ETV Bharat / state

100 days Work Project : 100 দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর - politics of withholding money for 100 days work

100 দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁর অভিযোগ মনরেগা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করার পরেও কেন্দ্রের ঘুম ভাঙছে না (100 days Work Project)।

100 days Work Project news
100 দিনের কাজ নিয়ে অভিযোগ
author img

By

Published : Jun 15, 2022, 10:58 PM IST

কলকাতা, 15 জুন : একশো দিনের কাজ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এবার এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় । এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এই বিষয় নিয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি । তাঁর অভিযোগ, মনরেগা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করার পরেও কেন্দ্রের ঘুম ভাঙছে না । মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন । রাজ্যের মানুষ তা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না । কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন (100 days Work Project)।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, "গত বছর 26 ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের বৈধ জব কার্ডধারীকে 100 দিনের কাজের জন্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার । মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে । তাও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার । আর এর কারণে প্রায় এক কোটি চার লক্ষ মানুষকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।"

আরও পড়ুন : উত্তর দিনাজপুরে 100 দিনের কাজে বকেয়া 90 কোটি টাকা, সমস্যায় লক্ষাধিক শ্রমিক

সম্প্রতি রাজ্যে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা অভিযোগ করেছিলেন, গত তিন বছর ধরে 100 দিনের প্রকল্পের টাকার হিসেব দিচ্ছে না রাজ্য সরকার । এই অবস্থায় কেন্দ্র কীভাবে রাজ্যকে টাকা দেবে । তাঁর অভিযোগ ছিল, শুধু অভিযোগ করলেই তো হবে না । কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে যে টাকা দিচ্ছে তার হিসাব দিতে হবে রাজ্যকে । আগের টাকার হিসেব না-দিলে নতুন করে কেন টাকা দেবে কেন্দ্র ! বুধবার এর জবাব দিতে গিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই অভিযোগের সত্যতা নেই । রাজনীতি করার জন্যই এসব বলেছেন বিজেপির ভারতীয় সভাপতি । তাঁর প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যদি প্রকৃতই কাজের হিসেব না-দেয় তাহলে কীভাবে দেশের সেরা হিসাবে কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেল রাজ্য । তাঁর মতে, সবটাই রাজনীতি । 3334.56 কোটি টাকা পাওনা রয়েছে । এই টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখায় রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষদের কাজ দেওয়া যাচ্ছে না ।

পঞ্চায়েত মন্ত্রী এমন অভিযোগ করলেও এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, কোনও বিমাতৃসুলভ আচারণ নয়, রাজ্যের দোষেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বা বকেয়া অর্থ পাচ্ছে না রাজ্য সরকার । এখানে কোনও প্রকল্পের কাজের হিসাব দেওয়া হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন অর্থ দেবে, তেমন হিসাব নেবে । সব ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা রয়েছে ও পুকুর চুরি হয়েছে । তাই কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক হিসাব পেলেই টাকা দেবে ।

আরও পড়ুন : 100 দিনের কাজ প্রকল্পে দেশে প্রথম বাঁকুড়া

একইসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন । তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা'র নাম বদল করে করা হয়েছে 'বাংলার বাড়ি' । 'জল জীবন মিশন' প্রকল্পের নাম বদল করে করা হয়েছে 'জলস্বপ্ন প্রকল্প' । আগে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের নাম বদল বন্ধ করতে হবে । টাকা দেবে কেন্দ্র আর নাম হবে রাজ্যের তা তো হতে পারে না ।

যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে । রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই নিয়ে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপি নেতারা বাংলার ভাল চায় না । আর সেই কারণেই এসব অভিযোগ করে বাংলার মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন । কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর বদলে মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনা হলে সেক্ষেত্রে নাম বদল অন্তরায় হয় না । তবে এ রাজ্যে তা টাকা আটকে দেওয়ার কারণ কেন হবে ।

কলকাতা, 15 জুন : একশো দিনের কাজ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার রাজ্য বিধানসভায় এবার এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় । এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এই বিষয় নিয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি । তাঁর অভিযোগ, মনরেগা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করার পরেও কেন্দ্রের ঘুম ভাঙছে না । মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন । রাজ্যের মানুষ তা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না । কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন (100 days Work Project)।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, "গত বছর 26 ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের বৈধ জব কার্ডধারীকে 100 দিনের কাজের জন্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার । মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে । তাও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার । আর এর কারণে প্রায় এক কোটি চার লক্ষ মানুষকে বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার ।"

আরও পড়ুন : উত্তর দিনাজপুরে 100 দিনের কাজে বকেয়া 90 কোটি টাকা, সমস্যায় লক্ষাধিক শ্রমিক

সম্প্রতি রাজ্যে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা অভিযোগ করেছিলেন, গত তিন বছর ধরে 100 দিনের প্রকল্পের টাকার হিসেব দিচ্ছে না রাজ্য সরকার । এই অবস্থায় কেন্দ্র কীভাবে রাজ্যকে টাকা দেবে । তাঁর অভিযোগ ছিল, শুধু অভিযোগ করলেই তো হবে না । কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে যে টাকা দিচ্ছে তার হিসাব দিতে হবে রাজ্যকে । আগের টাকার হিসেব না-দিলে নতুন করে কেন টাকা দেবে কেন্দ্র ! বুধবার এর জবাব দিতে গিয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই অভিযোগের সত্যতা নেই । রাজনীতি করার জন্যই এসব বলেছেন বিজেপির ভারতীয় সভাপতি । তাঁর প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যদি প্রকৃতই কাজের হিসেব না-দেয় তাহলে কীভাবে দেশের সেরা হিসাবে কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেল রাজ্য । তাঁর মতে, সবটাই রাজনীতি । 3334.56 কোটি টাকা পাওনা রয়েছে । এই টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রাখায় রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষদের কাজ দেওয়া যাচ্ছে না ।

পঞ্চায়েত মন্ত্রী এমন অভিযোগ করলেও এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, কোনও বিমাতৃসুলভ আচারণ নয়, রাজ্যের দোষেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বা বকেয়া অর্থ পাচ্ছে না রাজ্য সরকার । এখানে কোনও প্রকল্পের কাজের হিসাব দেওয়া হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন অর্থ দেবে, তেমন হিসাব নেবে । সব ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা রয়েছে ও পুকুর চুরি হয়েছে । তাই কেন্দ্রীয় সরকার সঠিক হিসাব পেলেই টাকা দেবে ।

আরও পড়ুন : 100 দিনের কাজ প্রকল্পে দেশে প্রথম বাঁকুড়া

একইসঙ্গে এদিন বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন । তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা'র নাম বদল করে করা হয়েছে 'বাংলার বাড়ি' । 'জল জীবন মিশন' প্রকল্পের নাম বদল করে করা হয়েছে 'জলস্বপ্ন প্রকল্প' । আগে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের নাম বদল বন্ধ করতে হবে । টাকা দেবে কেন্দ্র আর নাম হবে রাজ্যের তা তো হতে পারে না ।

যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে । রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই নিয়ে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপি নেতারা বাংলার ভাল চায় না । আর সেই কারণেই এসব অভিযোগ করে বাংলার মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন । কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর বদলে মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনা হলে সেক্ষেত্রে নাম বদল অন্তরায় হয় না । তবে এ রাজ্যে তা টাকা আটকে দেওয়ার কারণ কেন হবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.