ETV Bharat / state

49 দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বৃদ্ধা - কলকাতা

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত 72 বছরের বৃদ্ধা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ৷ হাসপাতালে 65 দিন ভরতি থাকার পর বাড়ি ফিরলেন তিনি ৷

patients-survive-from-pneumonia-in-kolkata
49 দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রৌঢ়া
author img

By

Published : Aug 28, 2020, 2:11 PM IST

কলকাতা, 28 অগাস্ট : জ্বর-সর্দি-কাশির মতো কোনও উপসর্গই ছিল না তাঁর ৷ সন্দেহ হয়েছিল স্নায়ু সমস্যার ৷ সে কারণে স্নায়ু সংক্রান্ত একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় 72 বছরের বৃদ্ধাকে ৷ হাসপাতালে ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে ৷ এরপর কোরোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ৷ এরপরই জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন ৷ রাখা হয় কৃত্রিম হার্ট-লাঙসের বা ECMO-এর সাপোর্টে ৷ প্রায় 49 দিন মতো ছিলেন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ৷ শারিরীক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, পরিবারের লোকেরা আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ৷ অবশেষে 49দিন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে থাকার পরও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি ৷ হাসপাতালে ভরতি হওয়ার 65 দিন পর ছাড়া পান তিনি ৷

72 বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা কলকাতার একজন নামকরা ENT চিকিৎসকের স্ত্রী ৷ ওই চিকিৎসক বলেন, "প্রাথমিক উপসর্গ বলতে ছিল হাইপোক্সিয়া ৷ নিউমোনিয়া সিভিয়ার হয়ে গিয়েছিল এটা আমরা বুঝতে পারিনি ৷ কারণ জ্বর-সর্দি-কাশির মতো কোনও উপসর্গই ছিল না তাঁর ৷ স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যার কথা ভেবে গত 22 জুন মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে ৷ তবে, সেখানেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ এরপর ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জানান, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৷ বিষয়টি জানার পরই গত 24 জুন ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ ভরতির 24 ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয় ৷ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাখা হয় ECMO- সাপোর্টেও ৷ অবশেষে গত 27 অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি ৷" ওই বৃদ্ধার মেয়ে বলেন, "মায়ের সিভিয়ার নন-কোভিড নিউমোনিয়া হয়েছিল ৷ যখন ভরতি করেছিলাম তখন ভাবতেও পারিনি যে মা-কে আর ফেরাতে পারব ৷ মা সুস্থ হয়ে ফিরে আশায় খুশি আমরা ৷"

অপরদিকে, ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালের ECMO স্পেশালিস্ট চিকিৎসক সোহম মজুমদার বলেন, "চেস্টে যে ধরণের সংক্রমণ নিয়ে ওই রোগীকে ভরতি করানো হয়েছিল, সেটা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন । যাকে বলা হয় স্ট্যাফাইলোকক্কাস নিউমোনিয়া ৷ ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশেনও জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে ৷ একই ধরনের এই উপসর্গ COVID 19 বা অন্য ধরণের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রেও দেখা যায় ৷ ওই প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে ভরতির 24 ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয় ৷ কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমেও রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে থাকে ৷ এরপর তাঁকে ECMO সাপোর্টে রাখা হয় ৷"

তবে, এক্ষেত্রে রোগীর বয়স অনেকটা বেশি হওয়ায় চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা ৷ বেসরকারি ওই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট, চিকিৎসক মহুয়া ভট্টাচার্য বলেন, "যখন উনি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন, তখন ওঁর অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ ছিল ৷ নিউমোনিয়া হয়েছিল ৷ ওঁকে এখন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে ৷ ফিজিওথেরাপি করাতে হবে ৷"

কলকাতা, 28 অগাস্ট : জ্বর-সর্দি-কাশির মতো কোনও উপসর্গই ছিল না তাঁর ৷ সন্দেহ হয়েছিল স্নায়ু সমস্যার ৷ সে কারণে স্নায়ু সংক্রান্ত একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় 72 বছরের বৃদ্ধাকে ৷ হাসপাতালে ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে ৷ এরপর কোরোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে ৷ এরপরই জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন ৷ রাখা হয় কৃত্রিম হার্ট-লাঙসের বা ECMO-এর সাপোর্টে ৷ প্রায় 49 দিন মতো ছিলেন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ৷ শারিরীক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, পরিবারের লোকেরা আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ৷ অবশেষে 49দিন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে থাকার পরও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি ৷ হাসপাতালে ভরতি হওয়ার 65 দিন পর ছাড়া পান তিনি ৷

72 বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা কলকাতার একজন নামকরা ENT চিকিৎসকের স্ত্রী ৷ ওই চিকিৎসক বলেন, "প্রাথমিক উপসর্গ বলতে ছিল হাইপোক্সিয়া ৷ নিউমোনিয়া সিভিয়ার হয়ে গিয়েছিল এটা আমরা বুঝতে পারিনি ৷ কারণ জ্বর-সর্দি-কাশির মতো কোনও উপসর্গই ছিল না তাঁর ৷ স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যার কথা ভেবে গত 22 জুন মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে ৷ তবে, সেখানেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ৷ এরপর ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জানান, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৷ বিষয়টি জানার পরই গত 24 জুন ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ ভরতির 24 ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয় ৷ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাখা হয় ECMO- সাপোর্টেও ৷ অবশেষে গত 27 অগাস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি ৷" ওই বৃদ্ধার মেয়ে বলেন, "মায়ের সিভিয়ার নন-কোভিড নিউমোনিয়া হয়েছিল ৷ যখন ভরতি করেছিলাম তখন ভাবতেও পারিনি যে মা-কে আর ফেরাতে পারব ৷ মা সুস্থ হয়ে ফিরে আশায় খুশি আমরা ৷"

অপরদিকে, ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালের ECMO স্পেশালিস্ট চিকিৎসক সোহম মজুমদার বলেন, "চেস্টে যে ধরণের সংক্রমণ নিয়ে ওই রোগীকে ভরতি করানো হয়েছিল, সেটা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন । যাকে বলা হয় স্ট্যাফাইলোকক্কাস নিউমোনিয়া ৷ ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশেনও জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে ৷ একই ধরনের এই উপসর্গ COVID 19 বা অন্য ধরণের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রেও দেখা যায় ৷ ওই প্রৌঢ়াকে হাসপাতালে ভরতির 24 ঘণ্টার মধ্যে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয় ৷ কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমেও রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে থাকে ৷ এরপর তাঁকে ECMO সাপোর্টে রাখা হয় ৷"

তবে, এক্ষেত্রে রোগীর বয়স অনেকটা বেশি হওয়ায় চিন্তায় ছিলেন চিকিৎসকরা ৷ বেসরকারি ওই হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট, চিকিৎসক মহুয়া ভট্টাচার্য বলেন, "যখন উনি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন, তখন ওঁর অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ ছিল ৷ নিউমোনিয়া হয়েছিল ৷ ওঁকে এখন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে ৷ ফিজিওথেরাপি করাতে হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.