কলকাতা, 22 অগস্ট: ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে এবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাদবপুর থানায় ডেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ পুলিশের তলব পেয়ে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে 7টা নাগাদ যাদবপুর থানায় যান অরিত্র ৷ মঙ্গলবার সকালেই একটি ফেসবুক পোস্ট মারফৎ অরিত্র জানিয়েছিলেন, তিনি শহরে ফিরেছেন এবং যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি তৈরি ৷
গত 9 অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলা স্নাতক বিভাগের নাবালক এক পড়ুয়ায় ৷ এই ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে আসছে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে 12 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এদের মধ্যে 7 জন বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন পড়ুয়া, 6 জন বর্তমান ৷ এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু'র ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদের প্রাক্তন নেতা এই যুবক ৷ বর্তমানে যাদবপুরেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গবেষণা করছেন তিনি ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে অরিত্রর যথেষ্ট প্রভাব ছিল বলে অভিযোগ ৷ ঘটনার সময় তার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ, ঘটনার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: কিংপিন সৌরভকে বাঁচাতে তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, জানালেন সরকারি আইনজীবী
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও বুধবার সকালে অরিত্রকে ডেকে পাঠিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য । তার আগে মঙ্গলবার যাদবপুর থানায় ডাক পড়ল অরিত্রর ৷ যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি পরিচিত নাম এই অরিত্র ওরফে আলু ৷ যথেষ্ট প্রভাবশালী ছাত্র নেতা সে ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও ছাত্র আন্দোলনে এতদিন তাকে সামনের সারিতেই দেখা গিয়েছে ৷ তবে 9 অগস্টের ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না তাঁর ৷ এদিন ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, 10 অগস্ট অর্থাৎ ঘটনার পরের দিন তিনি হাওড়া থেকে ট্রেনে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন ৷ পরদিন বিমানে তিনি দিল্লি থেকে কাশ্মীর যান ৷ এতদিন সেখানেই ছিলেন ৷ তবে 11 অগস্টের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রেজিস্টারের পাতার ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজে মাধ্যমে ৷ সেখানে অরিত্রর স্বাক্ষর আছে বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ প্রশ্ন উঠছে 10 তারিখ দিল্লি রওনা হলে 11 তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গেলেন কী করে, স্বাক্ষরই বা করলেন কী করে !