কলকাতা, 7 জুন: রাজ্যের তৈরি উপাচার্য নিয়োগের নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা । এই মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে । আগামী 12 জুন এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ।
মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে সর্বাধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্যদের রাখতে হবে । কিন্তু রাজ্য সেই নির্দেশ মানেনি বলে অভিযোগ ।
মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের অভিযোগ, নতুন আইনে উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে 5 জন সদস্যের মধ্যে 3 জন রাজ্যের প্রতিনিধি । বাকি দু-জনের 1 জন আচার্য (চ্যান্সেলর) ও অন্যজন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি । কী করে কমিটিতে রাজ্যের 3 জন প্রতিনিধি থাকতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেন তিনি ।
এর আগে, রাজ্যের 11টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই রাজ্যপাল নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছেন বলে দাবি করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । ফলে কার্যত পরস্পর বিরোধী দুটি মামলা দায়ের হল আদালতে ।
আরও পড়ুন: রাজ্যের 11 বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ গত মার্চ মাসে এক নির্দেশে রাজ্যের 24টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল । কারণ উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে রাজ্যের সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাজ্যপালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে জানানো হয় । কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও আলোচনা না করে রাজ্য সরকার 24টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিল বলে জানায় হাইকোর্ট । ফলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর আর রাজ্যপালের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয় । সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের 11টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেই উপচার্য নিয়োগ করলে, তার বিরুদ্ধে সরব হয় রাজ্য সরকার ৷