কলকাতা, 20 মার্চ: রাজ্য NVF (West Bengal National Volunteer Force) ফোর্সে কম্পাশেনেট গ্রাউন্ডে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি জেলায় দুর্নীতির অভিযোগ। জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বানিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। দু'সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইল হাইকোর্ট। 2008 সাল থেকে রাজ্যে এই প্রকল্প চালু হয়। কিন্তু 2011 থেকে এই নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মামলাকারীর দাবি ছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা দ্বারা তদন্ত করে দেখা হোক। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
মামলাকারী আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, "যাদের নিয়োগ করার কথা নয় তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে । নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়নি।জীবিত ব্যাক্তিকে টাকার বিনিময়ে মৃত দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেওয়া হোক। 2008 সালে রাজ্যের তরফ থেকে প্রাক্তন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার বা তাঁদের পরিবারের উদ্দেশ্যে শুরু করা হয় বেশ কিছু সুবিধাজনক প্রকল্প। তবে 2011 থেকে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে দুর্নীতি। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ মামলাকারীর।
গত 25 জানুয়ারি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এনভিএফ নিয়োগে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে জীবনকৃষ্ণ ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জীবনকৃষ্ণ ঘোষ এনভিএফ-এ কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, 2019 সাল থেকে নথি জাল করে প্রায় দশ জনকে চাকরি দেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে 2 লাখ টাকা করে নেন বলেও অভিযোগ। আইনজীবী বলেন, "ভোটার কার্ড, আধার কার্ড সমস্ত জাল করে এদের নিয়োগ করা হয়। রাজ্য পুলিশে এদের আর্মস ট্রেনিং দেওয়া হয়। পুলিশে এইভাবে নিয়োগ করে কী ধরনের ফোর্স তৈরি করা হয় তা ভাববার বিষয় ৷
আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে হামলায় মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক ! ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, ডেথ সার্টিফিকেট, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড জাল করে হয়েছে নিয়োগ। এই প্রসঙ্গে এনভিএফের রাজ্য কমান্ড্যান্ট কুণাল আগরওয়াল বলেন, "আমি সদ্য এই পদে যোগ দিয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।" রাজ্যে এই ঘটনা প্রথম নজরে আসে ঝাড়গ্রামের শিরসিতে। 2018-তে শিরসির বাসিন্দা, এনভিএফের প্রাক্তন কর্মী ধৃতিভানু পাল জেলা প্রশাসনকে জানান, তাঁকে 'মৃত' দেখিয়ে তাঁর মেয়ে হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে একজন মহিলা ডাই ইন হারনেসে চাকরি পেয়েছেন। এমনকী তাঁর ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেটও বের করা হয়েছে।