কলকাতা , 13 ডিসেম্বর : একদিকে শুভেন্দু অধিকারী । অন্যদিকে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় । এই দুই নেতার অবস্থান নিয়ে দল রীতিমতো বিব্রত । এই পরিস্থিতিতে আজ নাকতলায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাজীবকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর । প্রায় ঘণ্টা দেড়েক কথা হয় তাঁদের মধ্যে । পরে রাজীব জানান, " আলোচনা হয়েছে । আগামী দিনে আরও হবে । ক্ষোভ থাকলে তা দলকেই জানাব । যা করার আলোচনার মাধ্যমেই করব ।"
বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে উঠছিল । শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন দল বিব্রত, তখনই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু মন্তব্য জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল । পরিস্থিতি জটিল করে তোলে প্রাক্তন সেচ মন্ত্রীর সমর্থনে বেশ কয়েকটি পোস্টার । যেখানে রাজীবকে খোলাখুলি সমর্থন জানানো হয় ।
রাজীব ইশু যতই তীব্র হয়েছে, ঘাসফুলের মুখের হাসি ততই শক্ত হয়েছে । কেন রাজীবের মতো নেতা প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন, তা নিয়ে দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় । শুভেন্দুর পর রাজীব যদি তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেন, তাহলে ক্ষতি হবে তৃণমূলের । ভোটের আগে যখন বিজেপির উত্থান-গতি বাড়ছে, তখন রাজীবের মতো পুরানো দিনের নেতারা দল ছাড়লে সমস্যা আরও আরও বাড়বে, সন্দেহ নেই । সেই পরিস্থিতিতে রাজীবকে দলে রাখতে এবং তাঁর মান ভাঙাতে চেষ্টা শুরু করে তৃণমূল ।
শুভেন্দুর ক্ষেত্রে সৌগতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে সমস্য়া বেড়েছিল তাতে । আর তাই রাজীব ইশু নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায়নি দল । মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন । পার্থর সঙ্গে রাজীবের সম্পর্কও বেশ ভালো । সব কিছু ঠিকঠাক করে আজ নিজের বাড়িতেই রাজীবকে ডেকে নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । দলের একাধিক নেতার অভিযোগ-অনুযোগ যাঁর উপস্থিতি নিয়ে, বৈঠকে থাকার জন্য বলা হয় সেই প্রশান্ত কিশোরকে । যদিও দেড় ঘণ্টার বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও পক্ষই সরাসরি কিছু বলতে চায়নি ।
আরও পড়ুন :পিকে-র বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল বিধায়ক
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, দিক কয়েক আগে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পর সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছিলেন সৌগত রায় । তার পরই শুভেন্দু আরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন । শুভেন্দু-প্রসঙ্গটি জটিল হয়ে ওঠে । যাতে রাজীবের ক্ষেত্রে এমন না ঘটে সে জন্য় আগে থেকে আরও সতর্ক দল ।