কলকাতা, 29 এপ্রিল : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, জুন মাসে হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা। আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, 10 জুনের পরই হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি। অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে।
চলতি বছরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল 12 মার্চ । রাজ্যজুড়ে প্রায় 7 লাখ 90 হাজার পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। শেষ হওয়ার কথা ছিল 27 মার্চ। কিন্তু কোরোনার জেরে 21 মার্চের পরীক্ষার পরই বাকি তিনদিনের পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। 23,25 ও 27 মার্চ এই তিনদিনে মোট 15টি বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। আজ নবান্নের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, 10 জুনের পর উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার দিন স্থির করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তা ঠিক করবে সংসদ।
অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিকে হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। লকডাউনের জন্য প্রধান পরীক্ষকদের মধ্যে উত্তরপত্র বিলির কাজ হয়নি। ফলে, প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকরা গৃহবন্দি থাকলেও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে 3 মে লকডাউন উঠলেই উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করার নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। 4 মে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে প্রধান পরীক্ষকদের মধ্যে বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংসদের চারটি আঞ্চলিক দপ্তরকে। আজ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে যে সমস্ত খাতা দেখা স্থগিত রাখা হয়েছে, সংসদকে বলা হয়েছে, সেগুলির যেন মূল্যায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।"
লকডাউনে থমকে গেছে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র ও নম্বর সংগ্রহের প্রক্রিয়া। স্বাভাবিকভাবেই এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ দেরিতে হবে তা জানা ছিল। কিন্তু, তারপরও কবে ফলাফল প্রকাশিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে। আজ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মাধ্যমিকের খাতা দেখা হয়ে গেছে। সংগ্রহের ব্যাপার রয়েছে। যখনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আমরা রেজাল্ট বের করে দেব।"
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, জুলাই মাসের মধ্যেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি । কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও শিক্ষাবর্ষের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়।