কলকাতা, 2 জুন: কলকাতার রেডিয়ো স্টেশনগুলির শ্রোতারা আগামী 5 জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস থেকে একটি বিশেষ বার্তা পাবেন ৷ পরিবেশ রক্ষা এবং মানুষের সহজ কিছু অবদানের দ্বারা কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ করা যায়, সেই বার্তাই দেওয়া হবে রেডিয়োর শ্রোতাদের ৷
বেসরকারি এফএম চ্যানেল, আকাশবাণী, কমিউনিটি রেডিয়ো এবং হ্যাম রেডিয়োর রেডিয়ো জকি এবং রেডিয়ো পেশাদাররা আজ ইউনিসেফ ও সিএএসএ দ্বারা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন ৷ 'সচেতনতার প্রচার এবং রেডিয়ো পেশাদারদের জন্য মিশন লাইফের কল টু অ্যাকশন'-শীর্ষক অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলি তুলে ধরে বিভিন্ন সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে তার প্রশমনের পথ প্রদর্শন করা হয় ৷
কোনও ব্যক্তি ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে দিতে পারেন, বা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লাইট, এসি বা ফ্যান বন্ধ করে দূষণের মাত্রা কমিয়ে পৃথিবীকে আরও উত্তপ্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারেন । রাস্তার পাশের জলের কল খোলা দেখলে বন্ধ করে দেওয়া বা বাড়িতে যে কলে জল পড়ে যায়, তার মেরামত করা, এমনই কিছু ছোটখাটো কাজের দ্বারা জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে বলে বার্তা দেওয়া হয় সেই অনুষ্ঠানে ৷
নয়াদিল্লির আরজে গিনি মহাজন এবং কলকাতার আরজে সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "আমরা আরজেরা পরিবেশ রক্ষার জন্য মজাদার, সৃজনশীল এবং অ-নির্দেশমূলক পদ্ধতিতে এই ধরনের বার্তা ছড়িয়ে দেব ৷" একজন ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিবেশ রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য 'মিশন লাইফ'-এর প্রচার করছে ভারত । পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের প্রাক্তন সচিব ড. এমএন রায় বলেন, "শক্তি এবং জল সংরক্ষণ করে ও দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি ।"
পরিবেশ বিশেষজ্ঞ জয়ন্ত বসু সুন্দরবনে বসবাসকারী 50 লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর দিকে শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ৷ তিনি বলেন, সেখানকার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন । তিনি জানান, "এটি একটি জলবায়ু সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা এবং আমাদের নিজেদেরকে বাঁচাতে হবে এবং যাঁরা আমাদের অসচেতন ও কখনও কখনও দায়িত্বজ্ঞানহীন পরিবেশ বিরোধী আচরণের শিকার হচ্ছেন তাঁদেরও বাঁচাতে হবে ৷"
ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ শাখার প্রধান মহম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, "যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ তাদের সুরক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি এবং শিক্ষা প্রায়শই আপোসের মুখে পড়ে । ইউনিসেফ ইতিমধ্যেই স্কুলের শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য প্রোগ্রাম শুরু করেছে এবং রেডিয়ো অনুষ্ঠানের বার্তাগুলি জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে কমিউনিটির মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবে ৷"
আরও পড়ুন: প্লাসটিক নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না পৌর উদ্যানগুলিতে, নির্দেশিকা কলকাতা পৌরনিগমের