কলকাতা, 23 অক্টোবর : গড়িয়াহাটে জোড়া খুন কাণ্ডে ধৃত বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজিকে শনিবার আলিপুর আদালত আগামী 5 নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ তাদের জেরা করে এই ঘটনার আরও গভীরে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা ৷ ভবিষ্যতে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হতে পারে ।
কীভাবে গোটা ঘটনাটি ঘটেছিল, ঘটনার দিন পলাতক ভিকির কী ভূমিকা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা৷ গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ৷ তদন্তকারীদের অনুমান, ভিকিকে যত দিন না গ্রেফতার করা যাচ্ছে, ততদিন গোটা ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে না ৷
আরও পড়ুন : Gariahat Double Murder : ধৃত বাপি ও জাহিরকেও ঠকানোর তাল করেছিল মিঠুরা, জেরায় উঠে এল তথ্য
গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডে সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডল-এর খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 3 জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এখনও অধরা রয়েছে দু'জন। তাদের মধ্যে অন্যতম মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার। সে ধৃত মিঠু হালদারের ছেলে। ভিকির নাগাল পাওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের ডাকাতি দমন শাখা এবং হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, মিঠু হালদারের একাধিক আত্মীয় দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গায় থাকে। গোয়েন্দাদের অনুমান, ঘটনাটি ঘটনার পর দক্ষিণ 24 পরগনার কোনও একটি জায়গায় ভিকি নিজের আত্মীয়র বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে আছে। সেই মতো তল্লাশি চলছে। ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের সঙ্গে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বৈঠক করছে কলকাতা পুলিশ। পাশের জেলাগুলিতেও সমানভাবে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকিকে যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে, ততক্ষণ এই ঘটনার রহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে না।