ডায়মন্ডহারবার, 13 নভেম্বর : কাঁকুলিয়া জোড়া খুন-কাণ্ডে ডুবুরি নামিয়েও উদ্ধার করা গেল না সুবীর চাকির মোবাইল ফোন । খুনের পর কর্পোরেট কর্তার মোবাইল ফোন ওই খালে ফেলে দেয় বলে জেরায় পুলিশকে জানিয়েছিল ধৃত ভিকি হালদার । তার বয়ানের ভিত্তিতেই শনিবার ওই খালে ডুবুরি নামানো হয় । কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফোনের হদিশ মেলেনি ।
কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, খুনে আর কেউ জড়িত কি না জানার ক্ষেত্রে সুবীরবাবুর মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, খুনের পর তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সুবীর চাকির মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয় ভিকি । তারপর ট্রেনে চেপে ডায়মন্ডহারবারে গিয়ে ওই খালে ফেলে দেয় ।
আরও পড়ুন: Municipal Election : হাওড়া-কলকাতার নির্বাচন নিয়ে জেলাশাসকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ভিকির দেওয়া তথ্য ধরেই এদিন সকালে কলকাতা হোমিসাইড শাখার পুলিশ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ মোবাইল ফোন উদ্ধারে উদ্যোগী হয় । ভিকিকে সঙ্গে নিয়েই ডায়মন্ডহারবার পৌঁছয় পুলিশ । কোথায় ফোন ফেলেছিল, সেই জায়গাটি চিহ্নিত করা হয় তাকে দিয়ে । তারপর দু’জন ডুবুরি নামিয়ে শুরু হয় ফোনের সন্ধান ৷ কিন্তু দু’ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েও ফোনটির হদিশ মেলেনি ৷ জলে স্রোত বেশি থাকায়, তল্লাশি চালাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা ৷
কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তার গাড়ির চালককে খুনের ঘটনায় মোট পাঁচজন জনকে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা । মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার এবং তাঁর মা মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ ৷ কিন্তু এখনও কিছু জায়গায় ধন্দ থেকে গিয়েছে ৷ তাতেই এদিন ডায়মন্ডহারবারের একাধিক জায়গায় ভিকিকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয় ৷ তবে এখনও পর্যন্ত খুনের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি ৷
আরও পড়ুন: WBJEE : প্রকাশিত রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের দিনক্ষণ
উপায় না দেখে তাই ভিকি এবং বাকিদের নিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ ৷ কিন্তু শনিবারই আলিপুর আদালতে ভিকিকে তোলা হবে ৷ সেখানে যদি পুলিশি হেফাজত থেকে তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তদন্ত ধাক্কা খাবে ৷