ETV Bharat / state

আর্থিক প্যাকেজের নামে ঋণের ফাঁদে ফেলার ষড়যন্ত্র কেন্দ্রের : মহম্মদ সেলিম

মাসিক রেশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডালের বদলে ছোলা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমন । অন্তত দুই মাস গরিব মানুষকে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে । কিন্তু মহম্মদ সেলিম এই ঘোষণার বিরোধিতা করেন  । তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা চাল-ডাল এখনও পাননি দেশের বহু গরিব মানুষ । লকডাউনের 50-55 দিন ভোগানোর পর সরকারের বোধোদয় হয়েছে ।

cpim
cpim
author img

By

Published : May 15, 2020, 10:24 AM IST

কলকাতা, 15মে : 20 লাখ কোটির আর্থিক প্যাকেজের দ্বিতীয় দফার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন । তার কড়া সমালোচনা করলেন CPI(M) পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম । এই প্যাকেজ দেশের গরিব মানুষকে ঋণের ফাঁদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

মহম্মদ সেলিম বলেন, “কালো টাকা ফিরিয়ে আনা, আর্থিক দুর্নীতি রোধ করা, এবং সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কোনও ঘোষণা নেই । অথচ পরিযায়ী শ্রমিকসহ গরিব মানুষকে কীভাবে ঋণের ফাঁদে ফেলা যায় তা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্র ও অর্থমন্ত্রী ।”

প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী প্রচারের আলোয় থাকতে চান বলেও আক্রমণ করলেন মহম্মদ সেলিম । তিনি বলেন, দুইদিন টেলিভিশনের সিরিয়াল এপিসোডের মতন নিজেদের প্রচার করছেন দেশের অর্থমন্ত্রী । নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন অর্থমন্ত্রী । অর্থমন্ত্রীর দু'দিনের ভাষণে দুই কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ নেই ।” যদিও হকার, কৃষক, ছোটো ব্যবসায়ী এবং মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের উল্লেখ রয়েছে অর্থমন্ত্রী ভাষণে ।

মাসিক রেশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডালের বদলে ছোলা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমন । অন্তত দুই মাস গরিব মানুষকে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে । কিন্তু মহম্মদ সেলিম এই ঘোষণার বিরোধিতা করেন । তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা চাল-ডাল এখনও পাননি দেশের বহু গরিব মানুষ । লকডাউনের 50-55 দিন ভোগানোর পর সরকারের বোধোদয় হয়েছে ।

মহম্মদ সেলিম বলেন, “সরকারের কাছে খাদ্যদ্রব্য রয়েছে । তারপরেও মানুষকে খাদ্যদ্রব্য দিতে কৃপণতা সরকারের । অধিকাংশ রাজ্যে পচা চাল দেওয়া হচ্ছে গরিব মানুষকে । যে জিনিস পশুরাও খাবে না । মরার উপর খাঁড়ার ঘা ।”

অন্যদিকে 50 লাখ হকারকে 10হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন । বামপন্থীরা অনুদানের আবেদন জানিয়েছিল । তিন মাসে ব্যবসায়ীদের সমস্ত পুঁজি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে । অনুদান দিল না কেন্দ্রীয় সরকার । সহজ ঋণের ব্যবস্থা করে আসলে গরিব মানুষকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চায় কেন্দ্র । কর্পোরেট হাউজ়কে ঋণ মুকুব করে দিলেন আর গরিব মানুষকে ঋণের বোঝায় জর্জরিত করে দিলেন বলে কটাক্ষ করেন মহম্মদ সেলিম ।

বামফ্রন্ট ইউনিভার্সাল বেসিক পে অ্যাক্টের কথা জানিয়েছিল । সব মানুষের খাতায় 15 লাখ টাকা দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী । 15 লাখ টাকার বদলে অন্তত তিন মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে পনেরো হাজার টাকা দেওয়ার আবেদন জানান CPI(M) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম । তিনি বলেন, “গণবণ্টন ব্যবস্থায় পুরনো মদকে নতুনভাবে বিক্রি করতে চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী । এক নেশন এক রেশনে আগে ছিল 75 কোটি লোক । এখন তা কমিয়ে 69 লাখ মানুষের কথা বলে নতুন স্কিম করা হল । যার ফলে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । ”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এতদিন পরে রাজ্যে ঢোকার জন্য 105টি ট্রেনের অনুমতি দিয়েছেন । এই অনুমতি দিতে 50 দিনের বেশি সময় লাগল কেন ? ”

কলকাতা, 15মে : 20 লাখ কোটির আর্থিক প্যাকেজের দ্বিতীয় দফার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন । তার কড়া সমালোচনা করলেন CPI(M) পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম । এই প্যাকেজ দেশের গরিব মানুষকে ঋণের ফাঁদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

মহম্মদ সেলিম বলেন, “কালো টাকা ফিরিয়ে আনা, আর্থিক দুর্নীতি রোধ করা, এবং সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কোনও ঘোষণা নেই । অথচ পরিযায়ী শ্রমিকসহ গরিব মানুষকে কীভাবে ঋণের ফাঁদে ফেলা যায় তা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্র ও অর্থমন্ত্রী ।”

প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী প্রচারের আলোয় থাকতে চান বলেও আক্রমণ করলেন মহম্মদ সেলিম । তিনি বলেন, দুইদিন টেলিভিশনের সিরিয়াল এপিসোডের মতন নিজেদের প্রচার করছেন দেশের অর্থমন্ত্রী । নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন অর্থমন্ত্রী । অর্থমন্ত্রীর দু'দিনের ভাষণে দুই কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের কথা উল্লেখ নেই ।” যদিও হকার, কৃষক, ছোটো ব্যবসায়ী এবং মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের উল্লেখ রয়েছে অর্থমন্ত্রী ভাষণে ।

মাসিক রেশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডালের বদলে ছোলা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমন । অন্তত দুই মাস গরিব মানুষকে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে । কিন্তু মহম্মদ সেলিম এই ঘোষণার বিরোধিতা করেন । তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা চাল-ডাল এখনও পাননি দেশের বহু গরিব মানুষ । লকডাউনের 50-55 দিন ভোগানোর পর সরকারের বোধোদয় হয়েছে ।

মহম্মদ সেলিম বলেন, “সরকারের কাছে খাদ্যদ্রব্য রয়েছে । তারপরেও মানুষকে খাদ্যদ্রব্য দিতে কৃপণতা সরকারের । অধিকাংশ রাজ্যে পচা চাল দেওয়া হচ্ছে গরিব মানুষকে । যে জিনিস পশুরাও খাবে না । মরার উপর খাঁড়ার ঘা ।”

অন্যদিকে 50 লাখ হকারকে 10হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন । বামপন্থীরা অনুদানের আবেদন জানিয়েছিল । তিন মাসে ব্যবসায়ীদের সমস্ত পুঁজি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে । অনুদান দিল না কেন্দ্রীয় সরকার । সহজ ঋণের ব্যবস্থা করে আসলে গরিব মানুষকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে চায় কেন্দ্র । কর্পোরেট হাউজ়কে ঋণ মুকুব করে দিলেন আর গরিব মানুষকে ঋণের বোঝায় জর্জরিত করে দিলেন বলে কটাক্ষ করেন মহম্মদ সেলিম ।

বামফ্রন্ট ইউনিভার্সাল বেসিক পে অ্যাক্টের কথা জানিয়েছিল । সব মানুষের খাতায় 15 লাখ টাকা দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী । 15 লাখ টাকার বদলে অন্তত তিন মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে পনেরো হাজার টাকা দেওয়ার আবেদন জানান CPI(M) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম । তিনি বলেন, “গণবণ্টন ব্যবস্থায় পুরনো মদকে নতুনভাবে বিক্রি করতে চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী । এক নেশন এক রেশনে আগে ছিল 75 কোটি লোক । এখন তা কমিয়ে 69 লাখ মানুষের কথা বলে নতুন স্কিম করা হল । যার ফলে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । ”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এতদিন পরে রাজ্যে ঢোকার জন্য 105টি ট্রেনের অনুমতি দিয়েছেন । এই অনুমতি দিতে 50 দিনের বেশি সময় লাগল কেন ? ”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.