কলকাতা, 6 জুন : বহুদিন ধরে বন্ধ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস । শুধুমাত্র প্রয়োজনে খোলা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগগুলি । আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিভাগ বন্ধ থাকলেও কয়েকদিনের মধ্যে জোরকদমে শুরু হয়ে যাবে প্রশাসনিক কার্যকলাপ । শুরু হবে পড়ুয়াদের আনাগোনা । তাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । এনিয়ে বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে ।
কোন প্রক্রিয়ায় করা হবে স্যানিটাইজ়েশন ? কী কী যন্ত্র লাগবে ? এই সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারদের পাশাপাশি রাখা হয়েছে এক বায়োকেমিস্ট্রির বিশেষজ্ঞকেও । এবিষয়ে রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র বলেন, "আমাদের পুরো ক্যাম্পাস স্যানিটাইজ় করতে হবে । একবার করলে তো হবে না । মাঝেমধ্যেই করতে হবে। তারপরে প্রতিটি ক্লাসরুম, অফিস রুম, নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সকল কর্মচারীরা আসবেন, তাঁদের পরিচ্ছন্নতার খেয়াল রাখতে হবে । এই বিষয়গুলি নিয়েই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । এর প্রক্রিয়া কী হবে, কীভাবে আমরা এগোবো, কী কী সরঞ্জাম লাগবে, তা নিয়ে কমিটি পরামর্শ দেবে । এই কমিটিতে একজন বায়োকেমিস্টকে রাখা হয়েছে । বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদাররা রয়েছেন । মোট 9 সদস্যের এই কমিটি পরামর্শ দেবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে ও পরে কী কী করতে হবে? 9 জুন এই কমিটির প্রথম বৈঠক হবে ।
ঘূর্ণিঝড় আমফানে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের BT রোড ক্যাম্পাসে প্রায় ৭০-টির উপর গাছ উপড়ে বা ভেঙে গেছে । সেই গাছগুলি নিয়ে কী করা হবে তা নিয়েও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারদের নিয়ে । এবিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, "প্রচুর গাছ পড়ে গেছে আমাদের ক্যাম্পাসে । সেগুলিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভিজ্যুয়াল আর্টসের স্টুডেন্টদের কাঠ লাগে, স্কাল্পচার বিভাগের কাঠ লাগে । এছাড়া, অতিরিক্ত কাঠগুলোকে ডিসপোজ় অফ করতে হবে । কীভাবে কী করা যায় তা ঠিক করতে একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উপাচার্য । ওই কমিটি পরামর্শ দেবে কী কী গাছ কোথায় কোথায় লাগানো যায় । পরের সপ্তাহে আমাদের আবার একটা বৈঠক রয়েছে । সেখানে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আসবেন । তাঁরা যদি দেখে বলেন, যে কোনও গাছকে বাঁচানো যাবে, তাহলে সেটাও চেষ্টা করব আমরা ।"