কলকাতা, 10 মার্চ: সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি মানতে হবে ৷ তা না-হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুশিয়ারি দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন জুটা ৷ সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের ডাকে আজ তাঁদের সমর্থন জানিয়ে জুটার পক্ষ থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয় ৷ ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলন হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা জুটার সদস্যরা (Positive Decision Should Takes on DA Issue) ৷
সরকারি অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মচারীদের রাজ্য বাজেটে 3 শতাংশ বর্ধিত হারে ডিএ দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয় ৷ সরকার ঘোষিত সেই ডিএ প্রত্যাখ্যান করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন জুটা ৷ প্রতিবাদে এদিন অর্ধেক দিনের জন্য কর্মবিরতি পালন করলেন অধ্যাপকরা ৷ যদিও, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অশিক্ষক-কর্মচারীরা আজ সকাল থেকে কাজে যোগ দেননি ৷ এর ফলে সারাদিন কোন ক্লাসরুম খোলেনি ৷ ফলে সারাদিনে কোনও পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি ৷ অধ্যাপকরাও বেলা 2টোর পর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন ৷
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ একটি অ্যাক্রিডেশনের কাজ চলছে ৷ সেই কারণে তাঁরা পূর্ণদিবসের কর্মবিরতি ডাকেননি ৷ তবে, রাজ্য সরকার ডিএ নিয়ে এই অচলাবস্থা ও বিভ্রান্তি কাটাতে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠনের পক্ষ থেকেও আরও বড় আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পার্থপ্রতিম রায় ৷ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে আজকের কর্মবিরতিকে নৈতিকভাবে সমর্থনের কথা বলেছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: 'শিক্ষা চোর, চাকরি চোর, ডিএ চোর সরকার, আর নেই দরকার', ডিএ আন্দোলনের রেশ হাইকোর্টেও
তাঁর কথায়, 2020 সালে কোনও ডিএ দেয়নি রাজ্য সরকার ৷ 2021 সালে দেওয়া হয়েছে ৷ আবার 2022 সালে কোন ডিএ পাননি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৷ সরকারকে নিশানা করে তিনি জানান, সরকার মনে করে না ডিএ তাঁদের ন্যায্য অধিকার ৷ তাঁর মতে, রাজ্য সরকারকে তাঁদের দায়িত্বগুলি কী ? সেটা আগে ঠিক করতে হবে ৷ খেলা-মেলার মধ্য দিয়ে টাকা ওড়ানো, নাকি ডিএ-র মত ন্যায্য টাকা দেওয়া ৷ সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও সুদুত্তর না-পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পার্থপ্রতিম রায় ৷