কলকাতা, 7 জুলাই: সিপিআইএমএল লিবারেশন ছাত্র যুবদের মিছিলে লার্ঠিচার্জ করল পুলিশ ৷ পরে গ্রেফতার হন 65 জন বিক্ষোভকারী ৷ তাদের মধ্য়ে 11 জন মহিলা ৷ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী গুরুতর জখম হয়েছেন বলেও খবর ৷ তাদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, দেউচাপাচামিতে আদিবাসীদের থেকে জোর করে সরকারের জমি দখল-সহ একাধিক ইস্যুর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সিপিআইএমএল লিবারেশন ছাত্র যুব সংগঠন ৷ এদিন মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে এসএন ব্যানার্জি ধরে নবান্নে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তাদের ৷ কিন্তু বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মিছিল শুরুর প্রথমেই পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকায় ৷ বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগতে চাইলেই দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে ৷ বয়স্ক মহিলাদেরও মারধর করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ পাল্টা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধেও ইট-ঢিল-লাঠি ছোঁড়ার অভিযোগ(police lathi charge in CPIML Liberation Rally on Thursday) ৷
সিপিআইএমএল লিবারেশনের রাজ্য নেতা পার্থ ঘোষ বলেন, "রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যার প্রতিকার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছিলেন লিবারেশনের ছাত্র যুবরা ৷ কিন্তু দলদাস পুলিশ তা করতে দিল না ৷ মিছিল শুরু হতেই আটকে দেওয়া হয় ৷ মৌলালিতেও পৌছাতেও দেওয়া হয়নি ৷ পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন ৷ 65 জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কী চলছে রাজ্যে, গণতান্ত্রিক মিছিলে এভাবে লাঠিচার্জ করা যায় কি ?"
আরও পড়ুন: উদ্বিগ্ন রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ সেলিমের
সূত্রের খবর, রাজ্য লিবারেশনের সেক্রেটারি অভিজিৎ মজুমদার, আইসা নেতা নীলাশিস, আরওয়াইএ রণজয়-সহ মোট 65 জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ গ্রেফতার করে ধৃতদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পার্থ ঘোষ বলেন, "গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর এই ন্যক্কারজনক দমন পীড়নকে ধিক্কার । অবিলম্বে সকল কর্মীদের মুক্তি চাই ৷"