কলকাতা, 22 অক্টোবর : রাজ্য সরকার বাণিজ্যিক গাড়িগুলির বিমার টাকা মকুবের সুপারিশ করে ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি এণ্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে চিঠি পাঠানো সত্ত্বেও এখনও বিমা সংস্থাগুলি টাকা মকুব করছে না । এর বিরোধিতা করে এবার আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানাল বেসরকারি বাস মালিকরা । করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে চলতি বছরে রাজ্যে 46 দিনের বেশি লকডাউন চলেছে । সেই সময় বাণিজ্যিক গাড়িগুলি পথে নামেনি । এরপর লকডাউন উঠে গেলে ধীরে ধীরে পথে নামতে থাকে বেসরকারি বাস ও মিনিবাস । মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট অনুযায়ী যদি কোনও গাড়ি 60 দিন পরিষেবা না দেয় তাহলে সেই গাড়ির ক্ষেত্রে বীমার টাকা মকুব করা হয় । তবে সেক্ষেত্রে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস থেকে একটি 'নো ইউজ সার্টিফিকেট' নিতে হয় । সেই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ছাড় দেওয়া হয় বিমায় ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্য়ান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, "প্রথমে বাস মালিকপক্ষ প্রধানমন্ত্রী সহ আইআরডিএকে চিঠি পাঠায় । সেই চিঠির কোনও উত্তর না আসায় আমরা পরিবহন সচিবের দ্বারস্থ হই । তিনিও বিষয়টি বিবেচনা করে আইআরডিএকে মকুবের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠান । সেই চিঠিরও কোনও উত্তর আসেনি বলেই জেনেছি । আগামী মাসের 5 তারিখ কোর্ট খুলছে । তাই এই সময়ের মধ্যে কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না হলে আমরা কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করব ।"
আরও পড়ুন: কেন্দ্র ও রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার তফাত বেড়ে 28 শতাংশ
বিষয়টি নিয়ে প্রদীপ নারায়ণ বসু আরও বলেন, "মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্টের অন্তর্গত 31 নম্বর ধারায় বলা আছে যে যদি কোনও বাণিজ্যিক গাড়ি নূন্যতম 60 দিন না চলে সেক্ষেত্রে 'নো ইউজ সার্টিফিকেট' দিয়ে সেই গাড়ির বিমা মকুব করা হয় । তবে যেহেতু এবার রাজ্যে 46 দিনের বেশি লকডাউন হয়েছিল সেই ভিত্তিতে বিমা মকুব করা হচ্ছে না । তবে মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টে অতিমারির কথা লেখা নেই । এই পরিস্থিতির কথা আগে কেউ কখন ভাবতেও পারিনি । তাই সেই বিষয়টি বিবেচনা করে নিয়মে বদল আনা প্রয়োজন বলে মনে করছি ।"
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দুর্গাপুজোর ঠিক আগে আমরা আবারও আইআরডিএকে এই বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে একটি চিঠি পাঠাই । তবে কোনও সাড়া মেলেনি ৷ শহরের মধ্যে যে বাসগুলি চলাচল করে তার জন্য প্রতিবছর প্রায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা বিমার টাকা দিতে হয় । পাশাপাশি শহরতলিতে যে বাসগুলি চলাচল করে সেই সেগুলির জন্য বছরে 80 হাজার থেকে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা পর্যন্ত বিমার টাকা দিতে হয় ।"