ETV Bharat / state

Pre-Primary School: প্রতিকূলতার রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে প্রি-প্রাইমারি স্কুলগুলি

দীর্ঘ দু'বছর করোনার জেরে অনলাইনে চলছিল পঠন-পাঠন। তারপর ফের স্কুল খুললেও আবার শুরু হয় গরমের ছুটি। ফলে অনেক বাচ্ছারাই স্কুল ছেড়ে বন্দি হয়ে গিয়েছে ঘরের চার দেওয়ালে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে অনলাইন-অফলাইনের বেড়াজালে দেখা দিয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। তবে বর্তমান চিত্রটা ফের বদলাতে চলেছে ৷ পুরনো ছন্দে ফিরছে প্রি-প্রাইমারি স্কুলগুলি।

Pri Primary Schoo
প্রি-প্রাইমারি স্কুলগুলি
author img

By

Published : Jun 30, 2022, 10:47 PM IST

Updated : Jul 1, 2022, 4:45 PM IST

কলকাতা, 30 জুন : করোনা অতিমারি, গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়ে ফের পুরনো ছন্দে ফিরছে প্রি-প্রাইমারি স্কুলগুলি ৷

করোনা কেটে যাওয়ার পর খুলেছিল স্কুল ৷ কিন্তু সামনেই গেল গ্রীষ্মের দাবদাহ ৷ আর তা থেকে রেহাই পেতে সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছিল গ্রীষ্মের ছুটি ৷ এই ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার থেকে খুলেছে স্কুল ৷ প্রি-প্রাইমারি স্কুলের তরফে বলা হচ্ছে অন্য বছরের তুলনায় এই বছর পড়ুয়াদের ভর্তির সংখ্যা অনেটাই কমেছে।

সানরে বলে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি মজুমদার এ বিষয়ে জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির পর সবথেকে বেশি আমরা যেটার মুখোমুখি হয়েছি সেটা হল বাচ্চাদের স্কুলে আসতে অনীহা। তবে গরমের ছুটির পর আস্তে-আস্তে তারা আবার মানিয়ে নিতে পারছে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের পড়াশোনার ওপর অনেকটা প্রভাব পড়েছে। অনলাইন ক্লাস হওয়ার কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মবিধিগুলো থেকে অনেকটা ছিটকে গিয়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী।"

আরও পড়ুন : স্কুলে কীভাবে মানবেন কোভিড বিধি ? দেখুন কী বলছেন চিকিৎসকরা

তিনি আরও বলেন, "এমন হয়েছে যারা দু'বছর আগে খুবই ভাল ছাত্র ছিল তাদেরই স্কুল খোলার পর সবথেকে খারাপ অবস্থা। তাদেরকে আবার সেই আগের নিয়মে নিয়ে আসতে আমাদের অনেকটা পরিশ্রম বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে নজর দিতে হচ্ছে তাদের পড়াশোনার দিকেও। তবে গরমের ছুটির পর বাচ্চাদের সংখ্যা বেশ খানিকটা বেড়েছে।"

এ বিষয়ে বাবল ব্লু নামক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নবনীতা বোস মুখোপাধ্যায় বলেন, "স্কুল বন্ধ থাকায় অনেকে হয়তো পড়াশোনায় এগিয়ে গিয়েছে কিন্তু সামাজিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে বহু অভিভাবকরা চাইছেন তাঁদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে যাতে সামাজিকভাবে যোগাযোগ বজায় থাকে। আমাদের স্কুলে 1 জন শিক্ষক হয়তো 4 থেকে 5 জন বাচ্চার দায়িত্ব নেন যার কারণে যোগাযোগ মাধ্যমটা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় বাচ্চারা অনেক বেশি শিখতে পারে। অনলাইন-অফলাইন ক্লাসের মধ্যে অনেকটা তফাৎ আছে। তবে অনলাইন ক্লাসে একটা সুবিধা ছিল বাচ্চারা সঙ্গে তাদের মা বাবারাও আমাদের সঙ্গে সোজাসুজি কথা বলতে পারতেন ফলে যোগাযোগটা আরও ভাল হত।"

প্রতিকূলতার রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে প্রি-প্রাইমারি স্কুলগুলি

আরও পড়ুন : রাজ্যে দেড় হাজার ছাড়াল করোনা সংক্রমণ

তবে এখানেই শেষ নয়, স্কুল চললেও বাচ্ছাদের পক্ষে করোনা বিধি মানা কতটা কার্যকর তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। শিক্ষিকা মৌসুমী মজুমদার জানিয়েছেন, প্রত্যেক বাচ্ছাকেই স্কুলের গেট দিয়ে ঢোকার পর তাদের স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। একই কথা শোনা অপর আরেক শিক্ষিকা নবনীতা বোস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 6 বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা সবথেকে বেশি শেখে। যার কারণে আমরা যেটা বাচ্চাদের শেখাতে চাই সেই কাজটাই আমরা শিক্ষকদের করতে বলি যাতে তারা দেখে শিখতে পারে।

কলকাতা, 30 জুন : করোনা অতিমারি, গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়ে ফের পুরনো ছন্দে ফিরছে প্রি-প্রাইমারি স্কুলগুলি ৷

করোনা কেটে যাওয়ার পর খুলেছিল স্কুল ৷ কিন্তু সামনেই গেল গ্রীষ্মের দাবদাহ ৷ আর তা থেকে রেহাই পেতে সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী দেওয়া হয়েছিল গ্রীষ্মের ছুটি ৷ এই ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার থেকে খুলেছে স্কুল ৷ প্রি-প্রাইমারি স্কুলের তরফে বলা হচ্ছে অন্য বছরের তুলনায় এই বছর পড়ুয়াদের ভর্তির সংখ্যা অনেটাই কমেছে।

সানরে বলে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমি মজুমদার এ বিষয়ে জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির পর সবথেকে বেশি আমরা যেটার মুখোমুখি হয়েছি সেটা হল বাচ্চাদের স্কুলে আসতে অনীহা। তবে গরমের ছুটির পর আস্তে-আস্তে তারা আবার মানিয়ে নিতে পারছে। স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের পড়াশোনার ওপর অনেকটা প্রভাব পড়েছে। অনলাইন ক্লাস হওয়ার কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মবিধিগুলো থেকে অনেকটা ছিটকে গিয়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী।"

আরও পড়ুন : স্কুলে কীভাবে মানবেন কোভিড বিধি ? দেখুন কী বলছেন চিকিৎসকরা

তিনি আরও বলেন, "এমন হয়েছে যারা দু'বছর আগে খুবই ভাল ছাত্র ছিল তাদেরই স্কুল খোলার পর সবথেকে খারাপ অবস্থা। তাদেরকে আবার সেই আগের নিয়মে নিয়ে আসতে আমাদের অনেকটা পরিশ্রম বেড়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে নজর দিতে হচ্ছে তাদের পড়াশোনার দিকেও। তবে গরমের ছুটির পর বাচ্চাদের সংখ্যা বেশ খানিকটা বেড়েছে।"

এ বিষয়ে বাবল ব্লু নামক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নবনীতা বোস মুখোপাধ্যায় বলেন, "স্কুল বন্ধ থাকায় অনেকে হয়তো পড়াশোনায় এগিয়ে গিয়েছে কিন্তু সামাজিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে বহু অভিভাবকরা চাইছেন তাঁদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে যাতে সামাজিকভাবে যোগাযোগ বজায় থাকে। আমাদের স্কুলে 1 জন শিক্ষক হয়তো 4 থেকে 5 জন বাচ্চার দায়িত্ব নেন যার কারণে যোগাযোগ মাধ্যমটা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় বাচ্চারা অনেক বেশি শিখতে পারে। অনলাইন-অফলাইন ক্লাসের মধ্যে অনেকটা তফাৎ আছে। তবে অনলাইন ক্লাসে একটা সুবিধা ছিল বাচ্চারা সঙ্গে তাদের মা বাবারাও আমাদের সঙ্গে সোজাসুজি কথা বলতে পারতেন ফলে যোগাযোগটা আরও ভাল হত।"

প্রতিকূলতার রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে প্রি-প্রাইমারি স্কুলগুলি

আরও পড়ুন : রাজ্যে দেড় হাজার ছাড়াল করোনা সংক্রমণ

তবে এখানেই শেষ নয়, স্কুল চললেও বাচ্ছাদের পক্ষে করোনা বিধি মানা কতটা কার্যকর তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। শিক্ষিকা মৌসুমী মজুমদার জানিয়েছেন, প্রত্যেক বাচ্ছাকেই স্কুলের গেট দিয়ে ঢোকার পর তাদের স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। একই কথা শোনা অপর আরেক শিক্ষিকা নবনীতা বোস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 6 বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা সবথেকে বেশি শেখে। যার কারণে আমরা যেটা বাচ্চাদের শেখাতে চাই সেই কাজটাই আমরা শিক্ষকদের করতে বলি যাতে তারা দেখে শিখতে পারে।

Last Updated : Jul 1, 2022, 4:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.