কলকাতা, 27 এপ্রিল: বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে 30 এপ্রিলের পর ভ্যাকসিনের সমস্ত স্টক সরকারকে ফেরত দিতে হবে বলে জানাল স্বাস্থ্য দফতর । পাশাপাশি 1 মে থেকে কী প্রক্রিয়ায় টিকাকরণ চলবে সে বিষয়ে একটি গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে । মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 1 মে থেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে যে টিকাকরণ চলবে সেখানে সমস্ত ভ্যাকসিন ওই বেসরকারি হাসপাতালকে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে । এতদিন যাবৎ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যে টিকা সরকার সরবরাহ করত তা আর তারা সরবরাহ করবে না । একই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 30 এপ্রিল পর্যন্ত টিকা দেওয়ার পর প্রত্যেক বেসরকারি হাসপাতালের ভাঁড়ারে যে টিকা অবশিষ্ট থাকবে তা তাদের সরকারকে ফেরত পাঠাতে হবে ।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়বেন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষ । কারণ এতদিন মাত্র আড়াইশো টাকায় টিকার প্রথম ডোজ নিলেও । এবার তা নিতে হবে বেশি টাকা দিয়ে । কারণ কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে টিকার দাম বেঁধে দিয়েছে । কো-ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দাম ধার্য করা হয়েছে 1,200 টাকা আর কোভিশিল্ডের শিল্পের ক্ষেত্রে দাম ধার্য করা হয়েছে 600 টাকা । এর সঙ্গে সিরিঞ্জের দাম রয়েছে ।
সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, 1 মে'র পর যদি টিকাকরণ বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষকে তা নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে । আগে থেকে কো-উইন অ্যাপে বুক করে হাসপাতলে আসতে হবে । হাসপাতালে এসে সরাসরি ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না ।
এদিকে সরকারি নির্দেশিকার ফলে চরম বিপাকে পড়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো । তাদের মূল সমস্যা হল সিরিঞ্জ নিয়ে । কারণ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সিরিঞ্জ প্রস্তুত করে না । সিরিঞ্জ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি শুধু সরকারি সংস্থাকেই সিরিঞ্জ বিক্রি করে । এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলো টিকা কিনতে চাইলেও তারপর কীভাবে সিরিঞ্জ কিনবে তাই ধোঁয়াশা কাটেনি ৷ জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলোর তরফ থেকে একত্রিতভাবে রাজ্য সরকারকে এই অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষে আদৌও টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো সম্ভব হয় কিনা ৷
আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব না-মানলে 1 কোভিড রোগীর থেকে সংক্রমিত হবেন 406: কেন্দ্র