ETV Bharat / state

Marichjhanpi Massacre: মরিচঝাঁপির মানুষদের ঠকিয়েছিলেন মমতাও, অভিযোগ রাহুল সিনহার

author img

By

Published : Jan 31, 2023, 10:20 PM IST

মঙ্গলবার ছিল মরিচঝাঁপি দিবস ৷ এই দিনে দলীয় কর্মসূচির মঞ্চ থেকে উদ্বাস্তু ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাহুল সিনহা (Rahul Sinha on Marichjhapi) ৷

ETV Bharat
রাহুল সিনহা

কলকাতা, 31 জানুয়ারি: "কংগ্রেস এবং সিপিএম মরিচঝাঁপি মানুষদের ঠকিয়েছিল । তখন কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন । তার মানে ওই প্রতারকদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একজন ।" মঙ্গলবার মরিচঝাঁপি দিবসে এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) ৷

রাহুল সিনহা বলেন,"গোধরাকাণ্ড হয়েছিল ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে । জ্বলন্ত ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেবে, মানুষ মরবে তার কোনও প্রতিক্রিয়া হবে না ! কিন্তু মরিচঝাঁপিকাণ্ডে তো বাংলাদেশ থেকে আসা ভিটে মাটি ছাড়া শয়ে শয়ে উদ্বাস্তু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় ৷ কংগ্রেস এবং সিপিএম তাঁদের ঠকিয়েছিল । প্রতারকদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একজন ।"

রাহুল সিনহা এদিন আরও বলেন, "বিজেপি এই উদ্বাস্তু ইস্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে না । বিজেপি সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করে না । আজ থেকে চার দশক আগে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না-হয় সেই জন্যই সমাজকে সচেতন করতে চাই আমরা । আজকে যে সিএএ পাশ হওয়া কত জরুরি, মরিচঝাঁপিই তার প্রমাণ । সেইসময় যদি সিএএ থাকত তাহলে এমন গণহত্যা হত না । তাই আমরা মনে করি যে, আজকে উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আওয়াজ তুলছেন সিএএ করতে দেব না, তা উদ্বাস্তুদের অধিকার খর্ব করারই সামিল ৷"

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কুন্তলের অভিযোগ মিথ্যে, দাবি গোপাল দলপতির

এই দিনটিকে স্মরণ করে মঙ্গলবার মরিচঝাঁপি দ্বীপে যায় বিজেপি তফশিলি মোর্চার এক প্রতিনিধি দল (MarichJhanpi incident) ৷ তারা সেখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে ৷ বিজেপি'র এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপি'র এসসি মোর্চার সভাপতি সুদীপ দাস ৷ এদিন আটটি লঞ্চে করে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা মরিচঝাঁপি যান ৷ উল্লেখ্য, 1979 সালের 31 জানুয়ারি মরিচঝাঁপির ঘটনা ঘটেছিল ৷ তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল সুন্দরবনের গোসাবা অঞ্চলের মরিচঝাঁপিতে চারদিক অবরুদ্ধ করে উদ্বাস্তু নিধনের ৷ সেই ঘটনায় সঠিক মৃতের সংখ্যা আজও জানা যায়নি ৷

কলকাতা, 31 জানুয়ারি: "কংগ্রেস এবং সিপিএম মরিচঝাঁপি মানুষদের ঠকিয়েছিল । তখন কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন । তার মানে ওই প্রতারকদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একজন ।" মঙ্গলবার মরিচঝাঁপি দিবসে এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা (Rahul Sinha) ৷

রাহুল সিনহা বলেন,"গোধরাকাণ্ড হয়েছিল ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে । জ্বলন্ত ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেবে, মানুষ মরবে তার কোনও প্রতিক্রিয়া হবে না ! কিন্তু মরিচঝাঁপিকাণ্ডে তো বাংলাদেশ থেকে আসা ভিটে মাটি ছাড়া শয়ে শয়ে উদ্বাস্তু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় ৷ কংগ্রেস এবং সিপিএম তাঁদের ঠকিয়েছিল । প্রতারকদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একজন ।"

রাহুল সিনহা এদিন আরও বলেন, "বিজেপি এই উদ্বাস্তু ইস্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে না । বিজেপি সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করে না । আজ থেকে চার দশক আগে যে ঘটনা ঘটে গিয়েছে তার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না-হয় সেই জন্যই সমাজকে সচেতন করতে চাই আমরা । আজকে যে সিএএ পাশ হওয়া কত জরুরি, মরিচঝাঁপিই তার প্রমাণ । সেইসময় যদি সিএএ থাকত তাহলে এমন গণহত্যা হত না । তাই আমরা মনে করি যে, আজকে উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আওয়াজ তুলছেন সিএএ করতে দেব না, তা উদ্বাস্তুদের অধিকার খর্ব করারই সামিল ৷"

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কুন্তলের অভিযোগ মিথ্যে, দাবি গোপাল দলপতির

এই দিনটিকে স্মরণ করে মঙ্গলবার মরিচঝাঁপি দ্বীপে যায় বিজেপি তফশিলি মোর্চার এক প্রতিনিধি দল (MarichJhanpi incident) ৷ তারা সেখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে ৷ বিজেপি'র এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপি'র এসসি মোর্চার সভাপতি সুদীপ দাস ৷ এদিন আটটি লঞ্চে করে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা মরিচঝাঁপি যান ৷ উল্লেখ্য, 1979 সালের 31 জানুয়ারি মরিচঝাঁপির ঘটনা ঘটেছিল ৷ তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল সুন্দরবনের গোসাবা অঞ্চলের মরিচঝাঁপিতে চারদিক অবরুদ্ধ করে উদ্বাস্তু নিধনের ৷ সেই ঘটনায় সঠিক মৃতের সংখ্যা আজও জানা যায়নি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.