কলকাতা, 30 জুলাই : তৃষাণজিৎ বড় হয়ে মোহনবাগানে খেলছে । এই স্বপ্ন দেখেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় । মোহনবাগান দিবস অনুষ্ঠানে এসে নিজের ইচ্ছের কথা তিনি জানালেন ।
মোহনবাগান দিবস অনুষ্ঠানে এসেছিলেন । তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় লাইফটাইম মেম্বারশিপ কার্ড । সবুজ মেরুন সদস্য হতে পেরে আপ্লুত তিনি । বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে ছোটোবেলা থেকেই তিনি মোহনবাগানের সমর্থক । আবার ছেলে তৃষাণজিৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে একজন পেশাদার ফুটবলার হতে চায় । তার বয়স এখন চোদ্দ । প্রসেনজিৎ নিজেও চান ছেলে ফুটবলার হোক । ময়দানে সবুজ মেরুন জার্সিতে দাপিয়ে বেড়াক । বলেন, "এটা বিরাট সম্মান আমার কাছে । আমার বাবাকে ছোটোবেলাতে মোহনবাগান নিয়ে যা করতে দেখেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না । আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি মোহনবাগান নিয়ে বাবার উদ্দীপনা । আমি সিনেমা জগতে আছি । কিন্তু আমার ছেলে ফুলটলার হতে চায় । ও সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছে । আমি ওকে যখন এটা তুলে দেব, ও আরও অনুপ্রেরণা পাবে ।"
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই গতকাল লাইফটাইম মেম্বারশিপ কার্ড পান অভিনেতা দেবশংকর হালদারও । তাঁরও ইচ্ছে, তৃষাণজিৎকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে মাঠে খেলতে দেখা ।
লাইফটাইম মেম্বারশিপ কার্ড পান চুনী গোস্বামী ও সৌরভ গাঙ্গুলিও । সকলের স্মৃতিচারণায় মোহনবাগানের একাধিক গল্প উঠে আসে । উঠে আসে পুরোনো দিনের অনেক কথা । যেমন সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে এই ক্লাবের সম্পর্ক বহুদিনের । দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলির প্র্যাকটিস দেখতে আসার স্মৃতি তাঁর আজও উজ্জ্বল । একইভাবে ফুটবল ম্যাচ দেখতে আসার ছবি ও প্রসূন-মানস বা সুব্রত ভট্টাচার্যের খেলা দেখার পাগলামি করার কথাও শোনালেন তিনি । খুশি প্রাচীন এই ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ড পেয়ে ।
মোহনবাগানের পাড়ায় বেড়ে ওঠা, নাটকে হাতেখড়ি সবই সবুজ মেরুন আবহাওয়ায় । ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের অস্বীকার করেন না । তবে তাদের কোণঠাসা করে রাখাই পছন্দের । একনাগাড়ে বলে গেলেন দেবশংকর । মোহনবাগান রত্ন প্রসূন ব্যানার্জি আবার চান, তাঁর মৃতদেহর উপরেও যেন থাকে সবুজ মেরুন পতাকা । অন্যদিকে, টুটু বসুর গলায় সংঘবদ্ধ মোহনবাগান গড়ে তোলার আহ্বান । মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা পুস্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা পাঠায় ইস্টবেঙ্গল । IFA- র তরফেও পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় ।