কলকাতা, 22 ডিসেম্বর : BJP-র অভিনন্দন যাত্রায় হাজির থাকার জন্য BJP-র তরফে ফোন করা হল কলকাতা পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ তবে, এই মিছিলে যোগ দেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ৷ নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ায় আগামীকাল কলকাতায় রয়েছে BJP-র এই অভিনন্দন যাত্রা ৷ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন BJP-র কার্যনিবাহী সভাপতি জে পি নাড্ডা ৷
সূত্রের খবর, বিশেষ এই মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য গতকালই ফোন গেছে শোভন-বৈশাখিদের কাছে ৷ বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এতদিন অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে, আমন্ত্রণ জানায়নি ৷ ওরা এটাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ ৷ যে কোনও রাজনৈতিক দল বা অন্য কিছু করতে চান সেখানে সম্মানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ সম্মানের জায়গায় কেউ যদি আঘাত করে, তা তো হয় না ৷"
এ বছরই দিল্লি গিয়ে শোভন, বৈশাখি দু'জনই BJP-তে যোগ দেন ৷ দলের সাংগঠনিক কাজের দায়িত্বও তাঁদের দেওয়া হবে বলে শোনা যায় ৷ কিন্তু, দলের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে ৷ এই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দেয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈশাখির বৈঠক ৷
অন্যদিকে, এবছর ফোঁটা নিতে 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ সঙ্গে ছিলেন বৈশাখিও ৷ তাঁকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছিল জল্পনা ৷ রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেছিলেন, দলে ফিরতে চলেছেন দিদির প্রিয় কানন ৷ তবে, জল আর বেশি দূর গড়ায়নি ৷ বিশেষ অতিথির তালিকায় নাম থাকার পরও দলীয় বৈঠকে উপস্থিত হননি শোভন ৷
গতকাল থেকে শোভন-বৈশাখিকে BJP নেতৃত্বের ফোন কিছুটা হলেও উপনির্বাচনে নিজেদের হারকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ শোভন চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সরাসরি কিছু না জানালেও বৈশাখি বলেন, "আমার সঙ্গে কোনও দলের কথা হতেই পারে ৷ BJP-র বিষয়ে আমার ও শোভনবাবুর অবস্থান স্পষ্ট ৷ আমাদের সঙ্গে কেউ কোনও কথা বলতে পারেন বা ডাকতে পারন ৷ এটা তাদের সৌজন্য ৷ আমরা যে কোনও সৌজন্যকে ভালো জিনিস মনে করি ৷"