কলকাতা, 29 অক্টোবর : দুর্গাপুজোর পর এবার জগদ্ধাত্রীপুজো, কালীপুজো ও ছটপুজোতেও একইরকম বিধিনিষেধ আরোপ করুক কলকাতা হাইকোর্ট । আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন অজয়কুমার দে ।
দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটিও অজয়বাবুই করেছিলেন । তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন,"আদালত, পুজো উদ্যোক্তাদের সদিচ্ছার ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গেছে ভিড় । কিন্তু সংক্রমণ প্রতিদিন বাড়ছে । কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনও আমরা পৌঁছাতে পারিনি । তাই বাকি যে উৎসবগুলি আছে সেগুলিতেও যাতে কোনওরকম ভিড় না হয় সেই আর্জি জানানো হয়েছে আদালতের কাছে ।" 3 নভেম্বর দুর্গাপুজো সংক্রান্ত যে মামলাটি রয়েছে সেই মামলার সঙ্গেই এই বিষয়টির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি ।
19 অক্টোবর একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সমস্ত দুর্গাপুজো মণ্ডপ নো এন্ট্রি জ়োন ঘোষণা করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে আরও জানিয়েছিলেন, ছোটো পুজো মণ্ডপের 5 মিটার পর্যন্ত এবং বড় পুজো মণ্ডপের 10 মিটার আগে থেকে ব্যারিকেড করা থাকবে । বড় মণ্ডপের মধ্যে পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ 25 জন প্রবেশ করতে পারবেন । ছোটো পুজো মণ্ডপে উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ 15 জন প্রবেশ করতে পারবেন ।
আরও পড়ুন : রাজ্যের পুজো মণ্ডপগুলিতে নো-এন্ট্রি ঘোষণার নির্দেশ হাইকোর্টের
পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা । সেখানেও কলকাতা হাইকোর্ট আগের রায়ই বহাল রাখে । শুধুমাত্র বড় পুজা মণ্ডপগুলিতে 25 জনের পরিবর্তে সর্বোচ্চ 60 জন ও ছোটো পুজা মণ্ডপে সর্বোচ্চ 20 জনের প্রবেশের অনুমতি দেয় আদালত । মামলাকারীর দাবি, আদালতের নির্দেশে ভিড়ের উপর বেশ কিছুটা রাশ টানা গেছে কিন্তু উৎসব এখনও শেষ হয়ে যায়নি । এদিকে সংক্রমণ প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাই আদালত বাকি উৎসবগুলিতেও যাতে একই রকম নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে সেই আর্জি জানানো হয়েছে ।