কলকাতা, 28 জুলাই : শুক্রবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পালস অক্সিমিটার দিয়ে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পৌরনিগম । ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি বোরোতে 1000 অক্সিমিটার বিলি করা হয়েছে । পৌরকর্মীরা প্রতিটি এলাকায় গিয়ে পালস অক্সিমিটারের সাহায্যে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করবেন । এছাড়া থার্মাল গানের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হবে ।
কোরোনা নির্ধারণ করতে গণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম । জানালেন পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম । তিনি বলেন, "কোরোনার সংক্রমণ বাড়ছে । অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গহীন হওয়ার ফলে নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না । তাই এই গণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।"
তিনি আরও বলেন, “শহরজুড়ে অ্যান্টিজেন পরীক্ষাও করা হবে । 16 টি বোরোর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন 500 জনের এই পরীক্ষা করা হবে । অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায় ।” এছাড়াও কলকাতা পৌরনিগমের যে 9টি গাড়ি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছে সেই কাজ চলতে থাকবে বলে জানা গেছে ।
এদিকে সব কর্মীদের সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পৌরনিগম । এই মর্মে পৌরনিগমের কমিশনার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন । এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে নিয়মিতভাবে কলকাতা পৌরনিগমের সমস্ত কর্মীর সোয়াব টেস্টের নমুনা পরীক্ষা করা হবে ।
রক্সি সিনেমা হলে পৌরকর্মীদের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে । ফিরহাদ হাকিম বলেন, “যেহেতু এই মুহূর্তে কোরোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে তাই সবাই যদি সচেতন হয় তাহলে কোরোনা মোকাবিলা করা সহজ হবে । পৌরনিগমের কর্মীরা সরাসরি রাস্তায় নেমে কাজ করছে তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা তাদের সব থেকে বেশি ।”
এছাড়া তিনি বলেন, “পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সেফ হোমের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে নতুন করে আরও একটি সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে । আনন্দপুরের সেফ হোমে 400 বেড আছে । তা বাড়িয়ে 700 করা হচ্ছে । সেইসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের যে কোয়ারানটিন সেন্টারগুলি আছে সেখানে 50টি বেড সংরক্ষণ করা হবে । সমস্ত কর্মীকেই সংক্রমণ মোকাবিলা করতে আর্সেনিকা এল ওষুধ দেওয়া হবে ।”