ETV Bharat / state

বাস তো চলছে, স্যানিটাইজ়েশন হচ্ছে কি ? আতঙ্কে যাত্রীরা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসগুলিকে স্যানিটাইজ় করে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু বেসরকারি বাসগুলিকে সঠিকভাবে স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না । অভিযোগ এমনটাই । বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের খরচায় স্যানিটাইজ়ার কিনে বাসগুলিকে স্যানিটাইজ় করছে । ফলে খরচ বেশি হওয়ায় সবসময় করা হচ্ছে না । সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে । ফলে যাত্রীদের মধ্য়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ।

Kolkata
কলকাতা
author img

By

Published : Jun 12, 2020, 8:36 AM IST

কলকাতা , 12 জুন : টানা আড়াই মাস লকডাউন কাটিয়ে উঠে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে কলকাতা । স্বাভাবিক হচ্ছে গণপরিবহন । প্রথম দু'দিনের তুলনায় এখন বেসরকারি বাসের সংখ্যা অনেক বেশি । স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন বাস স্যানিটাইজ় করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে । কিন্তু সেক্ষেত্রে স্যানিটাইজ়িং করা হচ্ছে কি না , বা তার পরিবর্তে সাবান-জল দিয়ে পরিষ্কার করা হলেও তা আদেও কতটা কার্যকরী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ।

লকডাউনের মধ্যে যখন কয়েকটি বেসরকারি বাস জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিল , তখনও সেই বাসগুলিকে সঠিক পদ্ধতিতে স্যানিটাইজ় করা হয়নি । বিষয়টি নিয়ে বাস চালক ও মালিকরা বারবারই অভিযোগ তুলেছিলেন । তাঁদের দাবি , বিষয়টি পরিবহন দপ্তরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে । কিন্তু কোনও কাজ হয়নি ।

বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ-সভাপতি টিটু সাহা বলেন , " যদিও পরিবহন দপ্তর মৌখিকভাবে জানিয়েছে যে কসবা পরিবহন দপ্তরে সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসগুলিকেও স্যানিটাইজ় করা যাবে । তবে সেখানে বর্তমানে যা পরিকাঠামো রয়েছে তার ফলে বেসরকারি বাসগুলিকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে । এছাড়া শহরের এক প্রান্ত থেকে কসবায় যেতে গেলে জ্বালানির অনেকটা খরচ পড়বে । এমনিতেই বাসে তেমন যাত্রী হচ্ছে না । আয় অনেক কমে গেছে । আমরা নিজেরাই স্যানিটাইজ়ার কিনে যতগুলি সম্ভব বাস স্যানিটাইজ় করার চেষ্টা করছি । তবে এতে অনেক খরচ পড়ে যাচ্ছে । এভাবে তো আর বেশি দিন টানা সম্ভব নয় । "

তিনি আরও বলেন , " প্রাণের ভয়ে অনেক বাস চালক ও কর্মীরা বাস চালাতেও ভয় পাচ্ছিল । এখন বাসগুলি আবার পথে নেমেছে । তারাই গাড়ির ভেতর , সিট , ও বাইরে সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার করছে । সরকারের কাছে আমরা যে দাবিগুলি অনবরত জানিয়ে আসছি , তার মধ্যে বেসরকারি বাসের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্যানিটাইজ়েশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি ।"

এক নিত্য যাত্রী চন্দন ঘোষ বলেন , " মাত্র কয়েকদিন হল বেসরকারি বাসে যাতায়াত করছি । মাস্ক পড়ছি । সব জায়গায় এখন ভালোভাবে স্যানিটাইজ়েশনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে । তবে বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজ়েশন হচ্ছে কি না তা নিয়ে আমার মতো বহু নিত্যযাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে । প্রতিদিন বাসে এত যাত্রী যাতায়াত করছেন । গণপরিবহন থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই বাসগুলিকে যদি ঠিকঠাক স্যানিটাইজ় না করা হয় , তাহলে যাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ থেকে যাবে ।"

অন্যদিকে, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বেসরকারি বাসগুলি স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না এই কথাটি যেমন ঠিক তেমনই মালিক ও চালকদের উৎসাহিত করার জন্য সম্প্রতি পরিবহন দপ্তর থেকে বাস কর্মীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার , মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হয়েছে । চালকরা সাবান-জল ও ফিনাইল দিয়ে বাসগুলিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করছে ঠিকই তবে স্বাথ্য বিধি মেনে স্যানিটাইজ়েশনের প্রয়োজন থেকেই যাচ্ছে । এইজন্য প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে । ব্যক্তিগত মালিকানায় বেসরকারি বাস মালিকদের ক্ষেত্রে এটা করা সম্ভব নয় ।"

তিনি আরও বলেন, " পরিবহন দপ্তর থেকে প্রথম দফায় কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার , মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হলেও এবার বাস মালিকদের যেরকম প্রয়োজন তারা সেইভাবে আবেদন দিলে RTA থেকে সেই সংখ্যক মেডিকেল কিট দেওয়া হবে বাস মালিকদের ।"

কলকাতা , 12 জুন : টানা আড়াই মাস লকডাউন কাটিয়ে উঠে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে কলকাতা । স্বাভাবিক হচ্ছে গণপরিবহন । প্রথম দু'দিনের তুলনায় এখন বেসরকারি বাসের সংখ্যা অনেক বেশি । স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন বাস স্যানিটাইজ় করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হচ্ছে । কিন্তু সেক্ষেত্রে স্যানিটাইজ়িং করা হচ্ছে কি না , বা তার পরিবর্তে সাবান-জল দিয়ে পরিষ্কার করা হলেও তা আদেও কতটা কার্যকরী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ।

লকডাউনের মধ্যে যখন কয়েকটি বেসরকারি বাস জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ছিল , তখনও সেই বাসগুলিকে সঠিক পদ্ধতিতে স্যানিটাইজ় করা হয়নি । বিষয়টি নিয়ে বাস চালক ও মালিকরা বারবারই অভিযোগ তুলেছিলেন । তাঁদের দাবি , বিষয়টি পরিবহন দপ্তরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে । কিন্তু কোনও কাজ হয়নি ।

বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ-সভাপতি টিটু সাহা বলেন , " যদিও পরিবহন দপ্তর মৌখিকভাবে জানিয়েছে যে কসবা পরিবহন দপ্তরে সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসগুলিকেও স্যানিটাইজ় করা যাবে । তবে সেখানে বর্তমানে যা পরিকাঠামো রয়েছে তার ফলে বেসরকারি বাসগুলিকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে । এছাড়া শহরের এক প্রান্ত থেকে কসবায় যেতে গেলে জ্বালানির অনেকটা খরচ পড়বে । এমনিতেই বাসে তেমন যাত্রী হচ্ছে না । আয় অনেক কমে গেছে । আমরা নিজেরাই স্যানিটাইজ়ার কিনে যতগুলি সম্ভব বাস স্যানিটাইজ় করার চেষ্টা করছি । তবে এতে অনেক খরচ পড়ে যাচ্ছে । এভাবে তো আর বেশি দিন টানা সম্ভব নয় । "

তিনি আরও বলেন , " প্রাণের ভয়ে অনেক বাস চালক ও কর্মীরা বাস চালাতেও ভয় পাচ্ছিল । এখন বাসগুলি আবার পথে নেমেছে । তারাই গাড়ির ভেতর , সিট , ও বাইরে সাবান জল দিয়ে পরিষ্কার করছে । সরকারের কাছে আমরা যে দাবিগুলি অনবরত জানিয়ে আসছি , তার মধ্যে বেসরকারি বাসের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্যানিটাইজ়েশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি ।"

এক নিত্য যাত্রী চন্দন ঘোষ বলেন , " মাত্র কয়েকদিন হল বেসরকারি বাসে যাতায়াত করছি । মাস্ক পড়ছি । সব জায়গায় এখন ভালোভাবে স্যানিটাইজ়েশনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে । তবে বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজ়েশন হচ্ছে কি না তা নিয়ে আমার মতো বহু নিত্যযাত্রীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে । প্রতিদিন বাসে এত যাত্রী যাতায়াত করছেন । গণপরিবহন থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই বাসগুলিকে যদি ঠিকঠাক স্যানিটাইজ় না করা হয় , তাহলে যাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ থেকে যাবে ।"

অন্যদিকে, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বেসরকারি বাসগুলি স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না এই কথাটি যেমন ঠিক তেমনই মালিক ও চালকদের উৎসাহিত করার জন্য সম্প্রতি পরিবহন দপ্তর থেকে বাস কর্মীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার , মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হয়েছে । চালকরা সাবান-জল ও ফিনাইল দিয়ে বাসগুলিকে ভালোভাবে পরিষ্কার করছে ঠিকই তবে স্বাথ্য বিধি মেনে স্যানিটাইজ়েশনের প্রয়োজন থেকেই যাচ্ছে । এইজন্য প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে । ব্যক্তিগত মালিকানায় বেসরকারি বাস মালিকদের ক্ষেত্রে এটা করা সম্ভব নয় ।"

তিনি আরও বলেন, " পরিবহন দপ্তর থেকে প্রথম দফায় কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার , মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হলেও এবার বাস মালিকদের যেরকম প্রয়োজন তারা সেইভাবে আবেদন দিলে RTA থেকে সেই সংখ্যক মেডিকেল কিট দেওয়া হবে বাস মালিকদের ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.