কলকাতা, 17 মে : নারদ স্টিং অপারেশন মামলায় রাজ্য়ের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক ও এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই ৷ সোমবার সকাল থেকে এই নিয়ে তোলপাড় ছিল বঙ্গের রাজ্য রাজনীতি ৷ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তাঁদের গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেস সামনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান ৷ চলে ইটবৃষ্টি, কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি ৷ সব মিলিয়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহর কলকাতা ৷
শুধু কলকাতাই নয়, বিক্ষোভের আঁচে পুড়েছে জেলাগুলিও ৷ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই প্রতিবাদে সামিল হন তৃণমূলের কর্মী- সমর্থকরা ৷ এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজভবনের বাইরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখান । রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অপসারণের দাবি তোলেন তাঁরা ৷ নিউটাউনের ঘুনিতে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করেন তৃণমূল কর্মীরা । রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় । এদিকে নারদ মামলায় মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেফতারে বিটি রোডের কামারহাটি মোড়ে পথ অবরোধ করে তৃণমূল ।
আরও পড়ুন : নারদকাণ্ডে আইন মেনেই গ্রেফতার, দাবি সিবিআইয়ের
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ৷ পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল ৷ বর্ধমানের পূর্বস্থলিতে ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন স্বপন দেবনাথ ৷ বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ল মালদাতেও ৷ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে চাঁচলে 81 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ৷ ছিলেন এলাকার নবনির্বাচিত বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷