ETV Bharat / state

ভাঙা শিরদাঁড়া নিয়ে 3 হাসপাতাল ঘুরে আর জি করে ভরতি রোগী

"শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে । অথচ, রোগীকে ভরতি নেওয়া হচ্ছে না । তিনটি মেডিকেল কলেজ ঘুরে পার হয়ে গেছে 12 ঘণ্টা । এই অবস্থায় আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় । শেষ পর্যন্ত গতকাল বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ভরতি নেওয়া হয় সঞ্জয়কে ।"

সঞ্জয় নাথ
author img

By

Published : Apr 29, 2019, 11:48 AM IST

কলকাতা, 29 এপ্রিল : ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত আর ছিল না । শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে । অথচ, রোগীকে ভরতি নেওয়া হচ্ছে না । সকাল থেকে তিনটি মেডিকেল কলেজ ঘুরে পার হয়ে গেছে 12 ঘণ্টা । রোগীকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও বলা হয়, বেড নেই। রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে না । অবশেষে রোগীর পরিজনরা বলেন, তাঁরা ধরনায় বসবেন । এরপরও পেরিয়ে যায় 12 ঘণ্টা । এই সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় । শেষ পর্যন্ত গতকাল দুপুরে ভরতি নেওয়া হয় রোগীকে । রাত থেকে রোগীর চিকিৎসা শুরু হয় বলে বলেন পরিজনরা ।

রোগীর নাম সঞ্জয় নাথ (36) । পেশায় তিনি বাসের কন্ডাক্টর। তিনি বালির রাজচন্দ্রপুরের বাসিন্দা । সঞ্জয়ের পরিজনরা বলেন, গত শুক্রবার বাসচালকের সঙ্গে বচসা হয় সঞ্জয়ের । বাসচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা । বচসার সময় বাসচালকের হাতে আক্রান্ত হন সঞ্জয় । প্রদীপ মাইতি নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, "বাসের চালকের সঙ্গে সঞ্জয়ের বচসা হয় । এই সময় বাসের চালক কনুই দিয়ে সঞ্জয়ের ঘাড়ে মারতে থাকে । সঞ্জয়ের স্পাইনাল কর্ড ভেঙে গেছে । এই অবস্থায় সঞ্জয়কে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল বাসের চালক । স্থানীয় বাসিন্দারা সঞ্জয়কে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান ।"

রোগীর অন্য আর এক আত্মীয় রামকৃষ্ণ দাস বলেন, "উত্তরপাড়ার একটি হাসপাতাল থেকে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । সেখান থেকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।" প্রদীপ মাইতি বলেন, "শনিবার সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয়কে । এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, MRI করানো হয় । অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে করেই এমারজেন্সিতে রাখা হয়েছিল সঞ্জয়কে । ডাক্তাররা মাঝে মধ্যে এসে দেখছিলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন । রাত সাড়ে 10টা নাগাদ SSKM হাসপাতাল থেকে বলা হয়, বেড নেই । সঞ্জয়কে ভরতি নেওয়া সম্ভব নয় ।" তিনি জানিয়েছেন, SSKM হাসপাতাল থেকে রোগীকে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অথবা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় ।

প্রদীপ মাইতি আরও বলেন, "এরপর আমরা নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাই । সেখানে কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো হয় । এরপর সেখান থেকে বলা হয় বেড নেই । আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় । শনিবার রাত সাড়ে 11টা নাগাদ সঞ্জয়কে আমরা আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাই ।" তারপর ? তিনি বলেন, "রিপোর্ট দেখে আর জি কর থেকে বলা হয়, বেড নেই । কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন আর জি করের ডাক্তাররা ।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "অত রাতে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ তখন শেষ । আমরা বলি, রোগীর ন্যূনতম চিকিৎসা তো শুরু হবে । রোগীকে ভরতি নেওয়া না হলে আমরা ধরনায় বসব । কিন্তু ডাক্তাররা বলেন বেড নেই ।"

প্রদীপ মাইতি বলেন, "এরপরও আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে সঞ্জয়কে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় । শেষপর্যন্ত গতকাল বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ সঞ্জয়কে ভরতি নেওয়া হয় ।" রামকৃষ্ণ দাস বলেন, "সঞ্জয়কে ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে । চিকিৎসা শুরু হয়েছে ।"

স্পাইনাল কর্ড ভেঙে যাওয়া এক রোগীকে ট্রমা কেয়ার সেন্টারেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার এই অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব, কী হয়েছে ।"

কলকাতা, 29 এপ্রিল : ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত আর ছিল না । শিরদাঁড়া ভেঙে গেছে । অথচ, রোগীকে ভরতি নেওয়া হচ্ছে না । সকাল থেকে তিনটি মেডিকেল কলেজ ঘুরে পার হয়ে গেছে 12 ঘণ্টা । রোগীকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও বলা হয়, বেড নেই। রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে না । অবশেষে রোগীর পরিজনরা বলেন, তাঁরা ধরনায় বসবেন । এরপরও পেরিয়ে যায় 12 ঘণ্টা । এই সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় । শেষ পর্যন্ত গতকাল দুপুরে ভরতি নেওয়া হয় রোগীকে । রাত থেকে রোগীর চিকিৎসা শুরু হয় বলে বলেন পরিজনরা ।

রোগীর নাম সঞ্জয় নাথ (36) । পেশায় তিনি বাসের কন্ডাক্টর। তিনি বালির রাজচন্দ্রপুরের বাসিন্দা । সঞ্জয়ের পরিজনরা বলেন, গত শুক্রবার বাসচালকের সঙ্গে বচসা হয় সঞ্জয়ের । বাসচালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা । বচসার সময় বাসচালকের হাতে আক্রান্ত হন সঞ্জয় । প্রদীপ মাইতি নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, "বাসের চালকের সঙ্গে সঞ্জয়ের বচসা হয় । এই সময় বাসের চালক কনুই দিয়ে সঞ্জয়ের ঘাড়ে মারতে থাকে । সঞ্জয়ের স্পাইনাল কর্ড ভেঙে গেছে । এই অবস্থায় সঞ্জয়কে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল বাসের চালক । স্থানীয় বাসিন্দারা সঞ্জয়কে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান ।"

রোগীর অন্য আর এক আত্মীয় রামকৃষ্ণ দাস বলেন, "উত্তরপাড়ার একটি হাসপাতাল থেকে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । সেখান থেকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।" প্রদীপ মাইতি বলেন, "শনিবার সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয়কে । এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, MRI করানো হয় । অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে করেই এমারজেন্সিতে রাখা হয়েছিল সঞ্জয়কে । ডাক্তাররা মাঝে মধ্যে এসে দেখছিলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন । রাত সাড়ে 10টা নাগাদ SSKM হাসপাতাল থেকে বলা হয়, বেড নেই । সঞ্জয়কে ভরতি নেওয়া সম্ভব নয় ।" তিনি জানিয়েছেন, SSKM হাসপাতাল থেকে রোগীকে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অথবা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় ।

প্রদীপ মাইতি আরও বলেন, "এরপর আমরা নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাই । সেখানে কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো হয় । এরপর সেখান থেকে বলা হয় বেড নেই । আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয় । শনিবার রাত সাড়ে 11টা নাগাদ সঞ্জয়কে আমরা আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাই ।" তারপর ? তিনি বলেন, "রিপোর্ট দেখে আর জি কর থেকে বলা হয়, বেড নেই । কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন আর জি করের ডাক্তাররা ।" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "অত রাতে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ তখন শেষ । আমরা বলি, রোগীর ন্যূনতম চিকিৎসা তো শুরু হবে । রোগীকে ভরতি নেওয়া না হলে আমরা ধরনায় বসব । কিন্তু ডাক্তাররা বলেন বেড নেই ।"

প্রদীপ মাইতি বলেন, "এরপরও আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে সঞ্জয়কে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় । শেষপর্যন্ত গতকাল বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ সঞ্জয়কে ভরতি নেওয়া হয় ।" রামকৃষ্ণ দাস বলেন, "সঞ্জয়কে ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে । চিকিৎসা শুরু হয়েছে ।"

স্পাইনাল কর্ড ভেঙে যাওয়া এক রোগীকে ট্রমা কেয়ার সেন্টারেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার এই অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব, কী হয়েছে ।"

Intro:কলকাতা, ২৮ এপ্রিল: ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত আর ছিল না। শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে। অথচ, রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। সকাল থেকে তিন মেডিকেল কলেজ ঘুরে পেরিয়ে গিয়েছে ১২ ঘন্টা। রোগীকে নিয়ে পরিজনরা তখন হাজির আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। অথচ অভিযোগ, সেখান থেকেও বলা হচ্ছে বেড নেই, রোগীকে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়। যার জেরে পরিজনরা জানান, রোগীকে ভর্তি না নেওয়া হলে ধরনায় বসবেন তাঁরা। এর পরেও পেরিয়ে গিয়েছে আরও ১২ ঘন্টা। অভিযোগ, এই সময় ট্রমা কেয়ার সেন্টারে রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রবিবার দুপুরের পরে ভর্তি নেওয়া হয় এই রোগীকে। রবিবার রাতে পরিজনরা জানিয়েছেন, আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
Body:এই রোগীর নাম সঞ্জয় নাথ। পেশায় তিনি বাসের কন্ডাক্টর। ৩৬ বছর বয়সি বালির রাজচন্দ্রপুরের বাসিন্দা এই রোগীর পরিজনরা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বাস চালকের সঙ্গে বচসা হয় সঞ্জয়ের। বাস চালক মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ। ওই বছর সময় বাস চালকের কাছে আক্রান্ত হন সঞ্জয়। প্রদীপ মাইতি নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, "বাসের চালকের সঙ্গে সঞ্জয়ের বচসা হয়। এই সময় বাসের চালক কনুই দিয়ে সঞ্জয়ের ঘাড়ে মারতে থাকে। সঞ্জয়ের স্পাইনাল কর্ড ভেঙে গিয়েছে।" সঞ্জয়কে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা সঞ্জয়কে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীর অন্য আর এক আত্মীয় রামকৃষ্ণ দাস বলেন, "উত্তর পাড়ার একটি হাসপাতাল থেকে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।" প্রদীপ মাইতি বলেন, "শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয়কে। এক্সরে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই করানো হয়। অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে করেই ইমারজেন্সিতে রাখা হয়েছিল সঞ্জয়কে।ডাক্তাররা মাঝে মধ্যে এসে দেখছিলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বলা হয়, বেড নেই। সঞ্জয়কে ভর্তি নেওয়া সম্ভব নয়।" তিনি জানিয়েছেন, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রোগীকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল অথবা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

প্রদীপ মাইতি বলেন, "এর পরে আমরা নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। এর পর সেখান থেকে বলা হয় বেড নেই। আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সঞ্জয়কে আমরা আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।" তার পরে? তিনি বলেন, "রিপোর্ট দেখে আরজিকর থেকে বলা হয়, বেড নেই। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সঞ্জয়কে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন আরজিকরের ডাক্তাররা।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "অত রাতে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ তখন শেষ। আমরা বলি, রোগীর ন্যূনতম চিকিৎসা তো শুরু হবে। রোগীকে ভর্তি নেওয়া না হলে আমরা ধরনায় বসব। কিন্তু ডাক্তাররা বলেন বেড নেই।" এই ধরনের পরিস্থিতিতে সঞ্জয়কে যাতে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা হয়, তার চেষ্টা করতে থাকেন পরিজনরা।Conclusion:প্রদীপ মাইতি বলেন, "এর পরেও আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে সঞ্জয়কে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত রবিবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ সঞ্জয়কে ভর্তি নেওয়া হয়।" রবিবার রাতে রামকৃষ্ণ দাস বলেন, "সঞ্জয়কে ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে।" স্পাইনাল কর্ড ভেঙে যাওয়া এক রোগীকে ট্রমা কেয়ার সেন্টারেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার এই অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে সোমবার খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব, কী হয়েছে।"
_______

ছবি:
wb_kol_28 april patient negligence pic_7203421
_____

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.