ETV Bharat / state

মাঝেরহাট ব্রিজের ভবিষ্যৎ ঝুলছে কেন্দ্র-রাজ্য তরজায়

রেলকে তথ্য দিতে ঢিলেমি করছে নবান্ন, এমন অভিযোগ তুলে নবান্নে চিঠি পাঠাল রেলমন্ত্রক ।

Nabanna
নবান্ন
author img

By

Published : Nov 27, 2019, 5:17 PM IST

Updated : Nov 27, 2019, 8:15 PM IST

কলকাতা, 27 নভেম্বর : মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে এবার রেলের পালটা চিঠি । রেল মন্ত্রকের তরফে দেওয়া সেই চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে । সূত্র জানাচ্ছে, সেখানে রাজ্যের তরফে ঢিলেমির অভিযোগ আনা হয়েছে । রাজ্যের কাছে বারবার বেশ কিছু বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল রেল । সেই তথ্য দিতে ঢিলেমি করেছে নবান্ন । এমনটাই অভিযোগ ।

সূত্র জানাচ্ছে, রেলের তরফে ব্রিজের নকশা নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল । পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্রিজের ইরেকশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের নিয়ম নিয়েও । বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফে । রাজ্যের তরফে উত্তর দিতে ঢিলেমি করা হয়েছে ।

লক্ষ্য ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার। সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি । নবান্নের তরফে চেষ্টা চলছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার । কিন্তু সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই । কারণ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি । নবান্নের দাবি তেমনটাই । আর সেই সূত্রে রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চিঠি দেন পীযূষ গোয়েলকে ।

হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ । ঘটনায় মৃত্যু হয় 3 জনের । আহত হন 25 জন । ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ভেঙে ফেলা হবে পুরোনো সেতু । সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, 1 বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে নতুন সেতু । সেই একটা বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মাঝেরহাট সেতু তৈরি হয়নি । আজও নিত্যসঙ্গী যানজট । ব্রিজের কাজ শেষ হবে কবে ? জানেন না কেউই।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত বিশেষজ্ঞদল মাঝেরহাট সেতু পরিদর্শন করে । তারপর তৈরি হয় পরিকল্পনা । ডাকা হয় বরাত । গত বছর নভেম্বর মাসে ব্রিজটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয় । নতুন ব্রিজ তৈরিতে নামে বিশেষজ্ঞ সংস্থা । কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি । কিন্তু কেন? ব্রিজের যে অংশগুলো পূর্ত দপ্তরের অধীন সেগুলির কাজ চলছে দ্রুত গতিতে । অন্তত রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের দাবি তেমনটাই । রেলের অংশের জন‍্য‌ই থমকে রয়েছে কাজের ভবিষ্যৎ ।

পূর্ত দপ্তরের সূত্রে খবর, ব্রিজ তৈরির জন‍্য রেলের অনুমোদন লাগবে । কারণ শিয়ালদা রেল লাইনের উপর দিয়ে এই সেতুর একটা বড় অংশ রয়েছে । নিয়ম মোতাবেক রেললাইনের উপর দিয়ে সেতু তৈরি করতে হলে রেলের অনুমোদন পেতে হয় । রেলের তরফে সেই অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের । রেল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজের নকশা মাস দেড়েক আগে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে । বিষয়টি পর্যালোচনা করছে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিটি । নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই এই নকশায় অনুমোদন দেওয়া হবে ।

ব্রিজের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের বক্তব্য, "এটা প্রসিডিওরাল ডিলে । কারণ সবকিছু খতিয়ে দেখে তবেই ব্রিজের নকশা তৈরি করা হয়েছে । প্রস্তাবিত ব্রিজের নকশা তৈরি করেছে লি অ্যাসোসিয়েটস (Lee Associates) নামে দিল্লির একটি সংস্থা ।" এদিকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হতে হতে ২০২০ সালের মার্চ হয়ে যাবে ।

মমতা চিঠিতে লেখেন, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে । গঙ্গাসাগর যাবার পথে এই ব্রিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । রাজ্য সরকার চাইছে গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ করতে । তাই পীযূষ গোয়েলকে হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি । সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রেলের তরফে পালটা চিঠি দিয়ে দায় ঠেলে দেওয়া হল নবান্নের ঘাড়েই ।

কলকাতা, 27 নভেম্বর : মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে এবার রেলের পালটা চিঠি । রেল মন্ত্রকের তরফে দেওয়া সেই চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে । সূত্র জানাচ্ছে, সেখানে রাজ্যের তরফে ঢিলেমির অভিযোগ আনা হয়েছে । রাজ্যের কাছে বারবার বেশ কিছু বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল রেল । সেই তথ্য দিতে ঢিলেমি করেছে নবান্ন । এমনটাই অভিযোগ ।

সূত্র জানাচ্ছে, রেলের তরফে ব্রিজের নকশা নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল । পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্রিজের ইরেকশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের নিয়ম নিয়েও । বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফে । রাজ্যের তরফে উত্তর দিতে ঢিলেমি করা হয়েছে ।

লক্ষ্য ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার। সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি । নবান্নের তরফে চেষ্টা চলছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার । কিন্তু সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই । কারণ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি । নবান্নের দাবি তেমনটাই । আর সেই সূত্রে রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চিঠি দেন পীযূষ গোয়েলকে ।

হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ । ঘটনায় মৃত্যু হয় 3 জনের । আহত হন 25 জন । ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ভেঙে ফেলা হবে পুরোনো সেতু । সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, 1 বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে নতুন সেতু । সেই একটা বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মাঝেরহাট সেতু তৈরি হয়নি । আজও নিত্যসঙ্গী যানজট । ব্রিজের কাজ শেষ হবে কবে ? জানেন না কেউই।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত বিশেষজ্ঞদল মাঝেরহাট সেতু পরিদর্শন করে । তারপর তৈরি হয় পরিকল্পনা । ডাকা হয় বরাত । গত বছর নভেম্বর মাসে ব্রিজটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয় । নতুন ব্রিজ তৈরিতে নামে বিশেষজ্ঞ সংস্থা । কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি । কিন্তু কেন? ব্রিজের যে অংশগুলো পূর্ত দপ্তরের অধীন সেগুলির কাজ চলছে দ্রুত গতিতে । অন্তত রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের দাবি তেমনটাই । রেলের অংশের জন‍্য‌ই থমকে রয়েছে কাজের ভবিষ্যৎ ।

পূর্ত দপ্তরের সূত্রে খবর, ব্রিজ তৈরির জন‍্য রেলের অনুমোদন লাগবে । কারণ শিয়ালদা রেল লাইনের উপর দিয়ে এই সেতুর একটা বড় অংশ রয়েছে । নিয়ম মোতাবেক রেললাইনের উপর দিয়ে সেতু তৈরি করতে হলে রেলের অনুমোদন পেতে হয় । রেলের তরফে সেই অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের । রেল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজের নকশা মাস দেড়েক আগে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে । বিষয়টি পর্যালোচনা করছে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিটি । নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই এই নকশায় অনুমোদন দেওয়া হবে ।

ব্রিজের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের বক্তব্য, "এটা প্রসিডিওরাল ডিলে । কারণ সবকিছু খতিয়ে দেখে তবেই ব্রিজের নকশা তৈরি করা হয়েছে । প্রস্তাবিত ব্রিজের নকশা তৈরি করেছে লি অ্যাসোসিয়েটস (Lee Associates) নামে দিল্লির একটি সংস্থা ।" এদিকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হতে হতে ২০২০ সালের মার্চ হয়ে যাবে ।

মমতা চিঠিতে লেখেন, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে । গঙ্গাসাগর যাবার পথে এই ব্রিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । রাজ্য সরকার চাইছে গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ করতে । তাই পীযূষ গোয়েলকে হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি । সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রেলের তরফে পালটা চিঠি দিয়ে দায় ঠেলে দেওয়া হল নবান্নের ঘাড়েই ।

Intro:কলকাতা, ২৭ নভেম্বর: মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে এবার রেলের পাল্টা চিঠি। রেল মন্ত্রকের তরফে দেওয়া সেই চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে। সূত্র জানাচ্ছে, সেখানে রাজ্যের তরফে ঢিলেমির অভিযোগ আনা হয়েছে। রাজ্যের কাছে বারবার বেশ কিছু বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল রেল। সেই তথ্য দিতে ঢিলেমি করেছে নবান্ন। এমনটাই অভিযোগ।Body:সূত্র জানাচ্ছে, রেলের তরফে ব্রিজের ডিজাইন নিয়ে বেশ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্রিজের ইরেকশন এবং মেইনটেনেন্স রুল নিয়েও। বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল রেলের তরফে। কিন্তু রাজ্যের তরফে উত্তর দিতে ঢিলেমি করা হয়েছে।

টার্গেট ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার। সেই কাজ এখনো শেষ হয়নি। নবান্নের তরফে চেষ্টা চলছে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার। কিন্তু সে বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নবান্নের দাবি তেমনটাই। আর সেই সূত্রে রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠি দেন পীযূষ গোয়েলকে।

হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন ২৫ জন। ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ভেঙে ফেলা হবে পুরনো সেতু। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, এক বছরের মধ্যে তৈরি করা হবে নতুন সেতু। সেই একটা বছর পার হয়ে যাবার পরেও মাঝেরহাট সেতু তৈরি হয়নি। আজও নিত্যসঙ্গী যানজট। ব্রিজের কাজ শেষ হবে কবে? জানেন না কেউই।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত বিশেষজ্ঞদল মাঝেরহাট সেতু পরিদর্শন করে। তারপর তৈরি হয় পরিকল্পনা। ডাকা হয় টেন্ডার।
গত বছর নভেম্বর মাসে ব্রিজটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়। নতুন ব্রিজ তৈরিতে নামে বিশেষজ্ঞ সংস্থা। কিন্তু সেই কাজ এখনো পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। কিন্তু কেন? ব্রিজের যে অংশগুলো পূর্ত দপ্তরের অধীন সেগুলির কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। অন্তত রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের দাবি তেমনটাই। কিন্ত রেলের অংশের জন‍্য‌ই থমকে রয়েছে কাজের ভবিষ্যৎ।

পূর্ত দপ্তরের সূত্রে খবর, ব্রিজ তৈরির জন‍্য রেলের অনুমোদন লাগবে। কারণ শিয়ালদা রেল লাইনের উপর দিয়ে এই সেতুর একটা বড় অংশ রয়েছে। নিয়ম মোতাবেক রেললাইনের উপর দিয়ে সেতু তৈরি করতে হলে রেলের অনুমোদন পেতে হয়। রেলের তরফে সেই অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। রেল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিজের নক্সা মাস দেড়েক আগে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করছে রেলওয়ে সুরক্ষা কমিটি। নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে তবেই এই নকশায় অনুমোদন দেওয়া হবে।
Conclusion:ব্রিজের কাজ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের বক্তব্য, “এটা প্রসিডিওরাল ডিলে। কারণ সবকিছু খতিয়ে দেখে তবেই ব্রিজের নকসা তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ব্রিজের নক্সা তৈরি করেছে লি এ‍্যসোশিয়েটস (Lee Associates) নামে দিল্লির একটি সংস্থা।" এদিকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হতে হতে ২০২০ সালের মার্চ হয়ে যাবে।

মমতা চিঠিতে লেখেন, গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে। গঙ্গাসাগর যাবার পথে এই ব্রীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার চাইছে গঙ্গাসাগর মেলার আগেই এই ব্রিজের কাজ শেষ করতে। তাই পীযূষ গোয়েলকে হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রেলের তরফে পাল্টা চিঠি দিয়ে দায় ঠেলে দেওয়া হল নবান্নের ঘাড়েই।
Last Updated : Nov 27, 2019, 8:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.