগেই চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরা ৷ সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল না করলেও, বিরোধীদের তরফে বারবার দাবি করা করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের উপর তাদের আস্থা নেই ৷ তবে রাজ্যের বাহিনীতে আস্থা রাখেননি খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ৷ এমন নজিরও রয়েছে রাজ্যে ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে এবং সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়ের দু'জনের সঙ্গেই কার্যত ভোটের নিরাপত্তার প্রশ্নে সংঘাত বেঁধেছিল রাজ্য সরকারের ৷ বিষয়টি গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত ৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের হস্তক্ষেপেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল ৷

আরও পড়ুন: পৌরনিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে আইনজীবীদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

এবার অবশ্য সে সম্ভবনা থাকছে না ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এদিন নিরাপত্তার বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোনও মন্তব্য করতে না-চাইলেও ইঙ্গিতে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কমিশনের ৷ আর তারপরই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন ৷ একই সঙ্গে, নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন যে বক্তব্য জানিয়েছে কমিশনকে, তাতে কমিশন আশ্বস্ত ৷ একই সঙ্গে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেয়নি কমিশন ৷ এদিন রাজীবা সিনহা বলেন, "রাজ্যের আধিকারিকরা এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে সুতরাং নিরাপত্তা এবং আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কমিশনের গাইডলাইন মেনেই চলবে তারা ৷ নিরাপত্তার বিষয়ে এবং পুলিশের ক্ষেত্রে রাজ্যের থেকে আশ্বস্ত হয়েছি ৷ রাজ্য সরকার চোখ বন্ধ করে তো দিন নির্ধারণ করেনি ৷ নিশ্চয়ই পুলিশি ব্যবস্থা আছে তাই রাজ্য এই দিনটি নির্ধারণ করেছে ৷ রাজ্য পুলিশের উপরে ভরসা রাখা উচিত ৷" এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার বলেন, "বাহিনী দিয়ে ভোট হবে করা কি না, তা পরে দেখা যাবে ৷ নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে এরপরেও কথা বলব ৷"

Last Updated : Jun 8, 2023, 7:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.