তমলুক, 31 মে: বেশ কয়েকমাস আগে বিয়ে করেছেন 67'র অরুণ লাল । তার দিন কয়েক পর ষাটের দোরগোড়ায় বিয়ে করেন বাংলার প্রাক্তন জামাই আশিস বিদ্যার্থী ৷ এবার বিয়েটা সেরে ফেললেন একসময়ের তাবড় সিপিএম নেতা 74 বছরের লক্ষ্মণ শেঠ। প্রথমপক্ষের স্ত্রী তমালিকার মৃত্যুর 7 বছর পর আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন লক্ষ্মণ। বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে এলেও পাত্রীর বিষয় বিস্তারিত তথ্য এখনও খোলসা করেননি এই প্রাক্তন সাংসদ । লক্ষ্মণ শেঠের আগের স্ত্রী তমালিকা শেঠ পাণ্ডের কথা সকলেরই জানা। কিন্তু মাঝে অঘটন হয়ে যায়। 2016 সালে অকস্মাৎ অকালমৃত্যু হয় তমালিকার।
1979 সালে লক্ষ্মণের সঙ্গে বিয়ে হয় তমালিকা শেঠ পাণ্ডার। প্রয়াত তমালিকা হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমনকী 2006 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত লক্ষ্মক শেঠের সহধর্মিনী তমালিকা বিধায়ক পদেও নির্বাচিত হয়েছিলেন মহিষাদল থেকে। দুই ছেলে রয়েছে লক্ষ্মণ এবং তমালিকর। জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণ শেঠ বিয়ে করেছেন ৷ লক্ষ্মণ শেঠও এবিষয় স্বীকার করেছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, বউভাতের যে অনুষ্ঠান সেদিনই নতুন স্ত্রী'র নাম-পরিচয় খোলসা করবেন।
বরাবরই ফিটফাট থাকতে ভালোবাসেন লক্ষ্মণ শেঠ । এত বছর বয়সে বিয়ে করায় আবারও চর্চার উঠে এলেন। যদিও প্রেমে যুদ্ধ বা কৌশল কোনওটাই রাজনীতির মতো পরিকল্পনা মাফিক হয় না এবং কোনওটাই ভুল নয় বলে জানিয়েছেন বরিষ্ঠ এই রাজনীতিবিদ। উল্লেখ্য,গত 24 মে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন লক্ষ্মণ। শোনা গিয়েছে পাত্রীর নাম মানসী দে। বয়স 42 বছর। গত সপ্তাহে তাঁর সঙ্গে আইনি বিবাহ সেরেছেন লক্ষ্মণ। আগামী 24 জুন জমকালো অনুষ্ঠান করবেন। লোকজন ডেকে হবে প্রীতিভোজ। সেখানে বাঙালি রীতি-রেওয়াজ মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন নবদম্পতি।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বাংলার জামাই, 60 বছরের বিদ্যার্থীর পাত্রী কে ?
উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতির অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র লক্ষ্মণ শেঠ। এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা। তাঁর প্রতাপে এককালে হলদিয়া-সহ পূর্ব মেদিনীপুরে কার্যতই বাঘে-গরুতে জল খেত একঘাটে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভাগ্য বদলেছে তাঁরও। এককালের প্রভাবশালী এই নেতা রাজনীতিতে এখন নিষ্ক্রি। তাতে যদিও বিশেষ প্রভাব পড়েনি তাঁর জীবনে। বরং 74 বছর বয়সে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন।