ETV Bharat / state

ঘুষ নিয়ে খুনের উদ্দেশ্য বদলের চেষ্টা করেছে পুলিশ, তপ্ত ট্যাংরা

আজ সকাল থেকেই রাস্তা অবরোধ করেছেন ট্যাংরার বাসিন্দারা ৷ দাবি, অপহরণের চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানির ধারা যদি মামলায় না যোগ করা হয়, তবে অবরোধ চালিয়ে যাওয়া হবে । উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চেপে যাওয়া হচ্ছে ট্যাংরায় গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টার বিষয়টি । ঘুষ নিয়ে পুলিশ খুনকে খুনের চেষ্টায় বদলাতে চাইছে !

স্থানীয়দের বিক্ষোভ
স্থানীয়দের বিক্ষোভ
author img

By

Published : Feb 6, 2020, 2:15 PM IST

Updated : Feb 6, 2020, 4:56 PM IST

কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি : উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চেপে যাওয়া হচ্ছে ট্যাংরায় গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টার বিষয়টি । ঘুষ নিয়ে পুলিশ খুনকে খুনের চেষ্টায় বদলাতে চাইছে ! (ইচ্ছাকৃতভাবে খুনকে অনিচ্ছাকৃত খুনে পরিণত করার চেষ্টা করছে, অভিযোগ এমনটাই)৷ এমন অভিযোগ তুলে আজ অভিনব বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা । হাতে টাকা নিয়ে পুলিশের দিকে দিতে চাইলেন ঘুষ । তাদের দাবি, ঘুষ নিয়ে ঘটনার সত্যি তদন্ত করুন । এই ঘটনায় কার্যত বিড়ম্বনায় পুলিশ ।

CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনাস্থানে এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি । এমনই জানিয়েছিল লালবাজার । পুলিশ কর্তারা জানিয়েছিলেন, মহিলাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । তাতে মহিলার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে । ফলে তাঁকে আদৌ অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল কি না তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয় । এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় 304 অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ । আর সেখানেই আপত্তি গোবিন্দ খটিক রোডের বাসিন্দাদের । তাদের অভিযোগ, পুলিশ টাকার বিনিময়ে অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে । আর সেই কারণেই পালটা টাকা দিতে চাইছেন বিক্ষোভকারীরা । তাদের দাবি, যদি অপহরণের চেষ্টার ঘটনা না ঘটে তবে একজন সাধারণ গৃহবধূ কেন নিজের বদনাম করতে যাবেন । কেনই বা মিথ্যে মামলা সাজিয়ে নিছক দুর্ঘটনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স চাপা দেওয়ার বিষয়টি বলবেন, আর এতে ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে সন্দেহ ।

সকাল থেকে শুরু হয় পথ অবরোধ

আজ সকাল থেকেই রাস্তায় জলের ড্রাম ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তাদের বক্তব্য ছিল, অপহরণের চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানির ধারা যদি মামলায় না যোগ করা হয়, তবে অবরোধ চালিয়ে যাওয়া হবে । এর জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ট্যাংরার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গোবিন্দ খটিক রোড । যদিও পরে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে-সুজিয়ে অবরোধ তুলতে সমর্থ হয়েছে ।

অভিযোগকারী গৃহবধূ গতকাল তদন্তকারীদের বলেন, "গতরাতে 11:45 নাগাদ আমি শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদের সঙ্গে বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলাম । বিয়ে বাড়ি ছিল পূর্বাচল প্রগতি সংঘে । শ্রী ব্যাঙ্কোয়েটের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স হঠাৎই আমাদের পথ আটকে দাঁড়ায় । তারপর আমার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে । চেষ্টা করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নেওয়ার । তখন আমার শ্বশুরমশাই বাধা দিতে যান । তখন আমাকে ছেড়ে দিয়ে শ্বশুরমশাইয়ের গায়ের উপর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে দেয় । আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।" CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় অ্যাম্বুলেন্সটি । তার নম্বর WB 19G 9621।

কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি : উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চেপে যাওয়া হচ্ছে ট্যাংরায় গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টার বিষয়টি । ঘুষ নিয়ে পুলিশ খুনকে খুনের চেষ্টায় বদলাতে চাইছে ! (ইচ্ছাকৃতভাবে খুনকে অনিচ্ছাকৃত খুনে পরিণত করার চেষ্টা করছে, অভিযোগ এমনটাই)৷ এমন অভিযোগ তুলে আজ অভিনব বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা । হাতে টাকা নিয়ে পুলিশের দিকে দিতে চাইলেন ঘুষ । তাদের দাবি, ঘুষ নিয়ে ঘটনার সত্যি তদন্ত করুন । এই ঘটনায় কার্যত বিড়ম্বনায় পুলিশ ।

CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনাস্থানে এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি । এমনই জানিয়েছিল লালবাজার । পুলিশ কর্তারা জানিয়েছিলেন, মহিলাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । তাতে মহিলার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে । ফলে তাঁকে আদৌ অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল কি না তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয় । এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় 304 অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ । আর সেখানেই আপত্তি গোবিন্দ খটিক রোডের বাসিন্দাদের । তাদের অভিযোগ, পুলিশ টাকার বিনিময়ে অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে । আর সেই কারণেই পালটা টাকা দিতে চাইছেন বিক্ষোভকারীরা । তাদের দাবি, যদি অপহরণের চেষ্টার ঘটনা না ঘটে তবে একজন সাধারণ গৃহবধূ কেন নিজের বদনাম করতে যাবেন । কেনই বা মিথ্যে মামলা সাজিয়ে নিছক দুর্ঘটনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স চাপা দেওয়ার বিষয়টি বলবেন, আর এতে ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে সন্দেহ ।

সকাল থেকে শুরু হয় পথ অবরোধ

আজ সকাল থেকেই রাস্তায় জলের ড্রাম ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তাদের বক্তব্য ছিল, অপহরণের চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানির ধারা যদি মামলায় না যোগ করা হয়, তবে অবরোধ চালিয়ে যাওয়া হবে । এর জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ট্যাংরার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গোবিন্দ খটিক রোড । যদিও পরে পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে-সুজিয়ে অবরোধ তুলতে সমর্থ হয়েছে ।

অভিযোগকারী গৃহবধূ গতকাল তদন্তকারীদের বলেন, "গতরাতে 11:45 নাগাদ আমি শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদের সঙ্গে বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলাম । বিয়ে বাড়ি ছিল পূর্বাচল প্রগতি সংঘে । শ্রী ব্যাঙ্কোয়েটের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স হঠাৎই আমাদের পথ আটকে দাঁড়ায় । তারপর আমার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে । চেষ্টা করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নেওয়ার । তখন আমার শ্বশুরমশাই বাধা দিতে যান । তখন আমাকে ছেড়ে দিয়ে শ্বশুরমশাইয়ের গায়ের উপর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে দেয় । আমরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।" CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় অ্যাম্বুলেন্সটি । তার নম্বর WB 19G 9621।

Intro:কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চেপে যাওয়া হচ্ছে ট‍্যাংরার গৃহবধূকে অপহরণের চেষ্টার বিষয়টি। ঘুষ নিয়ে পুলিশ খুনকে খুনের চেষ্টায় বদলাতে চাইছে! এমন অভিযোগ তুলে আজ অভিনব বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাতে টাকা নিয়ে পুলিশের দিকে দিতে চাইলেন ঘুষ। তাদের দাবি, ঘুষ নিয়ে ঘটনার সত্যি তদন্ত করুন। এই ঘটনায় কার্যত বিরম্বনায় পুলিশ।


Body:সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনাস্থানে এখনো পর্যন্ত কোন মহিলার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনটাই জানিয়েছিল লালবাজার। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছিলেন, মহিলাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাতে মহিলার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। ফলে তাকে আদৌ অপহরণের চেষ্টা হয়েছিল কিনা তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় 304 অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। আর সেখানেই আপত্তি গোবিন্দ খটিক রোডের বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ, পুলিশ টাকার বিনিময় অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আর সেই কারণেই পালটা টাকা দিতে চাইছেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, যদি অপহরণের চেষ্টার ঘটনা না ঘটে তবে একজন সাধারণ গৃহবধু কেন নিজের বদনাম করতে যাবেন। কেনই বা মিথ্যে মামলা সাজিয়ে নিছক দুর্ঘটনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স চাপা দেওয়ার বিষয়টি বলবেন। আর এতে ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছে ট‍্যাংরার বিষয়টি নিয়ে।

আজ সকাল থেকেই রাস্তায় জলের ড্রাম ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য ছিল, অপহরণের চেষ্টা এবং শ্লীলতাহানীর ধারা যদি মামলায় না ধারা না যোগ করা হয়, তবে অবরোধ চালিয়ে যাওয়া হবে। এফ জেড এ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ট্যাংরার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গোবিন্দ খটিক রোড। যদিও পরে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে বুঝিয়ে-সুজিয়ে আপাতত অবরোধ তুলতে সমর্থ হয়েছে।


Conclusion:অভিযোগকারী গৃহবধূ গতকাল তদন্তকারীদের বলেন, “গতরাতে 11:45 নাগাদ আমি শশুর শাশুড়ি ননদের সঙ্গে বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। বিয়ে বাড়িতে ছিল পূর্বাচল প্রগতি সংঘে। শ্রী ব‍্যাঙ্কোয়েটের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স হঠাৎই আমাদের পথ আটকে দাঁড়ায়। তারপর আমার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে। চেষ্টা করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নেওয়ার। তখন আমার শশুর মশাই বাধা দিতে যান। তখন আমাকে ছেড়ে দিয়ে শ্বশুরমশাইয়ের গায়ের উপর দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে দেয়। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।" এই মর্মে ট‍্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। চাঞ্চল্যকর সেই ঘটনায় দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ। এমনিতেই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব শহরের নারী সুরক্ষায়। তাই ESD ডিভিশন থেকে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ, রীতিমত সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ।

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় অ্যাম্বুলেন্সটি। তার নম্বর WB 19G 9621। আম্মুর মিষ্টি চালাচ্ছিল শেখ আব্দুর রহমান। বয়স 26 বছর। সে মহেশতলা থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সে গোপাল প্রামানিকের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশকে জানিয়েছে, ওই অঞ্চল থেকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ডাক আসে। এন্টালির চায়না টাউন থেকে সে যাচ্ছিল পিজির দিকে। ইতিমধ্যে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ডাকা হয় সে দ্রুত এম্বুলেন্স চালাতে গিয়েই গোপাল প্রামানিককে ধাক্কা দেয় বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বলছে গোপাল প্রামানিক কে ধাক্কা দেবার পর ওই অ্যাম্বুলেন্স সেন্ট জনস স্কুল থেকে মল্লিক বাজার দিকে বেরিয়ে যায়। তারপর সোজা চলে যায় মহেশতলা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিশ। নাম তাজউদ্দীন। বয়স কুড়ি বছর। তাদের আজ শিয়ালদা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Last Updated : Feb 6, 2020, 4:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.